পার্টাসিস টিকা
পার্টাসিস টিকা হল একটি টিকা যা হুপিং কাশির (পার্টাসিস) বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। দুটি প্রধান ধরন আছে: সম্পূর্ণ-কোষ টিকা আর কোষহীন টিকা। সম্পূর্ণ-কোষ টিকা প্রায় ৭৮% কার্যকর আর কোষহীন টিকা ৭১-৮৫% কার্যকর। প্রতি বছর টিকাগুলির কার্যকরিতা ২ থেকে ১০% এর মাঝামাঝি হ্রাস পায় বলে মনে হয়, আর কোষহীন টিকার ক্ষেত্রে আরও দ্রুত এই হ্রাস হয়। গর্ভাবস্থায় টিকাদান শিশুকে সুরক্ষা দিতে পারে। অনুমান করা হয় যে টিকাটি ২০০২ এ পাঁচ লক্ষের বেশি মানুষদের প্রাণ বাঁচিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সমস্ত শিশুকে পার্টাসিস-এর জন্য টিকা দেওয়ার এবং নিয়মিত টিকাদানে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে। যে মানুষদের এইচআইভি/এইড্স আছে তারাও এর অন্তর্ভুক্ত। সাধারণভাবে ছোট শিশুদের ছয় সপ্তাহ বয়স থেকে শুরু করে তিনটি ডোজের পরামর্শ দেওয়া হয়। টিকাটি শুধুমাত্র অন্যান্য টিকার সঙ্গে মিলিতভাবেই উপলব্ধ।
কোষহীন টিকাগুলির কম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে এগুলি সাধারণভাবে উন্নত বিশ্বে বেশি ব্যবহার করা হয়। সম্পূর্ণ-কোষ টিকা দেওয়া হয়েছে এমন মানুষদের মধ্যে ১০ থেকে ৫০% মানুষের ইঞ্জেকশনের জায়গায় লালভাব ও জ্বর হয়। শতকরা এক ভাগের কম মানুষের ক্ষেত্রে তড়কা জ্বর ও দীর্ঘক্ষণ কাঁদার ঘটনা ঘটে। কোষহীন টিকাগুলির ক্ষেত্রে বাহুতে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ফোলাভাব দেখা দিতে পারে যা গুরুতর নয়। উভয় প্রকারের টিকার ক্ষেত্রেই, কিন্তু বিশেষভাবে সম্পূর্ণ-কোষ টিকার ক্ষেত্রে, শিশুর বয়স যত কম হয় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলিও ততই কম হয়। ছয় বছর বয়সের পরে সম্পূর্ণ-কোষ টিকাগুলি ব্যবহার করা উচিত নয়। উভয় প্রকারের কোনোটির সাথেই কোনো গুরুতর দীর্ঘকালীন স্নায়বিক সমস্যার সম্পর্ক নেই।
১৯২৬ এ পার্টাসিস টিকা তৈরি করা হয়েছিল। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অপরিহার্য ওষুধের তালিকা অর্থাৎ একটি মৌলিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ওষুধগুলির তালিকায় স্থান পেয়েছে।ধনুষ্টঙ্কার, ডিফথেরিয়া,পোলিও ও হিব টিকাগুলিও অন্তর্ভুক্ত আছে এমন একটি প্রকারের টিকার মূল্য ২০১৪ সালে ছিল প্রতি ডোজ পিছু ১৫.৪১ মার্কিন ডলার।