ইকোনমি রেট
ক্রিকেটে কোনও খেলোয়াড়ের ইকোনমিক রেট হল তার প্রতি ওভার বোলিংয়ে কৃত রান সংখ্যা। অধিকাংশ সময়ই, যে বোলারের ইকোনমি রেট যত কম , সে তত ভাল বল করছে বলে বিবেচিত হয়। এটি বোলারদের তুলনা করতে ব্যবহৃত বেশিরভাগ পরিসংখ্যানসমূহের মধ্যে অন্যতম। সাধারণত বোলিংয়ের সামগ্রিক পারফরম্যান্স বিচার করার উদ্দেশ্যে বোলিং গড় এবং স্ট্রাইক রেটের পাশাপাশি এটি ব্যবহৃত হয়।
গণনা
হিসাবটি হল:
বাই রান এবং লেগ বাইসমূহ বোলারের ইকনমি রেট বিশ্লেষণে গণনা করা হয় না এবং তাই তাদের ইকোনমি রেটকেও প্রভাবিত করে না। অন্যদিকে, বোলার ওয়াইড এবং নো-বলের জন্য দণ্ডিত হলেও সেক্ষেত্রে ওভারে কোনও বল যোগ হয় না।
পরিদর্শন
সাধারণত টেস্ট ম্যাচের চেয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ইকোনমি রেট তুলনামূলক অধিক গুরুত্বপূর্ণ। সংক্ষিপ্ত ওভারের খেলায় বোলাররা (এবং ফিল্ডাররা) বিপক্ষ দলের রানকে সীমিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকে যাতে তাদের নিজেদের দলকে সহজে জয়ের স্কোর অর্জন করিয়ে একটি উত্তম সুযোগ দেয়া সম্ভব হয়। টেস্ট এবং অন্যান্য প্রথম-শ্রেণীর ম্যাচসমূহে সময় অনেক বেশি থাকে বিধায় ইনিংসটি সাধারণত নির্ধারিত সংখ্যক ওভারের পরিবর্তে দশটি উইকেট নেওয়ার পর সমাপ্ত হয়। বোলিং দলে তখন প্রতি ওভারের চেয়ে প্রতি উইকেটে রান সীমাবদ্ধ করায় অগ্রাধিকার পায়। তবে, এখানে ভারসাম্য রক্ষার মতো কিছু ব্যাপার রয়েছে - একটি টেস্ট ম্যাচে উচ্চতর ইকোনমি রেট প্রাপ্ত একজন বোলার সাধারণত ব্যাটিং দলের মোট রানেও কিছুটা যোগান দিয়ে থাকেন, যেখানে সীমিত ওভারের ম্যাচে উইকেট গ্রহণ করলে সাধারণত রান রেট কমে যায় যা বোলিং দলকে সহায়তা করে।
২০২০ সালের ৮ ই সেপ্টেম্বরের পূর্বে, সমস্ত টেস্ট ম্যাচসমূহে গড় ইকোনমি রেট ছিল ২.৭৫, ওয়ানডেতে ৪.৭০ এবং টি-টোয়েন্টিতে আন্তর্জাতিক ৭.৪৪। বছরের পর বছর ধরে খেলার শৈলীর অনেক বিকাশ ও পরিবর্তন ঘটলেও এটি মনে রাখা ভাল যে সীমাবদ্ধ ওভারের ক্রিকেট বেশ আধুনিক। এটি স্পষ্ট যে বোলারদের ইকোনমি রেটের প্রভাব সংক্ষিপ্ত ওভারের খেলার জন্য তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে ।