Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.

আদ্রিয়ান লামো

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
আদ্রিয়ান লামো
Adrian Lamo.png
আর্দ্রিয়ান লামো
জন্ম
জাতীয়তা কলম্বিয়ান-আমেরিকান
অন্যান্য নাম আর. আদ্রিয়ান লামো
পেশা ওয়েবসাইট নিরাপত্তা বিশ্লেষক
দাম্পত্য সঙ্গী লাউরেন লামো (বিচ্ছেদ)
পিতা-মাতা মারিও লামো-জিমেনিজ ও মেরি লামো-এটউড
ওয়েবসাইট twitter.com/6 / warrantless.tumblr.com

আদ্রিয়ান লামো ছিলেন একজন কলম্বিয়ান-আমেরিকান কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও গ্রে-হ্যাট হ্যাকার। তিনি প্রথম আলোচনায় আসেন, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, ইয়াহু!, মাইক্রোসফটের মত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করে। ২০০৩ সালে তিনি গ্রেফতার হন। ২০১০ সালে লামো বিকল্পধারার ওয়েবসাইট উইকিলিকসে তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে আটক মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ব্র্যাডলি ম্যানিং সম্পর্কে এফবিআইকে তথ্য দেন। এরপর এফবিআই ম্যানিংকে গ্রেফতার করে।

ব্যক্তিগত জীবন

আদ্রিয়ান লামো ১৯৮১ সালে ম্যাসাচুসেট্‌সয়ের বোস্টনে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মারিও লামো-জিমেনিজ ও মাতার নাম মেরি লামো-এটউড। তিনি সাধারনত হোমলেস হ্যাকার হিসেবে পরিচিত। লামো হ্যাক করার জন্য সাধারনত পনশালা, গ্রন্থাগার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাফে ব্যবহার করতেন। যদিও তিনি কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা বিশ্লেষণ করেছেন কিন্তু তিনি তার কাজের জন্য কোন টাকা নিতে আপত্তি জানাতেন।

১৯৯০-এর দশকের মাঝের দিকে লামো সমকামী ও হিজড়াদের মিডিয়া ফার্ম প্লানেটআউট.কম-এ একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি সান ফ্রান্সিসকো বোর্ড অব সুপারভাইজর গঠিত সমকামী ও হিজড়াদের ইয়ুথ টাস্কফোর্সের সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন। ২০০১ সালে লামো তাকে চিকিৎসার জন্য দেওয়া বেনজেড্রিন বেশি পরিমাণে গ্রহণ করেছিলেন।

২০০৪ সালে ওয়াইয়ার্ড ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার সাবেক মেয়ে বন্ধু বলেন, লামো তাকে অনেক শাসন করতেন এবং লামোর একটি শটগান ছিল যেটা দিয়ে সে তার মেয়ে বন্ধুকে ভয় দেখাত। একই সাক্ষাৎকারে দাবি করা হয়, আদালত তাকে পূর্ণ বিশ্রামের নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও লামো পরবর্তীতে এই সাক্ষাৎকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এবং এর সত্যতা নাকচ করে দেন। এছাড়া ২০১০ সালের মে মাসের ওয়াইয়ার্ড ম্যাগাজিনের এক নিবন্ধে বলা হয়, লামোর ব্যাকপ্যাক চুরি যাবার পর এক তদন্ত কর্মকর্তা তার অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করেন ও তাকে আটক করেন। চিকিৎসকরা তার এই আচরণকে ‘এসপার্জার সিনড্রম’ বলে আখ্যায়িত করে এবং তাকে ৭২ ঘণ্টার চিকিৎসা দেয় যা পরে ৯ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল।

২০১১ সালের মার্চে লামো অভিযোগ করেন, ম্যানিং ঘটনার পর থেকে তার জীবন হুমকির মুখে।

কর্মকাণ্ড

লামো প্রথম পরিচিতি পান “ইনসাইড-অল.কম নামে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। যেখানে তিনি আমেরিকান অনলাইনের (AOL.com) মুক্তির অপেক্ষায় থাকা একটি সফটওয়্যারের গ্রফিক ডিজাইনের স্ক্রিনশট প্রকাশ করেছিলেন। ফলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডর তার ওয়েবসাইটের নিবন্ধন বাতিল করেছিল।

২০০১ সালের ডিসেম্বরে “ওয়ার্ল্ডকম” দ্বারা লামো ব্যাপক প্রশংসিত হন কারণ তিনি তাদের নিরাপত্তা ত্রুটি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের ডাটাবেজে ঢুকতে সক্ষম হন এবং সেখান থেকে তিনি “লেক্সিসনেক্সিসের” একাউন্ট ব্যবহার করে গুরত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর গবেষণাপত্রে প্রবেশে সক্ষম হন। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে এবং তদন্ত কর্মকর্তারা ১৫ মাস তদন্ত করে ২০০৩ সালের আগস্টে লামো’র বিরুদ্ধে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জাড়ি করে। কিছুদিন লুকিয়ে থাকার পর ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০.০০টায় তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সেক্রামেন্টোতে যুক্তরাষ্ট্র মার্শালের কাছে অত্মসমর্পন করেন। ১১ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্ক সিটিতে এফবিআইর কাছে পুনরায় আত্মসমর্পণ করেন ও তখন তার বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের ৮ জানুয়ারি মাইক্রোসফট, “লেক্সিসনেক্সিসের” এবং দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে সাইবার হামলার জন্য অভিযোগ গঠন করা হয়।

পরে আদালত ২০০৪ সালে লামোকে $৬৫,০০০ ডলার জরিমানা, ছয় মাস তার বাড়িতে গৃহবন্দি ও ২ বছরের জন্য পরীক্ষাধীন অবস্থায় রাখার আদেশ দেয়। অভিযোগগুলো হলো, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, ইয়াহু! ও ওয়ার্ল্ডকমের নিরাপত্তা ত্রুটি প্রকাশ করে দেওয়া। ১৮ মাস পর্যবেক্ষণে থাকা অবস্থায় লামো ২০০৬ সালের ৯ মে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষকে তার রক্তের নমুনা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কর্তৃপক্ষ তার ডিএনএ নথিভুক্ত করার জন্য তার রক্ত চেয়েছিল। পরে লামো’র আইনজীবী বলেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে লামো রক্ত দিতে রাজি হননি।

পদটীকা

বহিঃসংযোগ


Новое сообщение