Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
আইইউসিএন লাল তালিকা
সদরদপ্তর | যুক্তরাজ্য |
---|---|
যে অঞ্চলে কাজ করে |
আন্তর্জাতিক পর্যায় |
দাপ্তরিক ভাষা |
ইংরেজি |
প্রধান প্রতিষ্ঠান |
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) |
অনুমোদন | স্পিশিজ সার্ভাইভাল কমিশন, বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল, কনজারভেশন ইন্টারন্যাশনাল, নেচারসার্ভ, বোটানিক গার্ডেনস কনজারভেশন ইন্টারন্যাশনাল, রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, টেক্সাস এএন্ডএম ইউনিভার্সিটি, সেপিয়েনজা ইউনিভার্সিটি অব রোম, জ্যুলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডন, ওয়াইল্ডস্ক্রিন |
ওয়েবসাইট | আইইউসিএনরেডলিস্ট.অর্গ |
সংরক্ষণ অবস্থা | |
---|---|
বিলুপ্ত | |
সংকট জনক | |
কম সংকট জনক | |
অন্যান্য শ্রেণী | |
|
|
সম্পর্কিত বিষয় | |
উপরে রেড লিস্ট ক্লাসের তুলনা | |
আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি: IUCN Red List, প্রতিবর্ণী. IUCN Red List বা IUCN Red List of Threatened Species) ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের অধিকাংশ জীবের বর্তমান অবস্থা ও আনুষঙ্গিক তথ্য সংবলিত একটি তালিকাবিশেষ। এ তালিকার মাধ্যমে প্রত্যেক প্রজাতির বর্তমান অবস্থা কিংবা বিলুপ্তির সম্ভাবনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। প্রক্রিয়াটি সংরক্ষণ অবস্থা নামে পরিচিত। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ বা আইইউসিএনের সাথে প্রতিবছর এটি একত্রে তালিকা প্রকাশ করে।
কোন কারণে নির্দিষ্ট কোন প্রজাতি বা উপপ্রজাতি বিলুপ্তির সম্মুখীন হলে তা নিরূপণে সঠিক মানদণ্ড প্রয়োগ করা হয়। এ মানদণ্ড বিশ্বের সকল দেশে, সকল স্থানে একই রকম হয়ে থাকে। এ তালিকা প্রণয়নের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে জনসাধারণকে সচেতন করা ও নির্দিষ্ট প্রজাতিটির আশু বিলোপনের হুমকিজনিত সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটানো। রাজনীতিবিদগণও এ বিষয়ে সচেতন হন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন যাতে প্রজাতিটির বিলুপ্তি না ঘটিয়ে স্বার্থকভাবে সংরক্ষণ করা যায়।
আইইউসিএন লাল তালিকার কিছু নীতি-নির্ধারক সংগঠন আছে। এ সকল সংগঠন নির্ধারণ করে দেয় যে, কোন প্রজাতিটি কোন শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হবে। এসব সংগঠনের মধ্যে বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল, ইন্সটিটিউট অব জ্যুলজি (জ্যুলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডনের গবেষণা শাখা), ওয়ার্ল্ড কনজারভেশন মনিটরিং সেন্টার এবং আইইউসিএন স্পিশিজ সারভাইভাল কমিশনের অন্তর্গত বহু বিশেষজ্ঞ দল অন্যতম। প্রকৃতপক্ষে আইইউসিএন লাল তালিকার প্রায় অর্ধেক প্রজাতির তালিকাভুক্তি এসব সংগঠনের মাধ্যমেই হয়েছে।
আইইউসিএন-এর লক্ষ্য হচ্ছে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর তালিকাভুক্ত প্রতিটি প্রজাতির অবস্থা মূল্যায়ন করা। আর তা সম্ভব না হলে দশ বছর অন্তর অন্তর মূল্যায়ন করা। এ মূল্যায়ন সংগঠিত হয় বিভিন্ন সংগঠন ও দলের মাধ্যমে। এসব সংগঠন বা দল নির্দিষ্ট কোন প্রজাতি বা নির্দিষ্ট কোন বর্গ মূল্যায়নের জন্য দায়ী থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সমগ্র পক্ষীবর্গ মূল্যায়নের দায়িত্ব কেবলমাত্র বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনালের উপর বর্তেছে।
১৯৯৭ লাল তালিকাভূক্ত বিপদগ্রস্ত উদ্ভিদ
পূর্বে প্রাক-যোগ্যতাভিত্তিক লাল তালিকায় বিপদগ্রস্ত উদ্ভিদের তালিকা ১৯৯৭ সালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান লাল তালিকায় উদ্ভিদকূলকে তালিকা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) কর্তৃপক্ষ পরামর্শ দিয়েছে যে, সবচেয়ে উত্তম পন্থা হবে আগ্রহীদেরকে অনলাইনে রেড লিস্ট এবং ১৯৯৭ লাল তালিকাভূক্ত বিপদগ্রস্ত উদ্ভিদ সংক্রান্ত প্রকাশনার খোঁজ নেয়া।
২০১২ সংস্করণ
১৯ জুলাই, ২০১২ তারিখে রিও +২০ ধরিত্রী সম্মেলনে ২০১২ সালের আইইউসিএন লাল তালিকা প্রকাশিত হয়। এ তালিকায় প্রায় দুই হাজার নতুন প্রজাতির অন্তর্ভুক্তিকরণ, ৪ প্রজাতির বিলোপন এবং ২ প্রজাতির পুনরায় আবিস্কারের কথা তুলে ধরা হয়। আইইউসিএন কর্তৃক এ পর্যন্ত সর্বমোট ৬৩,৮৩৭ প্রজাতি নিরূপণ করে ১৯,৮১৭ প্রজাতির বিপদগ্রস্ততা ও বিলুপ্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তারা ৩,৯৪৭ প্রজাতিকে মহাবিপন্ন এবং ৫,৭৬৬ প্রজাতিকে বিপন্নসহ দশ সহস্রাধিক প্রজাতির প্রাণীকে সঙ্কটাপন্ন বলে জানিয়েছে। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির মধ্যে ৪১% উভচর প্রজাতি, ৩৩% প্রবাল প্রজাতি, ২৫% স্তন্যপায়ী প্রাণী, ১৩% পাখি এবং বাদ-বাকী ৩০% সরলবর্গীয় বৃক্ষগোষ্ঠী রয়েছে।
লাল তালিকায় ভারতীয় উপমহাদেশের ১৩২ প্রজাতির বৃক্ষ এবং প্রাণীর অন্তভূক্তি ঘটেছে যা বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।
বিভাগ
২০০৬ আইইউসিএন লাল তালিকা শ্রেণীর সারাংশ।
আইইউসিএন লাল তালিকায় প্রজাতিসমূহের জন্য মোট নয়টি বিভাগ রয়েছে। মোট জনসংখ্যা, জনসংখ্যা হ্রাসের হার, তুল্য জনসংখ্যা, ভৌগোলিক বিস্তৃতি, বিস্তৃতিতে বিচ্ছিন্নতা ইত্যাদি নানা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কোন প্রজাতিটি কোন বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হবে তা নির্ণয় করা হয়।
- বিলুপ্ত (Extinct, EX): জানামতে আর কোন সদস্য বেঁচে নেই।
- বন্য পরিবেশে বিলুপ্ত (Extinct in the Wild, EW): বন্য পরিবেশে এদের আর কোন সদস্য নেই। হয় কোন আবদ্ধ পরিবেশে অথবা তাদের মূল আবাসস্থল থেকে অন্য কোথাও এসব প্রজাতির শেষ বংশধরেরা অবস্থান করছে।
- মহাবিপন্ন (Critically Endangered, CR): প্রকৃতিতে বিলুপ্ত হয়ে যাবার সর্বোচ্চ ও স্পষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
- বিপন্ন (Endangered, EN): প্রকৃতিতে বিলুপ্ত হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
- সংকটাপন্ন (Vulnerable, VU): প্রকৃতিতে বিপন্ন হয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
- প্রায়-বিপদগ্রস্ত (Near Threatened, NT): নিকট ভবিষ্যতে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
- ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত (Least Concern, LT): সবচেয়ে কম বিপদগ্রস্ত; সহজেই দেখা যায় ও ব্যাপকভাবে বিস্তৃত প্রজাতিগুলো এ বিভাগের অন্তর্গত।
- অপ্রতুল-তথ্য (Data Deficient, DD): কোন বিভাগে পড়বে তা মূল্যায়ন করার মত প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত নেই।
- মূল্যায়িত নয় (Not Evaluated, NE): আইইউসিএন কর্তৃক এখনও মূল্যায়িত হয়নি।
দাপ্তরিক পরিভাষায় তিনটি বিভাগকে একত্রে বিপদগ্রস্ত বলা হয়। বিভাগ তিনটি হল: মহাবিপন্ন, বিপন্ন ও সঙ্কটাপন্ন।
সংস্করণ
২০১৫ অনুসারে এর সাত সংস্করণ আছে:
- সংস্করণ ১.০ (১৯৯১)
- সংস্করণ ২.০ (১৯৯২)
- সংস্করণ ২.১ (১৯৯৩)
- সংস্করণ ২.২ (১৯৯৪)
- সংস্করণ ২.৩ (১৯৯৪)
- সংস্করণ ৩.০ (১৯৯৯)
- সংস্করণ ৩.১ (২০০০)
গ্রন্থপঞ্জি
- Hilton-Taylor, C. A history of the IUCN DATA Book and Redlist .Retrieved 2012-5-11.
- IUCN Red List of Threatened Species, 2009. Summary Statistics. Retrieved 2009-12-19.
- IUCN. 1994 IUCN Red List Categories and Criteria version 2.3. Retrieved 2009-12-19.
- IUCN. 2001 IUCN Red List Categories and Criteria version 3.1. Retrieved 2009-12-19.
- Rodrigues, A.S.L., Pilgrim, J.D., Lamoreux, J.F., Hoffmann, M. & Brooks, T.M. 2006. The value of the IUCN Red List for conservation Trends in Ecology & Evolution 21(2): 71–76.
- Sharrock, S. and Jones, M. 2009. Conserving Europe's threatened plants – Report on the lack of a European Red List and the creation of a consolidated list of the threatened plants of Europe. Retrieved 2011-03-23.
বহিঃসংযোগ
- আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি)
- The Economics of Ecosystems and Biodiversity (TEEB) study (ইংরেজি)