Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
ক্যালসিয়াম হাইপোক্লোরাইট
ক্যালসিয়াম ক্লোরো হাইপোক্লোরাইট একটি অজৈব যৌগ যার রাসায়নিক সংকেত Ca(OCl)Cl। পানি পরিশোধন এবং ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে ক্লোরিন পাউডার অথবা ব্লিচ পাউডার নামে বাজারে পাওয়া যায়। আর্দ্র এবং অনার্দ্র দুই অবস্থায় ক্যালসিয়াম ক্লোরো হাইপোক্লোরাইট পাওয়া যায়। এটা পানিতে খুব বেশি দ্রবীভূত হয় না। এর থেকে তীব্র ক্লোরিনের গন্ধ পাওয়া যায়।
ব্যবহার
জীবাণুমুক্তকরণ
ক্যালসিয়াম হাইপোক্লোরাইট সাধারনত [[সুইমিং পুল জীবাণু মুক্তকরণ|স্যানিটাইজ গণ সুইমিং পুল ক্যালসিয়াম হাইপোক্লোরাইট সাধারণত পাবলিক সুইমিং পুল স্যানিটাইজ এবং পানীয়জল পরিশোধন করতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় এটি বাণিজ্যিক পদার্থ হিসেবে ৬৫% থেকে ৭৩% বিশুদ্ধতা সহ অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থের সাথে বিক্রি হয়, যেমন: ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড এবং ক্যালসিয়াম কার্বনেট এর সাথে। সুইমিং পুলের রাসায়নিক পদার্থ হিসেবে, অন্য রাসায়নিকের সাথে বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়ার কারণে এটি অন্যান্য রাসায়নিক এবং ক্লোরিনের অন্য লঘু যৌগের সাথে মিশিয়ে ব্যবহৃত হয়। দ্রবণ রূপে, ক্যালসিয়াম হাইপোক্লোরাইট সাধারণ জীবাণু নাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট (ব্লিচ) বেশি ব্যবহৃত হয়।
বাড়ির আশপাশে ভেজা স্যাঁতসেঁতে জায়গায় বা টয়লেটের কমোড, ঘরের মেঝে থেকে জীবাণু ধ্বংস করার জন্য এই পাউডার ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এটি টয়লেটের কমোড ও বেসিনে দেওয়ার পর যখন পানি যোগ করা হয়, তখন এই পাউডার পানির সঙ্গে বিক্রিয়া করে হাইপোক্লোরাস এসিড (HOCl) ও ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড উৎপন্ন করে। পরে হাইপোক্লোরাস এসিড ভেঙে গিয়ে জায়মান অক্সিজেন তৈরি করে, যা জীবাণু ধ্বংস করে।
জৈব রসায়ন
ক্যালসিয়াম হাইপোক্লোরাইট হল একটি উচ্চমাত্রার জারক এবং তাই জৈব রসায়নে এর কিছু ব্যবহার দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, এই যৌগটি ক্লিভ, গ্লাইকল, α-হাইড্রোক্সি কারবোক্সাইল এসিড এবং কেটো এসিড এর সাথে জারিত হয়ে অ্যালডিহাইড বা কার্বক্সিলিক অ্যাসিড তৈরি করে। এছাড়া, ক্যালসিয়াম হাইপোক্লোরাইট হ্যালোফর্ম বিক্রিয়ার মাধ্যমে ক্লোরোফর্ম উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। ক্যালসিয়াম হাইপোক্লোরাইট জৈব সংশ্লেষণে থিওল এবং সালফাইড উপজাতগুলোকে জারিত করতে ব্যবহার করা হয়, ফলে তাদের গন্ধ কমে এবং নিরাপদে ডিস্পোজ হয়। অধিকন্তু, বস্ত্র বিরঞ্জন করতে ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়।
ইতিহাস
গত ১৮শ শতকের শেষের দিকে চার্লস টেন্যান্ট এবং চার্লস ম্যাকিনটোশ "ক্লোরাইড অফ লাইম" উৎপাদনের জন্য একটি শিল্পীয় প্রক্রিয়া তৈরি করেন। ১৭৯৯ সালে এটি প্যাটেন্টকৃত হয় এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় পরিখা এবং ক্ষত জীবাণু মুক্তকরণে।
বৈশিষ্ট্য
- সাদা, অনিয়তাকার এবং একটি অজৈব পদার্থ ।
- ক্লোরিনের ঝাঁঝালো গন্ধ পাওয়া যায় ।
- কার্বন ডাই অক্সাইড এর সাথে বিক্রিয়ায় ক্যালসিয়াম কার্বনেট এবং ডাইক্লোরিন মনোক্সাইড উৎপন্ন করে।
- হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, পানি এবং ক্লোরিন গ্যাস উৎপন্ন করে।
Ca(OCl)2 + 4 HCl → CaCl2 + 2 H2O + 2 Cl2
উৎপাদন
ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের মধ্যে ক্লোরিন গ্যাস চালনা করে বাণিজ্যিক ভাবে হাইপো উৎপাদন করা হয়। বিভিন্ন ঘনত্বের ব্লিচ পাউডার পেতে কয়েক ধাপে বিক্রিয়া পরিচালনা করা হয়।
2 Cl2 + 2 Ca(OH)2 → Ca(OCl)2 + CaCl2 + 2 H2O
নিরাপত্তা
এটি একটি শক্তিশালী জারক, কারণ এতে ভ্যালেন্স +1 এর একটি হাইপোক্লোরাইট আয়ন রয়েছে (জারণ সংখ্যা: Cl +1)।
ক্যালসিয়াম হাইপোক্লোরাইট ভেজা এবং গরম, বা কোনো অ্যাসিড, জৈব পদার্থ বা ধাতুর কাছে সংরক্ষণ করা উচিত নয়।শুষ্ক ক্যালসিয়াম ক্লোরো হাইপোক্লোরাইট ব্যবহার করা সহজ।
https://www.sciencedirect.com/topics/chemistry/calcium-hypochlorite