Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
কোমর-উচ্চতা অনুপাত
কোনও ব্যক্তির কোমর-উচ্চতা অনুপাত বলতে কোনও নির্দিষ্ট এককে (যেমন ইঞ্চি বা সেন্টিমিটার এককে) কোমরের বেড় বা পরিধির পরিমাপকৃত মানকে ঐ ব্যক্তির উচ্চতার পরিমাপকৃত মান (একই এককে) দিয়ে ভাগ করলে ০ ও ১-এর মধ্যবর্তী যে এককবিহীন ভগ্নাংশটি পাওয়া যায়, তাকে বোঝায়। যেমন কোনও ব্যক্তির পরিমাপকৃত উচ্চতা যদি ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি (=অর্থাৎ ৭০ ইঞ্চি) হয় এবং তার কোমরের পরিমাপকৃত পরিধি বা বেড় যদি ৩৫ ইঞ্চি হয়, তাহলে তার কোমর-উচ্চতা অনুপাত হলো ৩৫ ইঞ্চি ÷ ৭০ ইঞ্চি = ০.৫।
কোমর-উচ্চতা অনুপাতটি দিয়ে কোনও ব্যক্তির দেহে মেদ বা স্নেহপদার্থের বিতরণ সম্পর্কে ধারণা করা যায়। যদি কারও কোমর-উচ্চতা অনুপাত বেশি হয়, তাহলে তার অতিশয় মেদবাহুল্য অর্থাৎ অতিস্থূলতাজনিত কারণে হৃৎপিণ্ড ও রক্তসংবহনতন্ত্রের রোগ হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। কোমর-উচ্চতা অনুপাতের সাথে ঔদরিক অতিস্থূলতা অর্থাৎ পেটে ও তলপেটে মাত্রাতিরিক্ত মেদবাহুল্যের সরাসরি সম্পর্ক আছে।
আট বছর ধরে ১১ হাজার ব্যক্তির উপরে পরিচালিত একটি গবেষণার ফলাফল ২০১০ সালে প্রকাশিত হয়, যাতে গবেষকেরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে বহুল প্রচলিত দেহ ভর সূচক (বডি ম্যাস ইনডেক্স, Body mass index) অপেক্ষা কোমর-উচ্চতা অনুপাতটি হৃৎপিণ্ড অকেজো হওয়া (হার্ট অ্যাটাক), পক্ষাঘাত (স্ট্রোক) বা মৃত্যুর ঝুঁকি পরিমাপ করার ক্ষেত্রে অধিকতর উন্নত একটি নির্দেশক। তবে ২০১১ সালে প্রকাশিত একটি ১৩ বছরব্যাপী (৬০ হাজার ব্যক্তির উপরে পরিচালিত) গবেষণার ফলাফল অনুসারে কোমর-নিতম্ব অনুপাত (দেহ ভর সূচকের সাথে সামঞ্জস্য রেখে) রক্ত সরবরাহে বিঘ্নের কারণে সৃষ্ট হৃদরোগের ফলে মৃত্যু ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষেত্রে একটি উন্নততর নির্দেশক।
সাধারণত কোমর-উচ্চতা অনুপাত যদি ০.৫-এর বেশি হয়, তাহলে সেটিকে উচ্চ ঝুঁকি নির্দেশকারী সঙ্কটজনক মান হিসেবে গণ্য করা যায়। ২০১০ সালে কোমর-উচ্চতা অনুপাতের উপরে পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণার একটি পর্যালোচনাতে বলা হয় যে "কোমর-উচ্চতা অনুপাত সম্ভবত সুবিধাজনক কারণ এটির জন্য বয়স, লিঙ্গ বা জাতিভিত্তিক সীমান্ত মানের কোনও প্রয়োজন হয় না।" ৪০ বা তার কম বয়সীদের জন্য সঙ্কটজনক মান হল ০.৫; ৪০-৫০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের জন্য সঙ্কটজনক মান ০.৫ থেকে ০.৬-এর মধ্যে অবস্থিত; অন্যদিকে ৫০-ঊর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিদের জন্য সঙ্কটজনক মানটি ০.৬ বা এর বেশি হয়।