Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.

নর্মা শিয়েরার

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
নর্মা শিয়েরার
Norma Shearer
Norma Shearer Stars of the Photoplay.jpg
১৯৩০ সালে ফটোপ্লে ম্যাগাজিনে শিয়েরারের ছবি
জন্ম
এডিথ নর্মা শিয়েরার

(১৯০২-০৮-১১)১১ আগস্ট ১৯০২
মৃত্যু ১২ জুন ১৯৮৩(1983-06-12) (বয়স ৮০)
মৃত্যুর কারণ ব্রঙ্কিয়াল নিউমোনিয়া
সমাধি ফরেস্ট লেন মেমোরিয়াল পার্ক, গ্লেনডেল
নাগরিকত্ব কানাডীয়
মার্কিন
পেশা অভিনেত্রী
কর্মজীবন ১৯১৯-১৯৪২
দাম্পত্য সঙ্গী আরভিং থালবার্গ (বি. ১৯২৭; মৃ. ১৯৩৬)
মার্টিন আরোগ (বি. ১৯৪২)
সন্তান আরভিং থালবার্গ জুনিয়র (১৯৩০-১৯৮৭)
ক্যাথরিন থালবার্গ (১৯৩৫-২০০৬)
পিতা-মাতা অ্যান্ড্রু শিয়েরার (পিতা)
এডিথ মে ফিশার (মাতা)
আত্মীয় আথোল শিয়েরার (বোন)
ডগলাস শিয়েরার (ভাই)
পুরস্কার একাডেমি পুরস্কার (১৯৩০)
ভোল্পি কাপ (১৯৩৮)

এডিথ নর্মা শিয়েরার (Edith Norma Shearer; ১১ আগস্ট ১৯০২ - ১২ জুন ১৯৮৩) ছিলেন একজন কানাডীয়-মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি ১৯২৫ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত হলিউডের অন্যতম তারকা ছিলেন। তিনি নোয়েল কাওয়ার্ড, ইউজিন ওনিলউইলিয়াম শেকসপিয়ারের বিভিন্ন রচনার চলচ্চিত্র উপযোগকরণে অভিনয় করেছেন। তিনি প্রথম অভিনেত্রী হিসেবে পাঁচবার অভিনয়ের জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন, এবং দ্য ডিভোর্সি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য একবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর তিনি দেয়ার ওউন ডিজায়ার (১৯৩০) চলচ্চিত্রের জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন। এছাড়া তিনি আ ফ্রি সোল (১৯৩১), দ্য বেরেটস্‌ অব উইম্পল স্ট্রিট (১৯৩৪), রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট (১৯৩৬) ও মারি অঁতোয়ানেত চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তার বাকি চারটি মনোনয়ন পান। তিনি পাঁচবার একাডেমি পুরস্কারে মনোনীত প্রথম অভিনেত্রী।

শিয়েরারের কাজের পর্যালোচনা করতে গিয়ে মাইক লাসাল তাকে "১৯৩০-এর দশকের আধুনিক নারীত্বের আদর্শ" বলে উল্লেখ করেন, যিনি "সততার সাথে ভালোবাসা ও যৌনতা খুঁজেছেন, যা আধুনিক মানদণ্ডে অকপট বলে বিবেচিত হতো"। ফলে শিয়েরারকে নারীবাদের অগ্রদূত বলে গণ্য করা হয় এবং বলা হয় তিনি "প্রথম মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, যিনি পর্দায় একা থাকা ও কুমারী না থাকাকে গ্রহণযোগ্য করে তুলেন"।

প্রারম্ভিক জীবন

শিয়েরার ১৯০২ সালের ১১ই আগস্ট কানাডার কেবেক অঙ্গরাজ্যের মন্ট্রিয়লে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্কটিশ, ইংরেজ ও আইরিশ বংশোদ্ভূত। তার শৈশব কাটে মন্ট্রিয়লে। সেখানে তিনি মন্ট্রিয়ল হাই স্কুল ফর গার্লস ও ওয়েস্টমাউন্ট হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন। তার পিতার নির্মাণ ব্যবসায়ে সফলতার কারণে তার শৈশবে সুযোগ-সুবিধার মধ্যে কাটে। তবে তার পিতামাতার বৈবাহিক জীবন সুখের ছিল না। তার পিতা অ্যান্ড্রু শিয়েরার হতাশায় ভুগতেন এবং সারা বাড়ি জুড়ে ছায়া বা অশরীরীর মত ঘুরে বেড়াতেন। অন্যদিকে তার মাতা ইডিথ ফিশার শিয়েরার আকর্ষক, জৌলুসপূর্ণ ও কেতাদুরস্ত ছিলেন। কিশোরী নর্মা সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহী ছিলেন, কিন্তু তার নবম জন্মদিনে ভডেভিল অনুষ্ঠান দেখার পর তিনি ঘোষণা দেন তিনি অভিনেত্রী হতে চান।

কর্মজীবন

প্রাক-কোড

তার প্রথম সবাক চলচ্চিত্র হল দ্য ট্রায়াল অব ম্যারি ডুগান (১৯২৯), যা বেশ সফলতা অর্জন করে। শিয়েরারের "লঘুগ্রাম, অনর্গল ও নমনীয় কানাডীয় উচ্চারণভঙ্গি, যা পুরোপুরি মার্কিন নয়, কিন্তু একেবারে বিদেশিও নয়" সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে এবং তা পরবর্তীকালে সবাক চলচ্চিত্রে সফলতার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন অন্যান্য অভিনেত্রীরাও অনুকরণ করে। একই বছর তার পরবর্তী চলচ্চিত্র দ্য লাস্ট অব মিসেস চেনিদেয়ার ওউন ডিজায়ার-এ অভিনয় করেও তিনি সফলতা অর্জন করেন। দেয়ার ওন ডিজায়ার চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ১৯৩০ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারে মনোনীত হন। এই সফলতা সত্ত্বেও শিয়েরার ভীত হন যে দর্শক হয়ত তার "ভালো মেয়ে" ভাবমূর্তি দেখতে দেখতে তার প্রতি আগ্রহহীন হয়ে যাবে। তিনি তার বন্ধু ও সহশিল্পী রামোন নোভারোর পরামর্শে অপরিচিত আলোকচিত্রী জর্জ হারেলের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি একাধিক কামোদ্দীপক ছবি তুলেন, যা দেখে তার স্বামী আরভিং থালবার্গ তাকে এমজিএমের দ্য ডিভোর্সি চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রের জন্য বাছাই করেন। শিয়েরার এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।

এরপর তিনি একাধিক প্রাক-কোড চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সফলতা অর্জন করেন, তন্মধ্যে রয়েছে লেট আস বি গে (১৯৩০), স্ট্রেঞ্জার্স মে কিস (১৯৩১), প্রাইভেট লাইভস (১৯৩১), ও স্ট্রেঞ্জ ইন্টারলুড (১৯৩২)। এই সময়ে তিনি লেসলি হাওয়ার্ডক্লার্ক গেবলের সাথে আ ফ্রি সোল (১৯৩১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তার তৃতীয় একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এই সবকয়টি চলচ্চিত্র বক্স অফিসে সফলতা লাভ করে, ফলে শিয়েরার এই দশকের বাকি সময় ধরে জোন ক্রফোর্ড, গ্রেটা গার্বোজিন হার্লোর সাথে এমজিএমের শীর্ষ অভিনেত্রী হিসেবে অবস্থান করেন।

এমজিএমের ফার্স্ট লেডি

১৯৩৪ সালে চলচ্চিত্র নির্মাণে কোড প্রণয়নের পর শিয়েরার ঐতিহাসিক নাট্যধর্মী ও "মর্যাদাপূর্ণ" চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। এই সকল চলচ্চিত্রের মধ্যে দ্য বেরেটস্‌ অব উইম্পল স্ট্রিট (১৯৩৪) বক্স অফিসে সর্বাধিক সফলতা অর্জন করে। চলচ্চিত্রটি $৬৬৮,০০০ আয় করে। এই চলচ্চিত্রে তিনি ভিক্টোরীয় যুগের কবি এলিজাবেথ বেরেট ব্রাউনিং চরিত্রে অভিনয় করেন। অভিনেত্রী ক্যাথরিন কর্নেল এই চরিত্রটিকে মঞ্চে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শিয়েরার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি কর্নেলের জনপ্রিয় করে তোলা আরও দুটি চরিত্রে অভিনয় করেন। তন্মধ্যে রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট (১৯৩৬) চলচ্চিত্রে তিনি জুলিয়েট চরিত্রে অভিনয় করেন। এটি ১৯৩০-এর দশকে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র যা ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়। তবে তিনি এই কাজের জন্য আরেকটি অস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। অপর চলচ্চিত্র মারি অঁতোয়ানেত (১৯৩৮)-এ তিনি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি নির্মাণব্যয় ছিল প্রায় $২,৫০০,০০। স্টুডিও এই বিশাল ব্যয় থেকে আয় প্রত্যাশা করেনি, তবুও চলচ্চিত্রটির বিশাল সেট ও পোশাক-পরিচ্ছদের জন্য চলচ্চিত্রটিকে দর্শকের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করে। শিয়েরার এই কাজের জন্য ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ভোল্পি কাপ অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে অস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

মৃত্যু

শিয়েরার ব্রঙ্কিয়াল নিউমোনিয়ায় ভুগে ১৯৮৩ সালের ১২ই জুন ক্যালিফোর্নিয়ার উডল্যান্ড হিলসের মোশন পিকচার কান্ট্রি হোমে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি সেখানে ১৯৮০ সাল থেকে বসবাস করছিলেন।

তাকে ক্যালিফোর্নিয়ার গ্লেনডেলের ফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্কের মহা সমাধিতে তার স্বামী আরভিং থালবার্গের পাশে সমাধিস্ত করা হয়।

পুরস্কার ও মনোনয়ন

শিয়েরার অভিনয়ের জন্য পাঁচবার একাডেমি পুরস্কারে মনোনীত প্রথম অভিনেত্রী। তার ভাই ডগলাস শিয়েরার ও তিনি প্রথম অস্কার-বিজয়ী ভাইবোন।

বছর পুরস্কার চলচ্চিত্র ফলাফল
১৯৩০ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার দেয়ার ওউন ডিজায়ার মনোনীত
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার [[দ্য ডিভোর্সি বিজয়ী
১৯৩১ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার আ ফ্রি সোল মনোনীত
১৯৩৪ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার দ্য বেরেটস্‌ অব উইম্পল স্ট্রিট মনোনীত
১৯৩৬ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট মনোনীত
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে নিউ ইয়র্ক চলচ্চিত্র সমালোচক সমিতি পুরস্কার রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট ৩য়
১৯৩৮ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার মারি অঁতোয়ানেত মনোনীত
ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবশ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ভোল্পি কাপ মারি অঁতোয়ানেত বিজয়ী

গ্রন্থপঞ্জি

বহিঃসংযোগ


Новое сообщение