খাদ্যের গুণাগুণ
খাদ্যের গুণাগুণ বলতে বোঝায় খাদ্যের ঐসকল গুণাবলিকে যার জন্য খাদ্য খাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। খাদ্যের এইসকল গুণাবলির মধ্যে আকার, রঙ, উজ্জলতা, সহজলভ্যতা, গন্ধ, রাসায়ানিক, বাহ্যিক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
খাদ্যের গুণাগুণ রক্ষা করা খাদ্য প্রস্তুতির অন্যতম প্রধান শর্ত। অর্থাৎ যেকোন খাদ্য ব্যবসায়িক ভাবে প্রস্তুত করতে গেলে অবশ্যই এর গুণাগুণ রক্ষা করতে হবে। নাহলে যেকোনভাবে যদি খাদ্য দূষিত হয়ে পড়ে তাহলে এর মাধ্যমে খাদ্যগ্রহণকারী কেউ স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
একটি খাদ্য কি কি উপাদান নিয়ে তৈরি করা হবে তা মানবদেহের উপযোগী কিনা তা অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত। এছাড়া আরেকটি বিষয়ের দিকে নজর রাখা উচিত। তা হল খাদ্যটি কোন পরিবেশে তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে পালং শাকের মাধ্যমে ই কোলাই ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটে। যা খাদ্য তৈরি করার সময় অসাস্থ্যকর স্থানকেই নির্দেশ করে।
খাদ্য গুণাবলির ক্ষেত্রে লেবেলিং-ও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অর্থাৎ যে খাবারটি বাজারজাত করা হবে তার পরিমাণ, গুণাগুণসহ প্রয়োজনীয় সকল তথ্য কাগজে করে গায়ে সেঁটে দিতে হবে।
সারা বিশ্বে অনেক প্রতিষ্ঠান খাদ্যের গুণাগুণ পরীক্ষা করার কাজে নিয়োজিত থাকে।
একটি বিশেষ জড়িপে দেখা গেছে ভারতে বেশিরভাগ মায়েরাই বা রান্নার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি জানেন না খাদ্যের গুণাবলি কি কি থাকা উচিত বা যে খাবার দৈনিক গ্রহণ করা হয় তা কেমন হওয়া উচিত। এমনকি তাদের সে সম্পর্কে তেমন আগ্রহও নেই। জন্ডিস, কলেরা ও টাইফয়েডের মতো রোগগুলোর সাথে খাদ্য নিরাপত্তা কীভাবে সম্পর্কিত তা সম্পর্কেও ভারতের অনেক মায়েরাই জানেন না।