Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
ধর্ম এবং স্বপ্নের মনস্তত্ব
Другие языки:

ধর্ম এবং স্বপ্নের মনস্তত্ব

Подписчиков: 0, рейтинг: 0

ধর্ম এবং স্বপ্নের মনোবিজ্ঞান এর মাধ্যমে মৃতের সাথে যোগাযোগ ও তাকে বুঝার উৎস হিসেবে স্বপ্নকে বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। একটি সমাজে বিদ্যমান ঐতিহ্যকে ধারণ করা কমিউনিটি গুলো (যারা ধর্মকর্ম সহ নানান কুসংস্কারকে পালন করে) স্বপ্নকে অন্য দুনিয়ার (মুলত আধ্যাত্মিক দুনিয়া) সাথে যোগাযোগের দ্বার বা পথ মনে করে। এই সমাজগুলো এমনও বলেছে যে; তারা তাদের ধর্মীয় যে ধারণা সেগুলো স্বপ্ন থেকেই পেয়েছেন। তারা মনে করে, স্বপ্নের মধ্য দিয়ে তারা অতিপ্রাকৃত বা পবিত্র রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে। ২১ শতকে মনস্তাত্ত্বিকরা স্বপ্ন নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন; কারণ এটা দেখা গিয়েছে, স্বপ্ন ও ধর্মের মধ্যে যে সংযোগ; তা স্বাস্থ্যের ভালোর জন্যই তৈরী করা হয়েছে । যাইহোক, অনেক মনস্তাত্ত্বিক এটাও দাবী করেছেন, ধর্মের মনস্তত্ব এবং স্বপ্নের উপর করা গবেষণার জন্য খুব বেশি প্রমাণ নেই।

স্বপ্নের ব্যাখ্যা

ঐতিহ্যগতভাবে, স্বপ্ন এবং তাকে ধর্ম দিয়ে ব্যাখ্যা করার যে ধারণা; তা সমগ্র বিশ্বেই দেখা যায়। বিশ্বজুড়ে থাকা কিছু সংস্কৃতি মনে করে; ধর্ম দিয়ে স্বপ্নের ব্যাখ্যা করাটাই ধর্মীয় নিয়ম।টেমপ্লেট:Ums স্বপ্নের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণের মাধ্যমে; ধর্ম ও স্বপ্নের মধ্যে যে সংযোগ আছে; তার মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গীর বিকাশ ঘটে। অবিচ্ছিন্ন তত্বের মতে; স্বপ্ন এবং এবং জাগ্রত বোধের সবকিছু একই, শুধু একটা জায়গায় ভিন্নতা আছে, আর তা হলো, স্বপ্ন সম্পর্কিত বোধের মধ্যে প্রতিফলিত হবার ক্ষমতা নেই। এর বিপরীত তত্বের মধ্যে স্বপ্ন ও জাগ্রত বোধের মধ্যে সবকিছুই একে অপর থেকে আলাদা। কার্ল ইয়াং এবং সিগমুয়েড ফ্রয়েডের মত গবেষকদের মতে, স্বপ্ন তৈরীর প্রক্রিয়া নিশ্চয়ই আরো বেশি প্রতীকধর্মী; যেকারণে এর উদ্দেশ্যকে ব্যাখ্যা করার জন্য রুপক ব্যবহার করতে হয়।

বিশ্বজুড়ে দৃষ্টিভঙ্গী

স্বপ্নকে ধর্মীয় দৃষ্টি দিয়ে ব্যাখ্যা করাটা বিশ্বজুড়েই দেখা যায়। সংস্কারপালন কারী সমাজ স্বপ্নকে মানসিক স্থিতির চেয়েও বেশিকিছু ভাবত। ২১ শতকে বেশিরভাগ ধর্মেরই; ধর্ম দিয়ে স্বপ্নকে ব্যাখ্যা করার নতুন ধারা চালু হয়। প্রত্যেক সংস্কৃতিরই তাদের ঐতিহ্য এবং সমসাময়িক বিশ্বাস; স্বপ্নকে ব্যাখ্যা করার সময় মূর্ত হয়ে উঠত। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন সমাজে এই স্বপ্নকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে; তা জানা। যাতে করে ধর্ম ও স্বপ্নের মধ্যে সংযোগকে আরো ভালোভাবে বুঝা যায়।

পূর্ব দিকের দৃষ্টিভঙ্গি

বৌদ্ধ ধর্মে

হিন্দু ধর্ম এবং বৌদ্ধ ধর্মে স্বপ্নের উদ্ভবের জন্য ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্ব প্রচলিত আছে; তার মধ্যে একটি হলো নিদ্রাহীনতাই স্বপ্নের উদ্ভব ঘটায়। স্বপ্ন এবং ধর্মের উদ্ভ‌‌বের সম্ভাবনার এ বিষয়টি পুর্বীয় সংস্কৃতিতে স্বতন্ত্র; কারণ পশ্চিমা সংস্কৃতিতে এটি খুব একটা দেখা যায় না। একসময় পশ্চিমা লেখকরা স্বপ্নহীন ঘুমের কথা বলতে চাইলে হিন্দু অথবা বৌদ্ধধর্মকে তথ্যসূত্র হিসেবে ব্যবহার করতো। এই পূর্বাঞ্চলীয় দৃষ্টিভঙ্গি বৌদ্ধ চার্চগুলির প্রথাকে প্রতীয়মান হতে পারে কীভাবে একটি অনন্য অন্তর্দৃষ্টি দেয়। পূর্বে উল্লিখিত এই dreamless ঘুম তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মাচরণের অভ্যাস একটি অংশ বিশেষ, মানসিক রাষ্ট্র অর্জনের আগে ঘুম ঘুমাতেন। তাদের এই অভিজ্ঞতা যেমন দর্শনীয় থাকার বর্ণনা এবং স্বপ্নহীন ঘুম অর্জনের জন্য উপস্থিত হতে কিছু দর্শনীয় মানদণ্ড প্রয়োজন। প্রশংসার সর্বোচ্চ ফর্ম হল যে এটি বৌদ্ধ অনুশীলন এবং ধ্যানে তাদের অগ্রগতির জন্য বাস্তবিক নির্দেশিকা দেয়।

ইসলাম

মুসলিম সমাজ বিশ্বাস করে ভিন্ন ধরনের স্বপ্ন দেখার মানে হল, তাদের বিশ্বাসের জন্য শহীদ হওয়া, মানুষদের সংস্পর্শে আসা। তারা বিশ্বাস করে এই স্বপ্নের মাধ্যমে মৃত আত্মা তাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানান দেয় এবং ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে অবহিত করে, জানান দেয় উন্নত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে। তাদেরকে ধর্মের সাথে গভীর সংস্পর্শে আসার জন্য আহবান করে এবং বিপদজনক কাজ থেকে দূরে থাকার বিরুদ্ধে নিরদেশ দেয়। তাদের বিশ্বাস এমনকি এ স্বপ্নের মাধ্যমে তারা তাদের পত্নীও নির্ধারণ করতে পারে। তারা মনে করে ধর্মপ্রাণ মুসলিম জাগ্রত অবস্থায় ওয়াকিবহাল নয় এমন কিছু বিষয়ও স্বপ্ন থেকে পাওয়া যায় ।


Новое сообщение