এপিডুরাল হেমাটোমা
এপিডুরাল হেমাটোমা (ইংরেজি: Epidural hematoma) হচ্ছে এক প্রকার রক্তক্ষরণ যা মস্তিষ্কের ডুরা ম্যাটার আবরণী ও করোটির মধ্যবর্তী স্থানে সংঘঠিত হয়। সাধারণত আঘাতজনিত কারণে এই রক্তক্ষরণের সূত্রপাত হয়। আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পর পর-ই আক্রান্ত ব্যক্তি চেতনা হারাতে পারেন, কিছু সময় পর আবার একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর্যন্ত চেতনা ফিরে পাওয়ার পর, আবার চেতনা হারানোর মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছে, মাথাব্যথা, মানসিক বিভ্রান্তি, বমি করা, এবং শরীরের নির্দিষ্ট অংশ নড়াচড়া করার অক্ষমতা। এছাড়াও খিঁচুনির মতো জটিলতাও দেখা যেতে পারে।
সাধারণত মাথার আঘাতের ফলে টেম্পোরাল হাড় ভেঙ্গে মধ্য মেনিনজিয়াল ধমনি ছিড়ে এপিডুরাল হেমাটোমা সৃষ্টি হয়। মাঝে মধ্যে কোয়াগুলোপ্যাথি বা রক্তবাহিকার ত্রুটির কারণেও এটি হতে পারে। রোগনির্ণয়ের জন্য সিটি স্ক্যান ও এমআরআই-এর ব্যবহার প্রচলিত। যদি এ ধরনের জটিলতা মস্তিষ্কের বদলে সুষুম্নাকাণ্ডে সৃষ্টি হয় তখন তা স্পাইনাল এপিডুরাল হেমাটোমা নামে পরিচিত।
এই রক্তক্ষরণের চিকিৎসা সাধারণত শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে করা হয় যা ক্রেনিওটোমি বা বার হোল করার মাধ্যমে করা হয়। সময়মতো চিকিৎসা করা না হলে সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুবরণ করে। সকল প্রকার মাথার আঘাতের মধ্যে ৪% ক্ষেত্রে এই ধরনের রক্তক্ষরণের সৃষ্টি হয়। সাধারণত অল্প বয়স্কদের ক্ষেত্রে এর প্রকোপ বেশি, এবং নারীদের তুলনায় পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হয়।
বিস্তার
মাথায় আঘাতের প্রায় ৪% এবং প্রাণঘাতী মাথায় আঘাতের প্রায় ১৫%-এর সাথে এপিডুরাল হেমাটোমার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এই জটিলতা কিশোর-কিশোরী ও অল্প বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, কারণ বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ডুরা ম্যাটার করোটির সাথে সেঁটে যায় আর এজন্য এপিডুরাল হেমাটোমা বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে। তুলনামূলকভাবে পুরুষেরা, নারীদের তুলনায় বেশি মাত্রায় এপিডুরাল হেমাটোমার স্বীকার হয়।
বহিঃসংযোগ
| শ্রেণীবিন্যাস | |
|---|---|
| বহিঃস্থ তথ্যসংস্থান |
