Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
পানিশূন্যতা
শরীরে পানিশূন্যতা বা পানির স্বল্পতাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলে ডিহাইড্রেশন। একজন ব্যক্তি খুবই অল্প পরিমাণে পানি পান করেন, তখন ব্যক্তির পানিশূন্যতা বা পানিস্বল্পতা হতে পারে। এছাড়া ব্যায়াম, রোগ বা পরিবেশগত উচ্চ তাপমাত্রার কারণেও পানিস্বল্পতা দেখা দিতে পারে।
প্রভাব
বেশিরভাগ লোকেরা দেহের পানিশূন্যতা তিন থেকে চার ভাগ পর্যন্ত সহ্য করতে পারে। পাঁচ থেকে আট শতাংশ পানি হ্রাস পেলে ক্লান্তি এবং মাথা ঘোরতে পারে। শরীরের মোট পানির দশ শতাংশেরও বেশি হ্রাস হলে তীব্র তৃষ্ণার সাথে শারীরিক ও মানসিক অবনতি ঘটতে পারে। দেহের পানি হ্রাস থেকে পঁচিশ শতাংশ লোকের মৃত্যু ঘটে।
লক্ষণ
- প্রচণ্ড পানির তেষ্টা পাওয়া।
- মুখ শুকিয়ে যাওয়া।
- মাথা যন্ত্রণা।
- মেজাজ খারাপ হওয়া।
- দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া।
- পেশিতে টান ধরা।
- চামড়া শক্ত হয়ে যাওয়া।
- বারবার মিষ্টি খেতে চাওয়া।
পানিশূন্যতার বৈশিষ্ট্যগুলি হলো তৃষ্ণা এবং স্নায়বিক পরিবর্তনগুলি যেমন মাথা ব্যথা, সাধারণ অস্বস্তি, ক্ষুধা হ্রাস, প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস , বিভ্রান্তি, অব্যক্ত ক্লান্তি এবং খিঁচুনি হওয়া। পানিশূন্যতার লক্ষণগুলি দেহের বৃহত্তর জল হ্রাসের সাথে ক্রমশ তীব্র হয়ে ওঠে। হালকা পানিশূন্যতা হিসাবে বিবেচিত হয় ১-২% এর শরীরের পানির কর্মক্ষমতা হ্রাস পেলে । ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়৷ ৫০ বছর বয়সে, শরীরের তৃষ্ণার সংবেদন হ্রাস পায় এবং বয়সের সাথে ক্রমশ কমতে থাকে। অনেক প্রবীণ নাগরিক পানিশূন্যতার লক্ষণ ভোগেন।
প্রতিরোধে করণীয়
- বাইরে বের হওয়ার সময় পানির বোতল সঙ্গে রাখুন৷ যত বেশি ঘাম হবে তত বেশি পানি পান করুন ৷
- তাপমাত্রা বেশি থাকলে শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের পরিমাণ কমিয়ে আনুন ৷
- বাইরে বের হওয়ার সময়ে হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পড়ুন।
- একটানা বেশি সময় গরম এলাকায় থাকবেন না। মাঝে মধ্যে ছায়ায়, ফ্যান বা এসির নিচে অবস্থান নিন ৷
- গরমের সময় নিয়মিত মৌসুমি ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- বেশি গরম অনুভূত হলে শরীরে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দেওয়া উচিত ৷ সম্ভব হলে শরীরে একটু ভেজা তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখলে ভালো হয় ৷