Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
জীজা ঘোষ
জীজা ঘোষ | |
---|---|
মাতৃশিক্ষায়তন | প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | সমাজকর্মী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য কাজ করেন |
জীজা ঘোষ সেরিব্রাল পলসি (স্থায়ীভাবে নড়াচড়ায় অশক্ত, শৈশবের শুরুতেই দেখা যায়) নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। এটি এমন একটি অবস্থা, যেটি গর্ভাবস্থায় বা শিশুর জন্ম সময়েই তৈরী হয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় বা শিশুর জন্ম সময়ে যদী শিশুর মস্তিষ্কে যথেষ্ট পরিমান অক্সিজেন না যায়, তবে এই অবস্থা আসতে পারে এবং এটি একটি স্থায়ী ক্ষতি। জীজা, ইন্ডিয়ান ইনস্টিট্যুট অফ সেরিব্রাল পলসি এবং কলকাতার (ক্যালকাটা) লা মার্টিনিয়র ফর গার্লস থেকে বিদ্যালয় শিক্ষা সমাপ্ত করেন। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে সম্মাননা দিয়ে স্নাতক পরীক্ষা পাস করেন। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিল্লি স্কুল অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক থেকে সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর (মাস্টার অফ সোশ্যাল ওয়ার্কস, এমএসডব্লিউ) পাস করে একজন যোগ্য সামাজিক কর্মী। ২০০৬ সালে, তিনি যুক্তরাজ্যের লীডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিসএবিলিটি স্টাডিজে তার দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
কর্ম জীবন
জীজা গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত। তিনি অধিকার ভিত্তিক পদ্ধতি এবং সব মানুষের সমান মর্যাদায় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রতিবন্ধী মানুষদের আন্দোলনের একটি অগ্রণী মুখ এবং সারা ভারত জুড়ে অন্যান্য প্রতিবন্ধী অধিকার কর্মীদের সাথে বিশেষ ভাবে সংযুক্ত। তিনি বিশেষ ভাবে জোর দেন প্রতিবন্ধী মহিলাদের নিয়ে কাজ করার জন্য। জীজা অনেক কর্মশালা পরিচালনা করেছেন এবং বিভিন্ন সেমিনার এবং সম্মেলনে তার রচনা উপস্থাপন করেছেন। তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের বহু ফোরাম, যেমন, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর অগমেন্টেটিভ অ্যান্ড অল্টারনেটিভ কম্যুনিকেশন (আইএসএএসি), ব্রিটিশ কাউন্সিল ইত্যাদি জাগায়তে তার রচনা নিয়ে গেছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশন কর্তৃক তাকে সম্মানিত করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে অসাধারণ পেশাগত সেবার জন্য তিনি শ্রী এন.ডি. দিওয়ান স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছেন। মুম্বাইয়ের ন্যাশনাল সোসাইটি ফর ইক্যুয়াল অপরচ্যুনিটি অফ দ্য হ্যান্ডিক্যাপড (এনএএসইওএইচ) তাকে এই পুরস্কার প্রদান করেছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিসএবিলিটি কমিশনারের পক্ষ থেকে রোল মডেল (অনুকরণীয় ব্যক্তি) পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি দ্য টেলিগ্রাফ, ফ্রেন্ডস এফ এম এবং অন্যান্য সংগঠন দ্বারা সম্মানিত হয়েছেন। ভারতের মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের একটি বিশেষ মামলায় (জীজা ঘোষ এবং এএনআর. বনাম স্পাইসজেট এবং আদার্স) জীজা একটি প্রধান চরিত্র। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমান অধিকারের জন্য তিনি এই মামলাটি করেছিলেন, এবং ঐতিহাসিক রায় তার পক্ষে গেছিল।
লেখালেখি এবং সৃজনশীল শিল্পে জীজার আগ্রহ রয়েছে। তিনি কবিতা লিখতে অত্যন্ত ভালবাসেন। সম্প্রতি তিনি, ওয়ান লিটল ফিঙ্গার : এবিলিটি ইন ডিসএবিলিটি, নামে একটি চলচ্চিত্রে, প্রধান পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন। এটির নির্দেশক ছিলেন ড. রূপম শর্মা। চলচ্চিত্রটি এখন উৎপাদন পরবর্তী (পোস্ট প্রোডাকশন) পর্যায়ে রয়েছে। জীজা, সমবেত থিয়েটার গ্রুপ কথা কলম এর একজন সদস্য এবং তিনি, নির্ভয়া ঘটনাকে অনুসরণ করে রচিত তাদের একটি উৎপাদন, - ব্ল্যাক হোল আর নট ব্ল্যাক - এর অংশ।
আই অ্যাম জিজা নামের একটি তথ্য চিত্র তার জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, এটি ভারতের পিএসবিটি ও ভারতীয় দূরদর্শন কর্তৃক উৎপাদিত। এর নির্দেশনাতে রয়েছেন স্বাতী চক্রবর্তী। "আই অ্যাম জিজা" ছবিটি ভারত সরকারের কাছ থেকে ২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছে। এই চলচ্চিত্রটি অ-ফিচার ফিল্ম বিভাগে সামাজিক সমস্যাগুলির জন্য সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে।
তিনি এখন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সেরিব্রাল পলসিতে অ্যাডভোকেসি এবং ডিসএবিলিটি স্টাডির প্রধান হিসাবে কাজ করেন। জীজা সকল মানুষের সমতায় বিশ্বাস করেন। সমাজের পরিবর্তন এবং প্রতিবন্ধী ও অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলির জন্য একটি জায়গা তৈরি করতে, তিনি দৃঢ়ভাবে অনুভব করেন যে এই গোষ্ঠীগুলিকে কীভাবে দেখা হয় এবং বোঝা হয় সেই দৃষ্টিকোণের পরিবর্তন হওয়া দরকার।