Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.

নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ
নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ | |
---|---|
![]()
স্বাক্ষর ও সমর্থনের মাধ্যমে পক্ষপাতী
সংযোজন বা উত্তরাধিকারবলে পক্ষপাতী
স্বীকৃতিহীন রাষ্ট্র, কিন্তু চুক্তিটি মেনে চলছে
কেবল স্বাক্ষর করেছে
স্বাক্ষর করেনি
| |
স্বাক্ষর | ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭৯ |
স্থান | নিউইয়র্ক |
কার্যকর | ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৮১ |
শর্ত | ২০ তম সংশোধন |
স্বাক্ষরকারী | ৯৯ |
অংশগ্রহণকারী | ১৮৯ |
আমানতকারী | জাতিসংঘ মহাসচিব |
ভাষাসমূহ | আরবি, চীনা, ইংরেজি, ফরাসি, রুশ ও স্পেনীয় |
![]() |
নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সনদটি কার্যকর হতে শুরু করে। সিডও সনদে ৩০টি ধারা আছে। ১ম ১৬টি ধারা নারীর প্রতি কত প্রকার বৈষম্য আছে তা নিশ্চিত করে। পরের ১৪টি ধারা ব্যক্ত করে কীভাবে এগুলো বিলোপ করা যায়। সিডও জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত ও ঘোষিত একটি সনদ। ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এ সনদ ঘোষণা করে। ১৯৮১ সালে তা কার্যকর হয়। এর মূল বিষয় হচ্ছে, নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ বা দূরীকরণ। যেখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক সব ক্ষেত্রে নারীর মানবাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। এটি আইনগত ভিত্তি নিয়ে একটি কনভেনশন আকারে রূপ লাভ করেছে। এ সনদটি মূলত তিনটি প্রেক্ষিত থেকে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেয়। ক. নারীর নাগরিক অধিকার ও আইনি সমতা নিশ্চিতকরণ, যার মাধ্যমে নারী গণজীবনে ও সমাজে পুরুষের সমপর্যায়ে সব সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। খ. নারীর প্রজনন ভূমিকাকে সামাজিক ভূমিকা হিসেবে গণ্য করা, যাতে প্রজননের কারণে নারীকে কোণঠাসা না করে এ ক্ষেত্রে নারীর অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া। গ. আচার-প্রথা, সংস্কার ও বিধি যা নারীর জেন্ডার ভূমিকা নির্ধারণ করে, তা বাতিল করা। পরিবার ও সমাজে শুধু 'মানুষ' হিসেবে নারীকে গণ্য করা এবং পুরুষের ক্ষমতাভিত্তিতে তার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সিডও একমাত্র আন্তর্জাতিক চুক্তি বা সনদ, যা শুধু নারী সংক্রান্ত। জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত ৬০টির অধিক সনদ বা চুক্তির মধ্যে ৭টি সনদকে মৌলিক বা মানবাধিকার চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তার মধ্যে সিডও সনদ অন্যতম। বিশ্বের ১৮৬টি সদস্য রাষ্ট্র সিডও সনদে স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালে সিডও সনদে স্বাক্ষর করে। এর ইংরেজি CEDAW।