Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা
অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা বা এসেনশিয়াল ড্রাগ লিস্ট (অথবা এসেনশিয়াল মেডিসিন লিস্ট), হল একটি জনগোষ্ঠী বা দেশের জন্য তৈরিকৃত ওষুধের একটি তালিকা, যাতে ওই জনপদ বা গোষ্ঠী বা দেশে সচরাচর যে সমস্ত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়, সেই রোগ সমূহের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় সকল ওষুধ লিপিবদ্ধ থাকে। অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা অনুযায়ী ওই নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ গুলো উৎপাদন অব্যাহত রেখে নির্দিষ্ট মূল্যে ভোক্তার কাছে সহজলভ্য করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞা আনুযায়ী সেই ওষুধ গুলো অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকায় থাকে যেগুলো একটি জনপদ বা গোষ্ঠী বা দেশের বেশিরভাগ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার প্রয়োজন মেটাতে পারে, এবং এজন্য এ নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো সব সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে যথাযত ওষুধ আকারে সহজলভ্য হতে হবে, এবং এসকল ওষুধের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৭৭ সাল থেকে শুরু করে অদ্যাবধি তাদের নমুনা অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা বা মডেল এসেনশিয়াল মেডিসিন লিস্ট প্রতি দুই বছর পর পর হালনাগাদ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বর্তমান নমুনা অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা বা মডেল এসেনশিয়াল মেডিসিন লিস্টটি ১৯ তম এবং শিশুদের জন্য প্রনীত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকাটি এপ্রিল ২০১৫ তে হালনাগাদকৃত।
বাংলাদেশে ১৯৮২ সালের ওষুধনীতির সংশোধন করে জাতীয় ওষুধ নীতি-২০০৫ প্রণয়ন করে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু এ নীতিতে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের কোনো তালিকা ছিল না। ২০০৮ সালে ২০৯টি ওষুধকে অত্যাবশ্যকীয় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু নানামুখী চাপে ওই তালিকা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ফলে ২১ বছর আগে নির্ধারিত ১১৭টি আইটেমের ওষুধই অত্যাবশ্যকীয়ের তালিকায় রয়ে গেছে। আবার এসব আইটেমের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি বর্তমানে অকার্যকর হয়ে গেছে।