ঘ্রাণহানি
| ঘ্রাণহানি | |
|---|---|
| নাকের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির প্রদাহের কারণে সৃষ্ট ঘ্রাণহানি | |
| উচ্চারণ | |
| বিশেষত্ব | কর্ণ-নাসা-স্বরযন্ত্র বিজ্ঞান |
| প্রকারভেদ | আংশিক, সম্পূর্ণ |
ঘ্রাণহানি বা ঘ্রাণক্ষমতা লোপ বলতে এক বা একাধিক ঘ্রাণ অনুধাবন করার ক্ষমতা লোপ পাবার ঘটনাকে বোঝায়। ঘ্রাণহানি সাময়িক বা স্থায়ী হতে পারে। ঘ্রাণহানি থেকে ঘ্রাণশক্তি হ্রাস পাওয়ার পার্থক্য আছে। ঘ্রাণশক্তি হ্রাস পেলে কিছু বা সব ধরনের ঘ্রাণের ক্ষেত্রে ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের সংবেদনশীলতা হ্রাস পায়।
ঘ্রাণহানি একাধিক কারণে হতে পারে। নাসা-শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির প্রদাহ হলে, নাসাপথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলে, মস্তিষ্কের রগাঞ্চলীয় খণ্ডকের একটি ধ্বংস হয়ে গেলে এটি হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী মস্তিষ্কঝিল্লি প্রদাহ (মেনিনজাইটিস) বা স্নায়ুসিফিলিস (নিউরোসিফিলিস) রোগের কারণে খুলিমধ্যস্থ চাপ বৃদ্ধি পেলে কিংবা নাকের লোম বা সিলিয়ার রোগের কারণেও ঘ্রাণহানি হতে পারে। কোনও কোনও ব্যক্তি একটি বিশেষ ঘ্রাণের জন্য ঘ্রাণহানিতে ভুগতে পারে, একে "বিশেষ ঘ্রাণহানি" বলে। আবার জন্ম থেকে ঘ্রাণক্ষমতা উপস্থিত না থাকলে তাকে "জন্মগত ঘ্রাণহানি" বলে।
নাসাপথের প্রদাহের কারণে ঘ্রাণহানি ঘটলে প্রদাহ কমিয়ে সেটির চিকিৎসা করা হয়।
কখনও কখনও ঘ্রাণহানি অন্য কোনও রোগের একটি পার্শ্বীয় উপসর্গ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে। যেমন করোনাভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯)-এর সংক্রমণ হলে কোনও কোনও ব্যক্তির সাময়িক ঘ্রাণহানি হতে পারে।