Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
তীক্ষ্ণদন্তী
Rodents সময়গত পরিসীমা: ৫৬–০কোটি Late Paleocene–Holocene | |
---|---|
Clockwise from top left: capybara, springhare, golden-mantled ground squirrel, house mouse and North American beaver representing the suborders Hystricomorpha, Anomaluromorpha, Sciuromorpha, Myomorpha, and Castorimorpha, respectively. | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | অ্যানিম্যালিয়া (Animalia) |
পর্ব: | কর্ডাটা (Chordata) |
শ্রেণী: | ম্যামালিয়া (Mammalia) |
গোষ্ঠী: | Simplicidentata |
বর্গ: |
Rodentia Bowdich, 1821 |
Suborders | |
Anomaluromorpha | |
Combined range of all rodent species (not including introduced populations) |
তীক্ষ্ণদন্তী বা দন্তুর প্রাণী (ইংরেজি: Rodent) বলতে ইঁদুর জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণীর একটি বড় দলকে বোঝায়। ইঁদুর ছাড়াও এই দলে আছে খরগোশ, কাঠবিড়ালী, সজারু, ইত্যাদি। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া অন্য সব মহাদেশেই এদের পাওয়া যায়। ধারালো দাঁত থাকার কারণে তীক্ষ্ণদন্তীরা কাঠ, কাগজ ইত্যাদি শক্ত বস্তু সহজে খেতে পারে। তবে এরা মূলত তৃণভোজী। কিছু কিছু তীক্ষ্ণদন্তী মানুষের পোষ মেনে থাকে। কিছু কিছু তীক্ষ্ণদন্তী আবার রোগ জীবাণু বহন করে। সব তীক্ষ্ণদন্তীরই লেজ রয়েছে।তীক্ষ্ণদন্তী থেকেই সব স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভব হয়েছে।
ইংরেজি নামকরণ
খাবার খাওয়ার সময় তীক্ষ্ণদন্তীরা ধারাল দাঁত দিয়ে খাদ্যবস্তুকে ক্রমাগত এবং খুব দ্রুত আঘাত করে থাকে। এভাবে আঘাতে আঘাতে তারা বস্তুটিকে চিরে ফেলে। বার বার খোঁটানোকে লাতিন ভাষায় বলে Rodere (রোদেরে) । তীক্ষ্ণদন্তীদের এই অভ্যাস থেকেই তাদের ইংরেজি নাম Rodent-এর উৎপত্তি।
বৈচিত্র্যময় পরিবার
বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি তীক্ষ্ণদন্তী আছে। অধিকাংশ তীক্ষ্ণদন্তীই আকৃতিতে তেমন বড় নয়। সবচেয়ে বড় তীক্ষ্ণদন্তী হল ক্যাপিবারা (Capybara)। এরা দৈর্ঘ্যে প্রায় ৪ (চার) ফুট এবং এদের ওজন ৮০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। অন্যদিকে বামন জের্বোয়া (Pygmy Jerboa) হল সবচেয়ে ছোট তীক্ষ্ণদন্তী; এরা মাত্র দুই ইঞ্চি লম্বা এবং ওজনে মাত্র আধা কেজির মত হয়ে থাকে। তীক্ষ্ণদন্তীদের মধ্যে ইঁদুরদের অনেকগুলি প্রজাতি আছে।
বিচরণভূমি
পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই তীক্ষ্ণদন্তীরা বিচরণ করছে। মরুভূমিতে যেমন কিছু তীক্ষ্ণদন্তী পাওয়া যায়, তেমনি মরু অঞ্চলেও এদের কিছু প্রজাতি বাস করে। অন্যদিকে, কাঠবিড়ালি জাতীয় তীক্ষ্ণদন্তীরা গাছে বাস করে। তৃণ জাতীয় খাবার খায় বলে তৃণভূমি ও এদের আশেপাশেই এদের বেশি পাওয়া যায়।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য
এই প্রাণীদের দুই চোয়ালেই তীক্ষ্ণ দাঁত থাকে। এদের দাঁত এনামেল ও ডেন্টিন দিয়ে গঠিত। চিবানোর সময় দাঁত ক্রমাগত ক্ষয় হয়, যার ফলে এদের দাঁত সবসময় ধারালো থাকে। এদের দাঁতগুলো সবসময় বাড়তে থাকে।
খাদ্যাভ্যাস
দাঁত ধারালো হলেও অধিকাংশ তীক্ষ্ণদন্তীই মাংসাশী নয়। বরং তীক্ষ্ণ দাঁত দিয়ে এরা ফলমূল, লতাপাতা, তৃণ- জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে। কিছু কিছু তীক্ষ্ণদন্তী পোকামাকড় ও মাছও খেয়ে থাকে।
শ্রবণশক্তি
তীক্ষ্ণদন্তীদের শ্রবণশক্তি খুবই প্রখর। অধিকাংশ সময় অন্ধকারে কাটায় বলেই এদের এই তীক্ষ্ণ শ্রবণশক্তি তৈরি হয়েছে। এরা অবশব্দ থেকে শুরু করে উচ্চশব্দ পর্যন্ত বিভিন্ন শব্দ খুব ভালো শুনতে পায়। যেমন, হাতের তালুতে আঙ্গুল ঘষলে যে শব্দ তৈরি হয়, একটা ইঁদুর তা সহজেই শুনতে পারে।
বুদ্ধিমত্তা
যেহেতু তীক্ষ্ণদন্তীরাই সব স্তন্যপায়ী প্রাণীর পূর্বপুরুষ, তাই তাদের বুদ্ধি অনেক প্রাণীর চেয়ে বেশি। এরা দ্রুত নতুন জিনিস শিখতে পারে। তাই এদের সহজেই প্রশিক্ষণ দিয়ে খেলা দেখানো যায়।
দলবেঁধে বাস
দল গঠনের ভিত্তিতে তীক্ষ্ণদন্তীদের তিন ভাগে ভাগ করা যায় –
- যারা মোটেই দলবেঁধে থাকে না, একাই চলে।
- যারা প্রজনন ঋতু বা বছরের বিশেষ সময়ে দল বাঁধে।
- যারা সবসময়েই দলবদ্ধ থাকে।
দলবেঁধে থাকার বৈশিষ্ট্যটি বিবর্তনের ধারায় প্রাকৃতিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে। কারণ এতে শিকারির হাতে মারা যাওয়ার মাথাপিছু ঝুঁকি কমে এবং টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়ে। খাবার সংগ্রহের ক্ষেত্রে দলবেঁধে চলাটা তীক্ষ্ণদন্তীদের কোন কাজে আসে না। প্রত্যেকেই নিজ নিজ খাবার সংগ্রহ করে খায়। তাই যেসব স্থানে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম, সেখানকার তীক্ষ্ণদন্তীদের মধ্যে দল গঠনের বৈশিষ্ট্য নেই। অর্থাৎ সেসব তীক্ষ্ণদন্তী একাই বাস করে।
শীতনিদ্রা
মেরু অঞ্চলে বাস করা কিছু কিছু তীক্ষ্ণদন্তীদের মধ্যে শীতনিদ্রা প্রবৃত্তি দেখা যায়।
পরিবেশে গুরুত্ব
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তীক্ষ্ণদন্তীদের গুরুত্ব রয়েছে। এরা ফলমূল খেয়ে থাকে বলে উদ্ভিদের বীজ এদের মাধ্যমেই বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এবং সেখানে গাছ জন্ম নেয়। এরা খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে তাই এদের যেসব প্রাণী শিকার করে খায়, তাদের সংখ্যাও সহজে কমে না।
রোগের বাহক
তীক্ষ্ণদন্তীদের কিছু প্রজাতি বেশ কিছু রোগের বাহক। চতুর্দশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে প্লেগ (Plague) নামে ইঁদুরবাহিত এক ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের মহামারিতে ইউরোপের অসংখ্য মানুষ মারা যায়।