Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
গ্লিওব্লাস্টোমা
গ্লিওব্লাস্টোমা | |
---|---|
প্রতিশব্দ | গ্লিওব্লাস্টোমা মাল্টিফর্মি, গ্রেড ৪ অ্যাস্ট্রোসাইটোমা |
১৫ বছর বয়সী একজন পুরুষের করোনাল এমআরআই যেখানে গ্লিওব্লাস্টোমার স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে | |
বিশেষত্ব | অনকোলজি, নিউরোসার্জারি |
লক্ষণ | প্রাথমিকভাবে সুস্পষ্ট নয়, মাথা ব্যাথা, ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন, বমি ভাব, স্ট্রোকের লক্ষণ |
রোগের সূত্রপাত | প্রায় ৬৪ বছর বয়স |
কারণ | সাধারণত অনির্দিষ্ট |
ঝুঁকির কারণ | জিনগত ব্যাধি (নিউরোফাইব্রোম্যাটোসিস ও লি-ফ্রাউমেনি সিনড্রোম), রেডিয়েশন থেরাপির পূর্ব ইতিহাস |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | সিটি স্ক্যান, এমআরআই স্ক্যান, টিস্যু বায়োপসি |
প্রতিরোধ | অজানা |
চিকিৎসা | অস্ত্রপোচার, কেমোথেরাপি, রেডয়েশন থেরাপি |
ঔষধ | টেমোযলোমাইড, স্টেরয়েড |
আরোগ্যসম্ভাবনা | নিয়মিত চিকিৎসায় জীবনীকাল প্রায় ১৪ মাস (৫ঃ-এরও কম ক্ষেত্রে ৫ বছরের বেশি জীবনীকাল) |
সংঘটনের হার | প্রতি বছর ১,০০,০০০ জনে ৩ জন |
গ্লিওব্লাস্টোমা (ইংরেজি: glioblastoma) যা গ্লিওব্লাস্টোমা মাল্টিফর্মি (ইংরেজি: glioblastoma multiforme) বা জিবিএম নামেও পরিচিত, মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে সৃষ্ট সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ক্যান্সার। গ্লিওব্লাস্টোমার প্রাথমিক লক্ষণগুলো সুনির্দিষ্ট নয়। লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন, বমি ভাব, এবং সেই সাথে স্ট্রোকের লক্ষণগুলোও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। লক্ষণগুলো সাধারণত খুব দ্রুততার সাথে অধিকতর খারাপ অবস্থার দিকে অগ্রসর হয়, যা এক পর্যায়ে জ্ঞান হারানোর দিকে মোড় নিতে পারে।
বেশিরভাগ গ্লিওব্লাস্টোমার কারণ অস্পষ্ট। সাধারণ নয় এমন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নিউরোফাইব্রোম্যাটোসিস ও লি-ফ্রাউমেনি সিনড্রোমের মতো জিনগত ব্যাধি, রোগীর রেডিয়েশন থেরাপির ইতিহাস।মস্তিষ্কের টিউমারের মধ্যে গ্লিওব্লাস্টোমার হার প্রায় ১৫%। এটি মস্তিষ্কের সাধারণ কোষ থেকে বা ইতোমধ্যেই বিদ্যমান নিম্ন গ্রেডের অ্যাস্ট্রোসাইটোমা থেকেও তৈরি হতে পারে। রোগ নির্ণয় সাধারণত সিটি স্ক্যান, এমআরআই স্ক্যান, এবং টিস্যু বায়োপসির সমন্বয়ে করা হয়।
এই রোগ প্রতিরোধের কোনও সুস্পষ্ট উপায় নেই। সাধারণত চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে অস্ত্রোপচার যা মূলত কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপির পরে করা হয়। কেমোথেরাপির অংশ হিসাবে প্রায়শই টেমোযলোমাইড ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফুলে যাওয়া ও লক্ষণ হ্রাসের জন্য উচ্চ মাত্রার স্টেরয়েড ব্যবহৃত হতে পারে। ক্যান্সার কোষগুলো সম্পূর্ণ বা বেশিরভাগ অপসারণ-ই এই রোগের চিকিৎসার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি কী না তা পরিষ্কার নয়।
সর্বোচ্চ মাত্রার চিকিৎসা সত্ত্বেও সাধারণত এই ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তি ঘটে। রোগ নির্ণয়ের পরে বেঁচে থাকার সবচেয়ে সাধারণ সময়কাল ১২ থেকে ১৫ মাস। শতকরা ৩ থেকে ৫ ভাগ রোগী পাঁচ বছরেও বেশি সময় বেঁচে থাকেন। বিনা চিকিৎসায় এই রোগে বেঁচে থাকার সময়কাল সাধারণত তিন মাস। মস্তিষ্কের ক্যান্সারের মধ্যে এটির প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি এবং মেনিনজিওমার পর মস্তিষ্কে সৃষ্ট টিউমার গুলোর মধ্যে এর অবস্থান দ্বিতীয়। প্রতি বছরে প্রায় ১০০,০০০ জনে ৩ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়। প্রায় ক্ষেত্রে ৬৪ বছর বয়সের দিকে এই রোগের প্রকোপ দেখা যায় এবং মহিলাদের চেয়ে পুরুষরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়।
লক্ষণ ও উপসর্গ
সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে খিঁচুনি, মাথাব্যথা, বমি ভাব এবং বমি হওয়া, স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, ব্যক্তিত্ব, মেজাজ বা মনোসংযোগের পরিবর্তন এবং মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট স্থানসংক্রান্ত স্নায়বিক সমস্যা।
প্রকাশ পাওয়া লক্ষণগুলো সাধারণত টিউমারের অবস্থান ও প্যাথলজিকাল বিষেশত্বের ওপর নির্ভরশীল। গ্লিওব্লাস্টোমার ক্ষেত্রে টিউমার অত্যন্ত দ্রুততার সাথে লক্ষণের প্রকাশ ঘটায় তবে মাঝে মাঝে এটি অত্যন্ত বিশাল আকৃতি ধারণ না করার আগ পর্যন্ত কোনো লক্ষণ-ই প্রকাশ করে না যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় অ্যাসিম্পটমিক কন্ডিশন নামে পরিচিত।
ঝুঁকির কারণ
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই রোগের কারণ অস্পষ্ট। প্রায় শতকরা পাঁচ ভাগের ক্ষেত্রে নিম্ন গ্রেডের অ্যাস্ট্রোসাইটোমা থেকে এর বিকাশ ঘটে।
জেনেটিক্স
অপ্রচলিত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নিউরোফাইব্রোম্যাটোসিস ও লি-ফ্রাউমেনি সিনড্রোমের, টিউবেরাস স্ক্লেরোসিস, টারকোট সিনড্রোমের মতো জিনগত ব্যাধি।রেডিওথেরাপির পূর্ব ইতিহাসও ঝুঁকির একটি কারণ। অজানা কারণে, পুরুষদের মধ্যে সাধারণত গ্লিওব্লাস্টোমার প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
পরিবেশগত
ধূমপান, কীটনাশকের উপস্থিতি, পেট্রোলিয়াম পরিশোধন বা রবার উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্টতার সাথে এই রোগের সংস্পর্শতা দেখা গেছে।
গ্লিওব্লাস্টোমার সাথে এসভি৪০,হিউম্যান হার্পভাইরাস ৬, ও সাইটোমেগালোভাইরাসের সংস্পর্শতাও পরিলক্ষিত হয়েছে।
রোগতত্ত্ব
প্রতি বছর এক লক্ষ মানুষের মধ্যে ৩ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়, যদিও আঞ্চলিকভাবে এই মাত্রা আরও বেশি হতে পারে। ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ইংল্যান্ডে এই রোগের মাত্রা দ্বিগুণ হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ক্যান্সারের মধ্যে মেনিনজিওমার পর-ই গ্লিওব্লাস্টোমার অবস্থান। নারীদের চেয়ে পুরুষের মধ্যেই এই রোগ বেশি দেখা যায়। যদিও প্রায়শই এটি প্রায় ৬৪ বছর বয়সের দিকে শুরু হয়, ২০১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০ বছরের কম বয়সী ক্যান্সার রোগীদের মাঝে বিস্তৃতি অর্থে মস্তিষ্কের ক্যান্সার লিউকিমিয়ার পরে থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলো।
বহিঃসংযোগ
- আমেরিকান ব্রেন টিউমার অ্যাসোসিয়েশন থেকে গ্লিওব্লাস্টোমা মাল্টিফর্মি (জিবিএম) সম্পর্কিত তথ্য
- এএফআইপি কোর্স সিলেবাস - অ্যাস্ট্রোসাইটোমা ডব্লিউএইচও গ্রেডিং লেকচার হ্যান্ডআউট
শ্রেণীবিন্যাস |
---|