তৈমুর লং
| তৈমুর | |||||||||
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| আমির | |||||||||
|
তৈমুরের পুনর্গঠন সামারকানদে.
| |||||||||
| তিমুরিদ সাম্রাজ্যের প্রথম আমির | |||||||||
| রাজত্ব | ডিসেম্বর ১৩৬৯ – ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৪০৫ | ||||||||
| রাজ্যাভিষেক | ডিসেম্বর ১৩৬৯ বালখ | ||||||||
| পূর্বসূরি | আমির হুসাইন | ||||||||
| উত্তরসূরি | খলিল সুলতান | ||||||||
| উচ্চতা | ৬+ ফুটের বেশি | ||||||||
| জন্ম | ৯ এপ্রিল ১৩৩৪ কিশ, চাগতাই খানাত |
||||||||
| মৃত্যু | ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৪০৫ (প্রায় ৭০ বছর বয়সী) ওতরার, ফারাব, |
||||||||
| সমাধি | |||||||||
| দাম্পত্য সঙ্গী |
|
||||||||
| বংশধর বিস্তারিত |
|||||||||
| |||||||||
| প্রতিষ্ঠা ঘর পিতৃপুরূষ ঘর |
তৈমুরিও রাজবংশ বার্লুস গোত্র/উপজাতি/রাজবংশ |
||||||||
| পিতা | আমীর তারাগাই | ||||||||
| মাতা | তেকিনা খাতুন | ||||||||
| ধর্ম | ইসলাম | ||||||||
তৈমুর বিন তারাগাই বার্লুস (চাগাতাই ভাষায়: تیمور - তেমোর্, "লোহা") (৯ এপ্রিল ১৩৩৪ – ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৪০৫) ১৪শ শতকের একজন মোঙ্গল সেনাধ্যক্ষ। তিনি পশ্চিম ও মধ্য এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিজ দখলে এনে তৈমুরীয় সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন যা ১৩৬৯ থেকে ১৪০৫ সাল পর্যন্ত নেতৃত্বে আসীন ছিল। এই অপরাজেয় সমরবিদ ইতিহাসের অন্যতম সফল সেনানায়ক হিসেবে পরিগণিত হন। এছাড়াও তার কারণেই তৈমুরীয় রাজবংশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই বংশ কোনো না কোনোভাবে ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে নেতৃত্বে আসীন ছিল। তিনি তিমুরে ল্যাংগ্ (ফার্সি ভাষায়: تیمور لنگ ) নামেও পরিচিত, যার অর্থ খোঁড়া তৈমুর। তার আসল নাম সুজাউদ্দিন বেগ তৈমুর বারলাস । যুদ্ধ করতে গিয়ে তিনি আহত হন, যার ফলে তার একটি পা অকেজো হয়ে যায় এবং তিনি খোঁড়া বা ল্যাংড়া হয়ে যান। তিনি মহান সেলযুক সাম্রাজ্যের শাসক সুলতান তুঘরিল বেগকে অনুপ্রেরণা হিসেবে অনুসরণ করতেন। তিনি তুঘরিল বেগের সরাসরি বংশধর না হলেও চেঙ্গিস খানের বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই অর্গুজ গোত্রেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবং তিনিও আলেকজান্ডার ও চেঙ্গিস খানের মতো বিশ্বজয়ে সৈন্যবাহিনী নিয়ে বের হয়েছিলেন। এ নিয়ে বিশ্ব বিজেতা তৈমুর লং, দিগ্বিজয়ী তৈমুর, দুনিয়া কাঁপানো তৈমুর লং নামের অনেকগুলো বইও রচিত হয়েছে। তার সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল আধুনিক তুরস্ক, সিরিয়া, ইরাক, কুয়েত, ইরান থেকে মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ অংশ যার মধ্যে রয়েছে কাজাখস্তান, আফগানিস্তান, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজিস্তান, পাকিস্তান, ভারতবর্ষ এমনকি চীনের কাশগর পর্যন্ত। তিনি একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রচনা করিয়ে যান যার নাম তুজুক ই তৈমুরী।
জন জোসেফ স্যান্ডার্সের মতে, তৈমুর হলেন "একটি ইসলামিক ও ইরানীয় সমাজের ফসল", এবং স্তেপ যাযাবর নয়।
চিত্রশালা
বহিঃসংযোগ
- তৈমুরের জীবন
- টাওয়ার্স অব টেরর
- আঙ্কারার যুদ্ধ
- তৈমুর-ই লং -এর উত্থান
- তৈমুরীয় রাজবংশ
- রাজা তৈমুরের একটি স্মৃতিকথা (মালফুজাত-ই তৈমুরি) - ভারত দখলের পর তার লিখিত স্মৃতিকথা
- তৈমুর লং দ্য গ্রেট: প্রথম খণ্ড
- অনলাইন ব্রিটানিকা সংক্ষিপ্ত বিশ্বকোষ, ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ তৈমুর সম্বন্ধে অন্যান্য তথ্যের জন্য
ভূমিকা
তৈমুরের রাজ্য
গোল্ডেন হোর্ডে তৈমুরের আক্রমণ তৈমুর 1336 সালে ট্রান্স-আমু এবং সার নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল ট্রান্স-অক্সিয়ানার মাওরাউন্নাহরের কেশ বা শাহর-ই-সাবজ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাপ-দাদারা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তাই তৈমুরও ইসলামের একজন কট্টর অনুসারী হয়ে ওঠেন। তিনি একজন অত্যন্ত মেধাবী এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তি ছিলেন। চেঙ্গিস খান এবং আলেকজান্ডারের মতো মহান মঙ্গোল বিজেতারা বিশ্ব জয়ের আকাঙ্খা করেছিলেন।
1369 সালে সমরকন্দের মঙ্গোল শাসকের মৃত্যুর পর, তিনি সমরকন্দের সিংহাসন দখল করেন এবং তার পরে তিনি পূর্ণ শক্তির সাথে দিগ্বিজয় আরোহণের কাজ শুরু করেন। তিনি চেঙ্গিস খানের পদ্ধতিতে তার সামরিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং চেঙ্গিসের মতো তিনি দূর-দূরান্তের দেশগুলিতে নিষ্ঠুরতা ও নির্মমতার সাথে আক্রমণ করেছিলেন এবং তাদের ধ্বংস করেছিলেন।