Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট
নামসমূহ | |
---|---|
ইউপ্যাক নাম
Potassium dichromate(VI)
| |
অন্যান্য নাম
potassium bichromate
bichromate of potash | |
শনাক্তকারী | |
ত্রিমাত্রিক মডেল (জেমল)
|
|
সিএইচইএমবিএল | |
কেমস্পাইডার |
|
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড | ১০০.০২৯.০০৫ |
ইসি-নম্বর | |
পাবকেম CID
|
|
আরটিইসিএস নম্বর |
|
ইউএনআইআই | |
ইউএন নম্বর | 3288 |
কম্পটক্স ড্যাশবোর্ড (EPA)
|
|
| |
| |
বৈশিষ্ট্য | |
K2Cr2O7 | |
আণবিক ভর | 294.185 g/mol |
বর্ণ | red-orange crystalline solid |
গন্ধ | odorless |
ঘনত্ব | 2.676 g/cm3, solid |
গলনাঙ্ক | ৩৯৮ °সে (৭৪৮ °ফা; ৬৭১ K) |
স্ফুটনাঙ্ক | ৫০০ °সে (৯৩২ °ফা; ৭৭৩ K) decomposes |
4.9 g/100 mL (0 °C) 13 g/100 mL (20 °C) 102 g/100 mL (100 °C) |
|
দ্রাব্যতা | insoluble in alcohol, acetone. |
প্রতিসরাঙ্ক (nD) | 1.738 |
গঠন | |
স্ফটিক গঠন | Triclinic (α-form, <241.6 °C) |
Coordination geometry |
Tetrahedral (for Cr) |
তাপ রসায়নবিদ্যা | |
তাপ ধারকত্ব, C | 219 J/mol |
স্ট্যন্ডার্ড মোলার এন্ট্রোফি এস |
291.2 J/(K·mol) |
গঠনে প্রমান এনথ্যাল্পির পরিবর্তন ΔfH |
−2033 kJ/mol |
ঝুঁকি প্রবণতা | |
নিরাপত্তা তথ্য শীট | ICSC 1371 |
জিএইচএস চিত্রলিপি | |
এনএফপিএ ৭০৪ | |
ফ্ল্যাশ পয়েন্ট | Non-flammable |
প্রাণঘাতী ডোজ বা একাগ্রতা (LD, LC): | |
LD৫০ (মধ্যমা ডোজ)
|
25 mg/kg (oral, rat) |
সম্পর্কিত যৌগ | |
অন্যান্য অ্যানায়নসমূহ
|
Potassium chromate Potassium molybdate Potassium tungstate |
অন্যান্য ক্যাটায়নসমূহ
|
Ammonium dichromate Sodium dichromate |
সম্পর্কিত যৌগ
|
Potassium permanganate |
সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ছাড়া, পদার্থসমূহের সকল তথ্য-উপাত্তসমূহ তাদের প্রমাণ অবস্থা (২৫ °সে (৭৭ °ফা), ১০০ kPa) অনুসারে দেওয়া হয়েছে। | |
Y যাচাই করুন (এটি কি Yনা ?) | |
তথ্যছক তথ্যসূত্র | |
পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট (রাসায়নিক সংকেত K2Cr2O7) একটি অজৈব যৌগ। এটি একটি রাসায়নিক বিকারক। সাধারণতঃ এটি জারক পদার্থ হিসাবে বিভিন্ন পরীক্ষাগারে এবং শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।এই ষড়যোজী ক্রোমিয়াম যৌগটি আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এটি লাল-কমলা রঙের উজ্জ্বল কেলাস আকারে পাওয়া যায়। পরীক্ষাগারে এই লবণটি বেশ জনপ্রিয় কারণ এটি সোডিয়াম ডাইক্রোমেটের মতো জলাকর্ষী নয়।
রসায়ন
উৎপাদন
সাধারণতঃ সোডিয়াম ডাইক্রোমেটের সঙ্গে পটাসিয়াম ক্লোরাইডের বিক্রিয়া করে পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট তৈরি করা হয়। এছাড়া ক্রোমাইট আকরিককে তাপজারণ পদ্ধতির সাহায্যে বাতাসে খুব উত্তপ্ত করার পর পটাসিয়াম হাইড্রক্সাইড-এর সাথে বিক্রিয়া করলে যে পটাসিয়াম ক্রোমেট পাওয়া যায় তার থেকেও পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট উৎপন্ন করা হয়। পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট জলে দ্রবণীয়। জলে দ্রবীভূত হবার সময় এটি আয়নিত হয়।
- K2Cr2O7 → 2 K+ + Cr
2O2−
7 -
Cr
2O2−
7 + H2O ⇌ 2 CrO2−
4 + 2 H+
বিক্রিয়া
পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট জৈব রসায়নে জারক পদার্থ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তবে পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেটের মতো এটি তীব্র জারক নয়। অ্যালকোহলকে জারিত করতে পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট কাজে লাগে। এটি প্রাইমারি অ্যলকোহলকে জারিত করে অ্যালডিহাইডে পরিণত করে। আবার বিশেষ তাপমাত্রায় আরো জারিত হলে জৈব কার্বক্সিলিক অ্যাসিড তৈরি হয়। অন্যদিকে পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দিয়ে জারিত করলে শুধুমাত্র জৈব কার্বক্সিলিক অ্যাসিড তৈরি হয়।
পরীক্ষাগারে অ্যালডিহাইড এবং কিটোন যৌগ আলাদা ভাবে চিনতে জলীয় দ্রবণে পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট যোগ করা হয়। অ্যালডিহাইড যৌগ ডাইক্রোমেটকে বিজারিত করে। এক্ষেত্রে ডাইক্রোমেট আয়নের মধ্যে থাকা ক্রোমিয়ামের জারণসংখ্যা +৬ থেকে পরিবর্তিত হয়ে +৩ হয়। দ্রবণের রঙেরও পরিবর্তন ঘটে। দ্রবণের রঙ কমলা থেকে সবুজ হয়ে যায়।এক্ষেত্রে অ্যালডিহাইড জারিত হয়ে কার্বক্সিলিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। কিন্তু কিটোন জৈব যৌগের ক্ষেত্রে কমলা-লাল রঙের কোন পরিবর্তন হয় না। কারণ এক্ষেত্রে কিটোন জারিত হয় না।
খুব উত্তপ্ত করলে পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট ভেঙ্গে যায়। পটাসিয়াম ক্রোমেট, ক্রোমিক অক্সাইড ও অক্সিজেন উৎপন্ন হয়।
- 4 K2Cr2O7 → 4 K2CrO4 + 2 Cr2O3 + 3 O2
- পটাসিয়াম ডাইক্রোমেটের কমলা-লাল দ্রবণে ক্ষার যোগ করলে দ্রবণের রঙ পরিবর্তন হয়ে হলদে হয়। এক্ষেত্রে ডাইক্রোমেট আয়ন ক্রোমেট আয়নে রূপান্তরিত হয়। এই ধর্মকে কাজে লাগিয়ে পটাসিয়াম ডাইক্রোমেটের সঙ্গে পাটাসিয়াম কার্বনেট(পটাশ)-এর বিক্রিয়া করে বাণিজ্যিকভাবে পটাসিয়াম ক্রোমেট তৈরি করা হয়।
- K2Cr2O7 + K2CO3 → 2 K2CrO4 + CO2
- পটাসিয়াম ডাইক্রোমেটের সংপৃক্ত দ্রবণে ঠাণ্ডা গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড যোগ করলে ক্রোমিয়াম ট্রাইঅক্সাইডের( CrO3) লাল কেলাস পাওয়া যায়। এই লাল পদার্থটি ক্রোমিক অ্যানহাইড্রাইড নামে বেশি পরিচিত।
- K2Cr2O7 + 2 H2SO4 → 2 CrO3 + 2 KHSO4 + H2O
- পটাসিয়াম ডাইক্রোমেটকে গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিডের সাথে উত্তপ্ত করলে অক্সিজেন উৎপন্ন হয়।
- 2 K2Cr2O7 + 8 H2SO4 → 2 K2SO4 + 2 Cr2(SO4)3 + 8 H2O + 3 O2
ব্যবহার
চামড়া শিল্পে
ক্রোম অ্যালাম(ফটকিরি) তৈরিতে পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট ব্যবহার হয়। এই ক্রোম অ্যালাম চামড়াশিল্পে চামড়ার ট্যানিং(tanning)-এর কাজে লাগে।
কাচ শিল্পে
ক্রোমিয়াম ট্রাই-অক্সাইড, সোডিয়াম ডাইক্রোমেট প্রভৃতি অন্য ক্রোমিয়াম ষড়যোগী যৌগের মতো ক্রোমিক অ্যাসিড তৈরিতে পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট ব্যবহার হয়। এই ক্রোমিক অ্যাসিড কাচের সামগ্রী পরিষ্কার এবং কাচের নকশা কাটার কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে ষড়যোগী ক্রোমিয়াম যৌগের ক্ষতিকারক দিকের কথা চিন্তা করে এইসব ক্ষেএে ব্যবহার একেবারেই কমে এসেছে।
নির্মাণ শিল্পে
সিমেন্টের মিশ্রণ যাতে ধীরে জমাট বাঁধে তারজন্য সিমেন্টের উপকরণে পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট ব্যবহার হয়। এর ফলে সিমেন্টের ঘনত্ব ও গঠনের উন্নতি ঘটে। তবে এর ব্যবহারের ফলে নির্মাণ কর্মীদের মধ্যে চর্মরোগের সম্ভাবনা বাড়ে।
বৈশ্লেষিক রসায়নে
পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট জলাকর্ষী নয়। তাই বৈশ্লেষিক রসায়নে জলীয় দ্রবণের নানা পরীক্ষায় এটি বিকারক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
ইথানল নির্ধারণ
ইথানলের মাত্রা নির্ধারণ করতে আম্লিক পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে ইথাইল অ্যালকোহল জারিত হয়ে অ্যাসিটিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। বিক্রিয়াটি এইরকম-
- CH3CH2OH + 2[O] → CH3COOH + H2O
সুরক্ষা
২০০৫-০৬ সালে অ্যালার্জি পরীক্ষায় (patch tests ) দেখা গিয়েছে অ্যালার্জি উৎপন্নকারি হিসাবে ১১তম স্থানে রয়েছে পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট। শতকরা ৪.৮ ভাগ ক্ষেত্রে এই রাসায়নিকটি দায়ী।
অন্য ষড়যোগী ক্রোমিয়াম যৌগের মতো পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট কারসিনোজেন ( carcinogenic ). অর্থাৎ ক্যানসার সৃষ্টিকারী পদার্থ। এই যৌগ ক্ষয়কারী এবং চোখের পক্ষে ক্ষতিকারক। চোখ নষ্ট করতে পারে এমনকি অন্ধত্বও আনতে পারে। মানবদেহে জিনের ক্ষতি, বন্ধত্ব ও গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।