Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
আবুয়েলাস দে প্লাজা দে মায়ো
গঠিত | ১৯৭৭ |
---|---|
ধরন | এনজিও |
আইনি অবস্থা | সক্রিয় |
সদরদপ্তর | প্লাজা দে মায়ো |
অবস্থান | |
দাপ্তরিক ভাষা |
স্পেনীয় |
আবুয়েলাস দে প্লাজা দে মায়ো (স্পেনীয়: Asociación Civil Abuelas de Plaza de Mayo) বুয়েনোস আইরেসে অবস্থিত একটি বেসরকারী মানবাধিকার সংগঠন। এ সংগঠনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আর্জেন্টিনার নোংরা যুদ্ধ চলাকালীন চুরি হওয়া ও অবৈধভাবে দত্তক হিসেবে গ্রহণকৃত শিশুদেরকে খুঁজে বের করা। এস্তেলা বার্নেস দ্য কারলত্তো সংগঠনের বর্তমান সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
গঠন
১৯৭৭ সংগঠনটি গঠিত হয়। রাজনৈতিক অস্থিরতা চলাকালীন শিশুদেরকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাদের কেউ কেউ কারাগারে জন্মগ্রহণ করলেও পরবর্তীতে অদৃশ্য হয়ে যায়। তাদেরকে পরবর্তীকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে ফেরৎ দেয়া হয়। সংগঠনটির এ কার্যক্রমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনেটিক্স বিজ্ঞানী মেরি-ক্লেয়ার কিং সহায়তা করেন। এই কার্যক্রমে সামরিক শাসনামলে অপহৃত বা কারাগারে জন্মগ্রহণকারী প্রায় ৫০০ শিশুর ১০ শতাংশকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়। বাদ-বাকীদেরকে পরিচয় গোপন রেখে অবৈধভাবে দত্তক হিসেবে রাখা হয়।
১৯৯৮ সালের মধ্যে ২৫৬ শিশুর হারিয়ে যাওয়া সম্পর্কে তালিকাভুক্ত করা হয়। তন্মধ্যে ৫৬ শিশুর সন্ধান পাওয়া যায় ও অন্য সাত শিশু মৃত্যুবরণ করেছিল। সংগঠনটির এ কার্যক্রমের ফলে আর্জেন্টাইন ফরেনসিক অ্যানথ্রপলজি দলের সূচনা ঘটে ও জাতীয় জেনেটিক উপাত্ত ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। সাম্প্রতিককালে জেনেটিক পরীক্ষার যুগান্তকারী উন্নয়নের ফলে আরও ৩১ শিশুকে তাদের প্রকৃত পরিবারে হস্তান্তর করা সম্ভবপর হয়েছে। অন্য ১৩টি ঘটনায় শিশুদের পরিচয় উদঘাটনের পর দত্তক ও প্রকৃত পরিবার যৌথভাবে সন্তানদেরকে লালন-পালন করার জন্য পারস্পরিক সম্মতি প্রকাশ করে। অন্যান্য ঘটনাগুলো বিবদমান পরিবারের মধ্যে আদালতে গড়ায়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৯৭ জন নাতির সন্ধান পাওয়া যায়।
উদ্দেশ্য
নোংরা যুদ্ধকালীন শিশুদেরকে অপহরণের বিষয়টি সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালনা করেছিল। সামরিক পরিবার ও মিত্রদের কাছে শিশুদেরকে পাঠিয়ে দেয়া হয় যাতে তারা অন্য প্রজন্মের বিকাশ ঘটাতে না পারে। মানবাধিকার সম্পর্কীয় আন্তঃআমেরিকান কমিশনের মতে, সামরিক সরকার বাদ-বাকী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠে। কয়েক বছর বাদে এ সকল শিশু গুরুত্বপূর্ণ উপাদানে পরিণত হবে। ফলশ্রুতিতে নোংরা যুদ্ধের কার্যকারিতা শেষ হবে না।
প্রভাব
সিলভিয়া কুইন্টেলা ঘটনায় সাবেক স্বৈরশাসক জর্জ ভাইদেলাকে শিশু অপহরণের অনেকগুলো অভিযোগে ২০১০ সালে গৃহে অন্তরীণ রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে জুলাই, ২০১২ সালে পরিকল্পিত পন্থায় শিশুদের চুরি করার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে তাকে পঞ্চাশ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
সম্মাননা
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১ তারিখে আবুয়েলাস দে প্লাজা দে মায়োকে ফেলিক্স হুফুয়েত বইগনি শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্যারিসভিত্তিক এ পুরস্কারে মানবাধিকার রক্ষার্থে তাদের কাজের প্রশংসাজ্ঞাপন করা হয় যা অনুকরণীয়।