Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.

চিন্তা

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
জোস্ ফেরাজ্ দে আলমেদা জুনিয়র (José Ferraz de Almeida Júnior)-এর বইসহ মেয়ে (Girl with a Book)

চিন্তা চিন্তাধারার ফলে আসা ধারণা বা ধারণাবিন্যাসকে বোঝায়। যদিও চিন্তা করা মানবতার একটি অপরিহার্য কার্যকলাপ,একে সংজ্ঞায়িত বা এটা বোঝার কোনো সাধারণ ঐক্যমত্য নেই।.

যেহেতু চিন্তার মানুষের অনেক কর্ম এবং মিথস্ক্রিয়ার কারণ, ঠিক নিচেই বুঝতে এর শারীরিক এবং আধিবিদ্যক উদ্ভব, প্রক্রিয়াসমূহ, এবং প্রভাব বোঝার চেষ্টা ভাষাবিদ্যা, মনোবিজ্ঞান, স্নায়ুবিজ্ঞান, দর্শন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জীববিদ্যা, সমাজবিজ্ঞান এবং সংজ্ঞানাত্মক বিজ্ঞান সহ অনেক পান্ডিত্যশাখার দীর্ঘদিনের লক্ষ্য হয়ে আছে।

চিন্তা করার ফলে মানুষ অনুভূত দুনিয়া জানা, ব্যাখ্যা, চিত্রিত করা, নকশা বানানোতে এবং সেই সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করতে সাহায্য করে। সুতরাং চাহিদা, উদ্দেশ্য এবং ইচ্ছা একটি প্রাণীর সহায়ক কারণ এতে সে পরিকল্পনা করে বা এই লক্ষ্যে সাধন করার প্রচেষ্টা করে।

বু্ৎপত্তি এবং ব্যবহার

ইউজিন দে ব্লাস্ (Eugene de Blaas) -এর একটি ধ্যানমগ্ন মুহূর্ত (A Pensive Moment) (১৯০৪)

"চিন্তা" পদের অর্থ হতে পারে

  • একটি একক ভাবনার পণ্য বা একটি একক ভাবনা ("আমার প্রথম চিন্তা ছিল 'না'।")
  • মানসিক কার্যকলাপের ফল ("গণিত চিন্তার একটা বড় অংশ।")
  • চিন্তাভাবনার প্রক্রিয়া ("আমি খুব বেশি চিন্তার কারণে শ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলাম।")
  • চিন্তা করা, যুক্তি করা, কল্পনা করা ইত্যাদির ক্ষমতা ("তার সকল চিন্তা তার কাজে প্রতিফলিত হয়েছে।")
  • একটি ধারণা উপর বিবেচনা বা ধারণার প্রতিফলন ("মৃত্যুর চিন্তা আমাকে ভয় দেখায়।")
  • মনে করা ("আমি আমার শৈশব নিয়ে চিন্তা করছিলাম।")
  • অর্ধ গঠিত বা অপূর্ণ উদ্দেশ্য ("আমি যাওয়ার ব্যাপারে চিন্তা করছিলাম।")
  • অগ্রজ্ঞান বা প্রত্যাশা ("সে তার সাথে আর কখনোই না দেখা করা ঠিক করেছিল। ")
  • বিবেচনা, মনোযোগ, যত্ন, বা বিবেচনা ("তিনি তার চেহারা ব্যাপারে কোন চিন্তাই করেননি।" এবং "আমি চিন্তার সময় পাই নি।")
  • রায়, মতামত, বা বিশ্বাস ("তার চিন্তা অনুযায়ী, সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।")
  • একটি নির্দিষ্ট জায়গা, বর্গ, বা সময় এর চরিত্রগত ধারণা ("গ্রিক চিন্তাভাবনা")
  • কোনো কিছু ব্যাপারে সচেতন হওয়ার অবস্থা ("এটা আমাকে আমার নানী-এর চিন্তা করায়।")
  • কিছু বিশ্বাস করতে শুরু করা, বিশেষত কিছু কম আস্থার সঙ্গে ("আমি চিন্তা (মনে) করি যে বৃষ্টি হবে, কিন্তু আমি নিশ্চিত নই।")
চিন্তনরত হুইকে (Huike Thinking), দশম শতাব্দীর চিত্রশিল্পী শি কে (Shi Ke)-এর অঙ্কিত চ্যান (Chán) কুলপতি দাজু হুইকে (Dazu Huike)-এর একটি প্রতিকৃতি

এরূপ সংজ্ঞাতে সেসব চিন্তার প্রয়োজন হতে পারে বা নাও হতে পারে যেগুলি

  • একজন মানুষের মস্তিষ্কের মধ্যে সঞ্চালিত হয়,
  • একটি জীবন্ত জৈবিক ব্যবস্থার অংশ হিসাবে সঞ্চালিত হয় (অ্যালান টুরিং দ্রষ্টব্য),
  • শুধুমাত্র সচেতনতার একটি সচেতন স্তরে সঞ্চালিত হয়,
  • ভাষা প্রয়োজন হয়,
  • প্রধানত, বা এমনকি শুধুমাত্র ধারণাগত, বিমূর্ত হয় ("আনুষ্ঠানিক"),
  • অন্যান্য ধারণা যেমন তুলনা অঙ্কন, ব্যাখ্যা করা, মূল্যায়ন করা, কল্পনা করা, পরিকল্পনা করা, এবং মনে রাখার সঙ্গে জড়িত।

এছাড়াও চিন্তার সংজ্ঞা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে চিন্তার তত্ত্ব থেকে উৎপন্ন করা যায়।

তত্ত্বসমূহ

  • "চিন্তাপদ্ধতির এবং চিন্তাযন্ত্রের একটা তত্ত্বের রূপরেখা" (কাইয়ানিয়েলো) - চিন্তাপদ্ধতি ও মানসিক ক্ষমতার উদ্ভব গাণিতিক সমীকরণ সেটের আদলে
  • পৃষ্ঠতল এবং সারমর্ম: চিন্তাভাবনার জ্বালানি ও অগ্নির মত সাদৃশ্য (হফস্ট্যাডার এবং স্যান্ডার) - একটি উপমাভিত্তিক তত্ত্ব
  • ভাষা ও চিন্তাধারার স্নায়বিক তত্ত্ব (ফেল্ডম্যান এবং ল্যাকঅফ) - ভাষা এবং স্থানিক সম্পর্কের স্নায়বিক নকশা
  • চিন্তার ধরন - চিন্তাধারার গড়ন, ক্ষমতা এবং সীমাবদ্ধতা (বায়ুম) - একটি মানসিক নকশাভিত্তিক তত্ত্ব
  • অবচেতন চিন্তাধারার তত্ত্ব - চিন্তা যা সচেতন নয়
  • ভাষাগত তত্ত্ব - চিন্তাধারার বস্তু (স্টিভেন পিংকার, নোম চম্‌স্কি) - ভাষাগত এবং জ্ঞানীয় তত্ত্ব যে অন্বিত এবং ভাষাগত প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ার উপর চিন্তা নির্ভর করে

দর্শনশাস্ত্র

এই চিন্তামূলক সময়ে সবচেয়ে চিন্তার উদ্দীপক বিষয় হল যে আমরা এখনও চিন্তা করছি না। - মার্টিন হাইডেগার

রডিনের ভাবুক (১৮৪০–১৯১৭), মুসি রডিনের বাগানে

দর্শনে প্রপঞ্চবিজ্ঞান আন্দোলন চিন্তা বোঝার উপায়ে আমূল পরিবর্তন এনেছে। বিয়িং এন্ড টাইম-এ মার্টিন হাইডেগারের মানুষের অস্তিত্বের গঠনের প্রপঞ্চবৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ চিন্তা, স্থানান্তর ঐতিহ্যগত জ্ঞান বা মানুষের যৌক্তিক ব্যাখ্যা যা আমাদের চিন্তাভাবনার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে সেই বিষয়ে আলোকপাত করে। ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকে সম্ভব বিষয়ভিত্তিক চেতনা অনুবাদে অ-জ্ঞানীয় বিষয় বোঝার মৌলিক ভূমিকা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পার্শ্ববর্তী আলোচনা অবগত করে।

প্রপঞ্চবিজ্ঞান অবশ্য আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনে চিন্তা করার একমাত্র পন্থা নয়। মানসিক দর্শন দর্শনের একটি শাখা যা মন, মানসিক ঘটনা, মানসিক কার্যকলাপ, মানসিক বৈশিষ্ট্য, চেতনা এবং ভৌত শরীরের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক, বিশেষ করে মস্তিষ্ক সম্পর্কে চর্চা করে। মন-শরীর সমস্যা, অর্থাৎ শরীর ও মনের সম্পর্ক, সাধারণভাবে মানসিক দর্শনের চর্চার বিষয় হিসেবে দেখা হয়, যদিও সেখানে মন ভৌত শরীরের সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা সে বিষয়ে অন্যান্য যুক্তি আছে।

মন-শরীর সমস্যা

মন-শরীর সমস্যা মন বা মানসিক প্রক্রিয়া এবং শারীরিক অবস্থা বা প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের ব্যাখ্যা দেয়। এই শাখায় কর্মরত দার্শনিকদের মূল লক্ষ্য হল মন ও মানসিক অবস্থার / প্রক্রিয়ার প্রকৃতি নির্ধারণ করা এবং কীভাবে বা এমনকি যদি মন দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং শরীরকে প্রভাবিত করতে পারে।

মানব ইন্দ্রিয়লব্ধ অভিজ্ঞতা উদ্দীপনার উপর নির্ভর করে যা বাইরের দুনিয়া থেকে বিভিন্ন সংজ্ঞাবহ অঙ্গ দ্বারা গৃহীত হয় এবং এই উদ্দীপনার পরিণামে মানসিক অবস্থায় পরিবর্তন হয়, যাতে একটি অনুভূতির সৃষ্টি হয়, যা আনন্দদায়ক বা অপ্রীতিকর হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পিজার এক টুকরো খাওয়ার জন্য ইচ্ছা, একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে এবং একটি নির্দিষ্ট দিকে তার শরীরের চলন ঘটাবে যাতে সেই ব্যক্তি যা চায় তা পেতে পারে। তাহলে প্রশ্ন ওঠে ধূসর পদার্থের একটি পিণ্ড থেকে কীভাবে কেবল তড়িৎরাসায়নিক বৈশিষ্ট্য়ের ভিত্তিতে সচেতন অভিজ্ঞতা বেরিয়ে আসে। এই সংশ্লিষ্ট একটি সমস্যা হল কীভাবে কারো উপস্থাপনীয় মনোভাব (উদাঃ বিশ্বাস ও ইচ্ছা) সেই ব্যক্তির নিউরোনকে সঠিক পদ্ধতিতে ইন্ধন দেয় এবং তার পেশী সঠিক ভাবে সংকুচিত করে। এই ধাঁধা অন্তত রনে দেকার্তের সময় থেকে জ্ঞানতাত্ত্বিক এবং মানসিক দার্শনিকদের সম্মুখীন হয়।

ক্রিয়াবাদ বনাম প্রতিমূর্তি

উপরোক্তটি আমরা কীভাবে জ্ঞানী, চিন্তাসক্ষম তন্ত্র হিসেবে কাজ করি তা বোঝায়। অবশ্য আপাতঅসাধ্য মন-শরীর সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে দেহী চেতনা পদ্ধতির দ্বারা, যার মূল প্রেরণা হাইডেগার, পিয়াজেট, ভাইগট্স্কি, মার্লো-পন্টি এবং প্রয়োগবাদ জন ডুয়ি এর কাজকর্ম।

এই পদ্ধতি বলে যে মনকে পৃথক করা এবং তার প্রক্রিয়া বিশ্লেষণের ধ্রুপদী পদ্ধতিটি ভ্রান্ত: পরিবর্তে, আমাদের বোঝা উচিৎ যে মন, একটি শরীরী প্রতিনিধি, এবং পরিবেশ যা এটি উপলব্ধি এবং কল্পনা করে, সমগ্রের একটি অংশ যা একে অপরকে নির্ধারণ করে। অতএব, কেবলই মনের কার্যকরী বিশ্লেষণ সবসময় আমাদের মন-শরীর সমস্যায় অসমাধিত রেখে দেবে।

জীববিদ্যা

নিউরোন ( স্নায়ু কোষ নামেও পরিচিত) স্নায়ুতন্ত্রের একটি উত্তেজনক্ষম কোষ যা তড়িৎরাসায়নিক সংকেত দ্বারা তথ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রেরণ করে। নিউরোন মস্তিষ্ক, মেরুদন্ডী সুষুম্না, অমেরুদণ্ডী উদরসম্বন্ধীয় স্নায়ুসূত্র এবং প্রান্তস্থ স্নায়ুতন্ত্রের মূল উপাদান। নিউরোন বিশেষ ধরনের কাজে সক্ষম; সংজ্ঞাবহ নিউরোন সংজ্ঞাবহ অঙ্গে স্পর্শ, শব্দ, আলো এবং অনেক অন্যান্য উদ্দীপনায় সাড়া দেয় এবং তারপর সুষুম্নাকান্ড এবং মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়। মোটর নিউরোন মস্তিষ্কের এবং সুষুম্নাকান্ড থেকে সংকেত গ্রহণ করে এবং পেশী সংকোচন করে ও গ্রন্থি প্রভাবিত করে। ইন্টারনিউরোন মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকান্ডের মধ্যে নিউরনের সঙ্গে নিউরনের সংযোগ ঘটায়। নিউরোন উদ্দীপনায় সাড়া দেয় এবং উদ্দীপনার উপস্থিতি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে প্রেরণ করে, যাতে এই তথ্য প্রক্রিয়াকরণ হয় এবং করণীয়ের জন্য শরীরের অন্যান্য অংশে প্রতিক্রিয়া পাঠায়। নিউরোন মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় না এবং সাধারণত ধ্বংস হওয়ার পর প্রতিস্থাপিত হয় না, যদিও কখনো কখনো বহুরূপক কোষ য়্যাস্ট্রোসাইট নিউরোনে পরিণত হতে দেখা গেছে।

মনোবিজ্ঞান

একজন মানুষ ট্রেনযাত্রায় চিন্তা করছে।
দেওয়াল লিখন: " 'নিজের জন্য ভাবা' কম অনুকূল হয়ে ওঠে"

মনোবিজ্ঞানীরা একটি প্রশ্নের উত্তর অথবা একটি প্রয়োগিক সমস্যা সমাধান খোঁজার লক্ষ্যে বুদ্ধিগত পরিশ্রমরূপ চিন্তার উপর ঘনীভূত হয়। জ্ঞানীয় মনোবিজ্ঞান মনোবিজ্ঞানের একটি শাখা যা অভ্যন্তরীণ মানসিক প্রক্রিয়া যেমন সমস্যা সমাধান, স্মৃতিশক্তি, এবং ভাষা প্রভৃতি তদন্ত করে। চিন্তার এই পদ্ধতির থেকে উদ্ভূত গোষ্ঠী জ্ঞানবাদ হিসাবে পরিচিত যা কীভাবে মানুষ মানসিকভাবে তথ্য প্রক্রিয়াকরণে প্রতিনিধিত্ব করে সেই বিষয়ে আলোচনা করে। এর ভিত্তি ম্যাক্স বের্থেইমের, উল্ফগং কোহলার, কার্ট কফ্কা প্রমুখের ধাঁচ মনোবিজ্ঞানে আছে, এবং জঁ পিয়াজেঁর কার্যেও রয়েছে, যিনি শিশুদের জ্ঞানীয় উন্নয়ন বর্ণনার পর্যায়ে / পর্যায়ক্রমের উপর একটি তত্ত্ব প্রদান করেন।

জ্ঞানীয় মনোবৈজ্ঞানিকরা মানসভৌতিক এবং পরীক্ষামূলক পন্থা সমস্যা বুঝতে, নির্ণয় করতে, সমাধান করতে ব্যবহার করেন, উদ্দীপক এবং প্রতিক্রিয়ার মধ্যে মধ্যস্থতা রক্ষাকারী মানসিক প্রক্রিয়া ব্যাপারে নিজেদেরকে অবগত করে। তারা যুক্তি মনোবিজ্ঞান সহ চিন্তার বিভিন্ন দিক এবং কীভাবে মানুষ সিদ্ধান্ত ও চয়ন, সমস্যার সমাধান, সেইসাথে সৃজনশীল আবিষ্কারে এবং কল্পনাপ্রবণ চিন্তায় রত হয় তা অধ্যয়ন করেন। জ্ঞানীয় তত্ত্ব বিবাদ করে যে সমস্যার সমাধান অ্যালগরিদমের আকারে গ্রহণ করে -- বিধি যা অগত্যা বোঝা যায় না কিন্তু একটি সমাধান জারি করে, অথবা হিউরিস্টিকের আকারে গ্রহণ করে -- বিধি যা বোঝা যায় কিন্তু সবসময় সমাধান প্রতিশ্রুতি করে না। সংজ্ঞানাত্মক বিজ্ঞান সংজ্ঞানাত্মক মনোবিজ্ঞান থেকে পৃথক সেইসব অ্যালগরিদমের ভিত্তিতে যেগুলি মানুষের আচরণ নকল করা উদ্দেশ্যে বাস্তবায়িত বা একটি কম্পিউটারে বাস্তবায়নযোগ্য। অন্য়ান্য দৃষ্টান্তে, সমাধান, অন্তর্দৃষ্টি, সম্পর্কের হঠাৎ সচেতনতা, দ্বারা পাওয়া যেতে পারে।

উন্নয়নমূলক মনোবিজ্ঞানে চিন্তার বিকাশের গবেষণার জন্ম থেকে পরিপক্বতা পর্যন্ত জঁ পিয়াজেঁর অগ্রণী ভূমিকা ছিল। তার জ্ঞানীয় উন্নয়ন তত্ত্ব অনুসারে, চিন্তা পরিবেশের উপর কর্মের উপর ভিত্তি করে করা হয়। অর্থাৎ পিয়াজেঁর ধারণা যে কর্মপদ্ধতির লক্ষ্যবস্তু আত্তীকরণের মাধ্যমে পরিবেশকে উপলব্ধি করা যায় এবং কর্মপদ্ধতির কমা বস্তু মিটমাট করে। আত্তীকরণ এবং বাসস্থানের মধ্যে এই পারস্পরিক ক্রিয়ার ফলে, চিন্তা ক্রমান্বয়ে বিকাশলাভ করে যা উপস্থাপনা এবং অনুমান এবং বুদ্ধিমানদের জটিলতার ভিত্তিতে একে অপরের থেকে গুণগতভাবে ভিন্ন হয়। অর্থাৎ,জীবনের প্রথম দুই বছরে সংজ্ঞাবহ-অঙ্গসঁচালক পর্যায় থেকে শৈশবের অভ্যন্তরীণ উপস্থাপনা পর্যন্ত অনুভূতি এবং কর্মের উপর ভিত্তি করে চিন্তা বিকশিত হয়। পরবর্তীতে উপস্থাপনা যৌক্তিক কাঠামো অনুযায়ী ক্রমান্বয়ে সাজানো হয় যা প্রথমে বাস্তবতার মূর্ত বৈশিষ্ট্য়ের উপর কাজ করে, তারপর মূর্ত ক্রিয়াকলাপ পর্যায়ে, এবং সবশেষে মূর্ত বৈশিষ্ট্য সংগঠনকারী বিমূর্ত নীতির উপর কাজ করে। সাম্প্রতিককালে, পিয়াজেঁর চিন্তা-বিষয়ক তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ধারণার সাথে একত্রিত করা হয়েছে। ফলে চিন্তাকে উপস্থাপনা এবং তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য দায়ী প্রক্রিয়ার ফল হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই ধারণায়, প্রক্রিয়াকরণ গতি, জ্ঞানীয় নিয়ন্ত্রণ এবং কার্যরত স্মৃতি চিন্তার মূল অন্তর্নিহিত কার্য। জ্ঞানীয় উন্নয়নের নব্য-পিয়াজেঁ মতবাদে, চিন্তার বিকাশ প্রক্রিয়াকরণ গতি, উন্নত জ্ঞানীয় নিয়ন্ত্রণ এবং বর্ধমান কার্যরত স্মৃতি থেকে আসে বলে মনে করা হয়।

ইতিবাচক মনোবিজ্ঞান মানব মনোবিজ্ঞানের ইতিবাচক দিককে মেজাজ রোগ এবং অন্যান্য নেতিবাচক উপসর্গের মতই সমানভাবে জোর দেয়। চরিত্র, ক্ষমতা এবং গুণে পিটারসন এবং সেলিগম্যান ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যের একটি তালিকা বানিয়েছেন। কোনো ব্যক্তি সর্বশক্তিমান আশা করা যায় না, কিংবা তারা সম্পূর্ণরূপে চরিত্রগত এটাও আশা করা যায় না। এই তালিকাটি ইতিবাচক চিন্তাকে উৎসাহিত করে যা একজন ব্যক্তির শক্তির ওপর তৈরী হয়, কীভাবে তাদের "উপসর্গ" "ঠিক" হয় তার বদলে।

মন:সমীক্ষণ

"ইড", "ইগো" এবং "সুপারইগো" "আধ্যাত্মিক যন্ত্রপাতি"-র তিনটি অংশ যা সিগমুন্ড ফ্রয়েডের আত্মার সংগঠনী নকশাতে সংজ্ঞায়িত আছে; এটি তিন তাত্ত্বিক নির্মাণ যার কার্যকলাপ এবং মিথষ্ক্রিয়ার দ্বারা মানসিক জীবন বর্ণনা করা হয়েছে। এই নকশা অনুযায়ী, অসমন্বিত সহজাত প্রবণতা হল "ইড"; আত্মার সংগঠিত বাস্তবসম্মত অংশ হল "ইগো" এবং সমালোচনামূলক ও নৈতিক বৃত্তি হল "সুপারইগো"।

ফ্রয়েড তার মনঃসমীক্ষণ তত্ত্বের বিবর্তনে অচেতনতাকে মানব ইচ্ছাবৃত্তির একটি সংবেদী শক্তি বিবেচনা করেন, যা কিনা ইন্দ্রিয়লব্ধ সচেতন মন অপেক্ষা অনেক নিচে চালিত হয়। ফ্রয়েডের মতে, অচেতনতা স্বভাবজাত ইচ্ছা, চাহিদা, এবং আধ্যাত্মিক শক্তির ভাণ্ডার। বিগত চিন্তাধারা ও স্মৃতিকথা অবিলম্বে চেতনা থেকে গোপন করা হতে পারে, কিন্তু তারা মানুষকে অচেতনতার অন্তর্জগৎ থেকে চিন্তাধারা এবং স্বতন্ত্র অনুভূতি নির্দেশ দেয়।

মনোবিশ্লেষণের জন্য, যা সচেতন নয় কেবল তাই অচেতনতা নয়, বরং যা সচেতন চিন্তার থেকে দাবিয়ে রাখা বা ব্যক্তির সচেতনভাবে জেনে রাখতে যা বিমুখ। এক অর্থে এই দৃশ্য অচেতনতাকে বিপক্ষ হিসাবে দর্শায়, অচেতনতাকে গোপন রাখার জন্য নিজেই সঙ্গে যুদ্ধরত থাকে। একজন ব্যক্তি ব্যথা অনুভব করলে সব তিনি কেবল ব্যথা উপশমের কথাই ভাবেন। ব্যথা থেকে পরিত্রাণের ইচ্ছা তার মনকে হুকুম করে। ফ্রয়েডের মতে, অচেতন মন সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য ধারণা, শুভেচ্ছা বা ইচ্ছা, আঘাতমূলক স্মৃতি এবং বেদনাদায়ক আবেগের একটি সংগ্রহস্থল যা মানসিক নিপীড়নের প্রক্রিয়া দ্বারা মনের আড়ালে চলে গেছে। কিন্তু বিষয়বস্তু নেতিবাচক হওয়া জরূরী নয়। মনঃসমীক্ষার দৃশ্যে, অচেতনতা একটি বল যা শুধুমাত্র তার প্রভাব দ্বারাই বোঝা যায় - এটা লক্ষণ দ্বারা নিজেকে প্রকাশ করে।

সমাজবিজ্ঞান

"চিন্তার বুদ্বুদ" চিন্তা চিত্রিত করার উপায়।

মানুষ এবং গোষ্ঠীর লোকেদের যোগাযোগ করার গবেষণা সামাজিক মনোবিজ্ঞানে করা হয়। এই আন্তঃবিষয়ক ক্ষেত্রের পণ্ডিতরা সাধারণত হয় মনোবৈজ্ঞানিক না হয় সমাজবিজ্ঞানী, যদিও সব সামাজিক মনোবৈজ্ঞানিকরা ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী উভয়কেই বিশ্লেষণের একক হিসেবে মনে করেন।

সাদৃশ্য সত্ত্বেও মানসিক এবং সমাজতাত্ত্বিক গবেষকদের লক্ষ্য, পন্থা, পদ্ধতি, এবং পরিভাষা ভিন্নতর হয়। তারা পৃথক একাডেমিক জার্নাল ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষপাতী হন। সমাজবিজ্ঞানীদের ও মনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে সহযোগিতার সর্বশ্রেষ্ঠ কাল ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকাল সময়ে। যদিও সাম্প্রতিককালে বিচ্ছিন্নতা এবং বিশেষজ্ঞতা বৃদ্ধি হয়েছে, কিছুটা আবৃত এবং প্রভাব দুই নিয়মানুবর্তিতা মধ্যে রয়ে গেছে।

যৌথ অচেতন, যৌথ অবচেতন নামেও পরিচিত, কার্ল জং দ্বারা উদ্ভাবিত বিশ্লেষণাত্মক মনোবিজ্ঞানের একটি শব্দ। এটা অচেতন মনের একটা অংশ, সমাজ, মানুষ বা সকল মানবতার মধ্যে বিভক্ত, একটি পরস্পরসংযুক্ত প্রণালী দ্বারা যা সমস্ত সাধারণ অভিজ্ঞতার এবং বিজ্ঞান, ধর্ম, এবং নৈতিকতার ধারণার ফলশ্রুতি। ফ্রয়েড যেখানে "পৃথক মনোবিজ্ঞান" এবং "যৌথ মনোবিজ্ঞান" -এ পার্থক্য করেননি, জং সেখানে সমষ্টিগত অচেতনকে প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত অবচেতন থেকে পৃথক করেছেন। যৌথ অচেতন "আমাদের প্রজাতির অভিজ্ঞতার একটি জলাধার" নামেও পরিচিত।

জং এর প্রজনক কাজ মনস্তাত্ত্বিক ধরনের সংজ্ঞাসমূহ অধ্যায়ে, "সমষ্টিগত"-এর সংজ্ঞার আওতায় উপস্থাপনা যৌথ প্রসঙ্গ আনেন, একটি শব্দ লুসিয়েন লেভিব্রুল দ্বারা ১৯১০ সালে হাউ নেটিভস থিংক বইয়ে উদ্ভাবিত হয়। জং একেই যৌথ অবচেতন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে ফ্রয়েড যৌথ অবচেতনের ধারণা কখনোই গ্রহণ করেননি।

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

  • উইকিঅভিধানে চিন্তা-এর আভিধানিক সংজ্ঞা পড়ুন।
  • উইকিমিডিয়া কমন্সে চিন্তা সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।

টেমপ্লেট:Human intelligence topics


Новое сообщение