Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
খাদ্য নিরাপত্তা
খাদ্য নিরাপত্তা (ইংরেজি: Food security) খাদ্যের লভ্যতা এবং মানুষের খাদ্য ব্যবহারের অধিকারকে বোঝায়। কোন বাসাকে তখনই "খাদ্য নিরাপদ" বলে মনে করা হয়, যখন এর বাসিন্দারা ক্ষুধার্ত অবস্থায় বসবাস করেন না কিংবা খাদ্যাভাবে উপবাসের কোন আশঙ্কা করেন না।
বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮৫ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের কারণে বহুদিন যাবৎ ক্ষুধার্ত। প্রায় ২০০ কোটি মানুষের বিভিন্ন মাত্রার দারিদ্র্যের কারণে খাদ্য নিরাপত্তা ছাড়াই বাস করছেন। (উৎস: বিশ্ব খাদ্য সংস্থা, ২০০৩)। ২০০৭ সালের শেষ দিকে জৈবজ্বালানির জন্য বিশেষ কৃষিকাজের প্রসার, বিশ্ববাজারে খনিজ তেলের দামের উচ্চমূল্য, বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার বৃদ্ধি,জলবায়ুর পরিবর্তন, আবাসিক প্রয়োজনে ও শিল্পকারখানার কারণে কৃষিজমির পরিমাণ হ্রাস, এবং সম্প্রতি চীন ও ভারতে ভোক্তাদের চাহিদায় বৃদ্ধির ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের বহু দেশে খাদ্য রায়ট হয়েছে।
দারিদ্র্য ও খাদ্য গ্রহণের হারের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক আছে। যেসব পরিবারের চরম দারিদ্র্য এড়ানোর সামর্থ্য আছে, তারা কদাচিৎ দীর্ঘস্থায়ী ক্ষুধার শিকার হয়। অন্যদিকে দরিদ্র পরিবারগুলি কেবল ক্ষুধার শিকারই নয়, খাদ্যস্বল্পতা ও দুর্ভিক্ষের সময় এরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
খাদ্য নিরাপত্তার প্রধান স্তম্ভসমূহ
WHO খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তিনটি প্রধান স্তম্ভ নির্ধারণ করেছে। এগুলো হলঃ খাদ্যের পর্যাপ্ততা, খাদ্যের সহজলভ্যতা এবং খাদ্যের ব্যবহার-অপব্যবহার। FAO চার নম্বর স্তম্ভটি যুক্ত করেছে। এটি হল স্থায়ীত্ব। অর্থাৎ অপর তিনটি স্তম্ভ সবসময় যেন স্থায়ী হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। ২০০৯ সালে ওয়ার্ল্ড সামিট বলেছে, "খাদ্য নিরাপত্তার প্রধান চারটি স্তম্ভ হচ্ছে পর্যাপ্ততা, সহজলভ্যতা, সদ্ব্যব্যবহার ও স্থায়ীত্ব।
বহিঃসংযোগ
- FAO Food Security Statistics
- The World Food Summit ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে