Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
আঁচিল
আঁচিল | |
---|---|
প্রতিশব্দ | Verrucae, papillomas |
বুড়ো আঙুলে প্রচুর পরিমাণে আঁচিল | |
বিশেষত্ব | চর্মরোগবিদ্যা |
লক্ষণ | ব্যথাহীন, ছোট, রুক্ষ ত্বকের বৃদ্ধি |
স্থিতিকাল | মাস থেকে বছর |
কারণ | মানব প্যাপিলোমা ভাইরাস |
ঝুঁকির কারণ | জনসাধারণের ব্যবহৃত ঝরনা, একজিমা |
পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয় | ক্যালাস, সেবোরিক কেরাটোসিস, স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা |
প্রতিরোধ | সংক্রামিত ব্যক্তির সাথে ত্বকের সংস্পর্শ এড়ানো, জনসাধারণের এলাকায় খালি পায়ে হাঁটা না |
চিকিৎসা | স্যালিসিলিক অ্যাসিড, ক্রায়োথেরাপি, কেমো ভিত্তিক ফ্লুরোরাসিল বা ব্লিওমাইসিন |
সংঘটনের হার | খুবই সাধারণ |
আঁচিল হচ্ছে ছোট রুক্ষ প্রবৃদ্ধি যা চামড়ার উপর অনেকটা ফুলকপির মত বৃদ্ধি অথবা কঠিন ফোস্কার মত দেখায় । এটা সাধারণত মানুষের হাতে বা পায়ে অথবা শরীরের অন্যান্য স্থানে দেখা দেয়। মানবদেহে ১০ রকমের আঁচিল বা ফুসকুড়ি হতে পারে, এর মধ্যে বেশিরভাগগুলোকেই নিরীহ বলে মনে করা হয় ।
প্রকার
আঁচিলের আকৃতি এবং আক্রান্ত স্থানের উপর ভিত্তি করে অনেক ধরনের আঁচিল শনাক্ত করা হয়েছে, এছাড়াও মানবদেহে নানা ধরনের পাপিলোমা ভাইরাস (এইচ পি ভি) এর উপরও আঁচিলের ধরন নির্ভর করে থাকে ।
কারণ
মানবদেহে পাপিলোমা ভাইরাস (এইচ পি ভি) এর সংক্রমনের কারণে বিভিন্ন ধরনের আঁচিল হয়ে থাকে । এখন পর্যন্ত জানামতে প্রায় ১৩০ ধরনের পাপিলোমা ভাইরাস যা মানবদেহে সংক্রমন ঘটিয়ে থাকে, পাওয়া গেছে ।
প্রতিরোধ
র্ডাসিল হচ্ছে একটি এইচ পি ভি ভ্যাকসিন যা সার্ভিকাল ক্যান্সার ও যৌনাঙ্গের আঁচিল প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবহৃত হয় । গার্ডাসিল ভ্যাকসিনটি এইচ পি ভি ধরন-১৬, ১৮, ৬ এবং ১১ কে প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে । এইচ পি ভি ধরন-১৬ এবং ১৮, ৭০% সার্ভিকাল ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রায় অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হয় । এছাড়াও স্ত্রীযোনিদ্বার, স্ত্রীযোনি, পুরুষ যৌনাঙ্গ, পায়ুপথ ক্যান্সার এই দুই ধরনের এইচ পি ভি দ্বারা সংঘটিত হয়ে থাকে । এইচ পি ভি ধরন-৬ এবং ১১, ৯০ শতাংশ যৌনাঙ্গের আঁচিল এর জন্য দায়ী ।
নিষ্ক্রিয়করণ
এই ভাইরাসটিকে সাধারনভাবে প্রচলিত জীবাণুনাশক দ্বারা নিষ্ক্রিয়করন তুলনামূলকভাবে কঠিন । ৯০% ইথানল, ২% গ্লুটারাল্ডিহাইড, ৩০% স্যাভলন এবং ১% সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট মিশ্রনে অন্তত ১ মিনিট রাখলে এই জীবাণুটিকে নিষ্ক্রিয়করন করা সম্ভব ।
ভাইরাসটি তাপ এবং উষ্ণতা প্রতিরোধী, কিন্তু ১০০° সেলসিয়াস (২১২° ফারেনহাইট) এবং আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি দ্বারা একে নিহত করা সম্ভব ।
চিকিৎসাপদ্ধতি
আঁচিল অপসারণের জন্য অনেক চিকিৎসা এবং পদ্ধতি বিদ্যমান রয়েছে । এর মধ্যে স্যালিসিলিক এসিড সম্পৃক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি অধিক কার্যকারিতা লাভ করেছে । ক্রায়োথেরাপি পদ্ধতিও স্যালিসিলিক এসিডের মতই কার্যকরী দৃশ্যমান হয়, তবে এ ক্ষেত্রে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও হয়নি ।
ঔষধপ্রয়োগ
- একজন চর্মরোগবিশেষজ্ঞ স্যালিসিলিক এসিড সমৃদ্ধ ওষুধ প্রস্তাব করতে পারেন ।
- ইমিকুইমড একটি প্রচলিত ক্রিম যা শরীরের ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে আঁচিলের ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে।
- ক্যানথারিডিন, এককভাবে অথবা পোডোফিলিন এর সাথে প্রক্রিয়াকরণ অবস্থায় পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় ।
- আরেকটি ওষুধ ব্লিয়োমাইসিন, যার প্রয়োগে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দৃষ্ট হয়ে থাকে । যে ক্ষেত্রে একটি কিংবা দুটি ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা হয়ে থাকে ।
- ডাইনাইট্রোক্লোরোবেনজিন (ডিএনসিবি) ব্যবহারের মাধ্যমে ।
থেরাপি ও অন্যান্য পদ্ধতি
- ক্যারাটোলাইসিস পদ্ধতির মাধ্যমে ত্বকের মৃত কেষ|কোষগুলো সরিয়ে এ চিকিৎসা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় ৷
- ইলেকট্রোডেসিকেশান পদ্ধতি ।
- ক্রায়োসার্জারী; এ পদ্ধতিতে তরল নাইট্রোজেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
- সার্জারীর মাধ্যমে আক্রান্ত কোষকে কেটে অপসারন করার মাধ্যমে ৷
- লেজার চিকিৎসা ৷
- ইনফ্রা রেড কোয়াগুলেটার-এক্ষেত্রে অবলোহিত রশ্মির সাহায্যে আক্রান্ত কোষের চিকিৎসা করা হয় ৷ এটি কম ব্যয়বহুল চিকিৎসা ৷
- ডাক্টটেপ অক্লুসন থেরাপি- এটি একটি থেরাপি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আঁচিলের চিকিৎসা করা হয় ৷
- গার্লিক এক্সট্রাক্ট থেরাপি- এ চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে ৫০ শতাংশরও বেশি ক্ষেত্রে উপকারিতা পাওয়া গেছে । এ ক্ষেত্রে রসুন থেতলিয়ে এর পুরু স্তর আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করা হয় ।
সমাজ ও সংস্কৃতি
এছাড়াও ঐতিহ্যগতভাবে ব্যবহৃত প্রতিষেধক কিংবা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আঁচিল অপসারণ করা যেতে পারে বলে দাবি করা হয়ে থাকে ।