Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.

বাত

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
বাত
Arthrite rhumatoide.jpg
বিশেষত্ব বাতবিদ্যা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

বাত (ইংরেজি: Arthritis) (গ্রীক arthro - ,সন্ধি + –itis, প্রদাহ) হল মূলত অস্থিসন্ধির প্রদাহ যা এক বা একাধিক অস্থি সন্ধিকে আক্রান্ত করে। এটা শিল্পোন্নত দেশে ৫০-৫৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের মানুষের অক্ষমতা মূল কারণ।

বাত (আর্থ্রাইটিস) কথাটি ব্যাপক অর্থবহ এবং বহুদূর পর্যন্ত প্রসারিত। এটি একটিমাত্র রোগ নয় বরং একই পরিবারভুক্ত অনেকগুলো রোগের সমষ্টি। প্রায় ১০০টি বিভিন্ন ধরনের রোগ নিয়ে হয় বাতরোগ। এই রোগে প্রধানত অস্থিসন্ধি আক্রান্ত হলেও হাড়ের প্রদাহ, ক্ষয় রোগ, লিগামেন্ট ও টেন্ডনের ব্যথা, মাংসপেশীর ব্যথা,মেরুদণ্ডের প্রদাহ, ক্ষয়, আড়ষ্ঠতা এগুলোও বাতরোগের পর্যায়ে পরে।

প্রকারভেদ

নিম্নোলিখিত রোগগুলোই সাধারণত একত্রিত হয়ে বাতরোগ গঠিত হয়ঃ

  1. সন্ধিবাত/ গাঁট - ফোলানো বাত (Rheumatoid Arthritis)
  2. অষ্টিওআর্থ্রাইটিস (Osteoarthritis)/অস্থিসংযোগ গ্রন্থি প্রদাহ
  3. গেঁটে বাত (Gout)
  4. কটিবাত বা কোমর প্রদাহ (Lumbago)
  5. মেরুদণ্ড প্রদাহ বা স্পন্ডিলাইটিস (Spondylitis)
  6. সায়াটিকা/কোটি স্নায়ুশূল(Sciatica)
  7. আম বাত/আর্টিকেরিয়া/অ্যালার্জি(Urticaria)
  8. বাতজ্বর (Rheumatic Fever)
  9. সংক্রামক বাত/সেপটিক আর্থ্রাইটিস

এছাড়াও ঘাড়ের বাত(Stiff Neck), স্কন্ধবাত (Omalgia), পার্শ্ববাত (Pleurodynia) এগুলোও বাত রোগের আওতার মধ্যে পরে।

বাতব্যাধির কারণ ও ঝুকিসমূহ

বাতব্যাধির প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কষ্টসাধ্য। কেননা অনেকগুলো কারণে এই রোগসমূহের উদ্ভব হতে পারে। তবে নিম্নোক্ত কারণসমূহ বাত রোগের ঝুকি বাড়ায়ঃ

  1. আঘাত (Trauma or Injury): পূর্ববর্তী বড় ধরনের কোন আঘাত বাতের কারণেরর অংশ হতে পারে।
  2. অপুষ্টি (Malnutrition): প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের অভাব বিশেষতঃ ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি।
  3. বয়সঃ বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তরুণাস্থি ভঙ্গুর হয়ে পরে এবং এর পুনর্গঠনের ক্ষমতাও কমে যায়। তাই বয়স বাড়ার সাথে বাত রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও বাড়ে।
  4. অতিরিক্ত ওজনঃ অস্থিসন্ধি ক্ষয় খানিকটা শরীরের বাড়তি ওজনের সম্পর্কিত। অতিরিক্ত ওজন জয়েন্টগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ স্থাপন করে। তাই স্থূলকায় ব্যক্তিরা সাধারনত বাতরোগে বেশি ভুগে থাকেন।
  5. ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণঃ কতিপয় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ যেমন ক্লিবসেলা (klebsiella) ও এলার্জি স্বল্পমেয়াদী বাতব্যথার উদ্ভব ঘটাতে পারে। সংক্রমণের কারণে সংঘটিত বাতরোগকে রিএকটিভ আর্থ্রাইটিস (Reactive arthritis) বলে।
  6. বংশগতি (Genetics): বাতরোগে বংশগতির প্রকৃত ভূমিকা কি তা এখন জানা সম্ভব হয় নি। তবে এতে বংশগতির যে সুস্পষ্ট প্রভাব আছে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা একমত।

লক্ষণ ও উপসর্গ

যদিও বাত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, সব বাত রোগের সাধারণ উপসর্গ হল বিভিন্ন মাত্রার ব্যথা, অস্থি-সন্ধির ফোলা , শক্ত হয়ে যাওয়া, আড়ষ্টতা এবং গিঁঠের চারপাশে স্থায়ী যন্ত্রণা। অন্যান্য উপসর্গসমূহ হলঃ

  1. হাত ব্যাবহারে অক্ষমতা,
  2. হাটতে অক্ষমতা,
  3. অস্বাচ্ছন্দ্য এবং গ্লানি বোধ,
  4. ওজন কমে যাওয়্‌
  5. পেশীর ব্যথা ও দুর্বলতা,
  6. পরিমিত ঘুম না হওয়া।
  7. শরীরের যে কোনো অংশ ফুলে ওঠা বা ফুলা ভাব হওয়া।
  8. বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করা

রোগতত্ত্ব

অস্থিসন্ধি (bone Joint) হল দুটি হাড়ের যুগ্ন অবস্থান। এটি দুই ধরনের হতে পারে।

  1. অচল বা সামান্য সঞ্চালনক্ষম অস্থিসন্ধি/গহব্বরশূন্য অস্থিসন্ধি
  2. সঞ্চালনক্ষম অস্থিসন্ধি/সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি/ গহব্বরযুক্ত অস্থিসন্ধি

শরীরের ভিতরের সচল অস্থিসন্ধিসমূহে যেমন হাত পায়ের আঙ্গুল,হাঁটু, কব্জি, গোড়ালি ইত্যাদিতে যে হাড়দ্বয় যুক্ত থাকে তাদের যুক্তপ্রান্তে তরুনাস্থি(Cartilage) থাকে। এই তরুনাস্থি হাড়দ্বয়ের সঞ্চালনজনিত ঘর্ষণ প্রতিহত করে। ফলে দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক অস্থিসন্ধি সঞ্চালন হয় বেদনাহীন। কোন কারণে তরুনাস্থির অবক্ষয় হলে তা অস্থিসন্ধির সঞ্চালনে যন্ত্রণা সৃষ্টি করে।

এই অস্থিসন্ধিগুলো আবার এক বিশেষ ধরনের ঝিল্লীদ্বারা আবৃত থাকে এবং অন্তঃস্থ অংশটি ঝিল্লীর রস বা সাইনোভিয়াতে পরিপূর্ণ থাকে। এই রস অস্থি, তরুনাস্থির পুষ্টি যোগায়। আর লিগামেন্ট মাংসপেশীর সাথে অস্থিগুলোকে সংযুক্ত করে। বাত রোগে এই ঝিল্লী, ঝিল্লীর রস, লিগামেন্টও বিভিন্নভাবে যেমন শরীরের প্রতিরক্ষা উপাদান, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদির দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে।

চিকিৎসা

অস্থিসংযোগ গ্রন্থি প্রদাহ (Osteoarthritis), সন্ধিবাত (Rheumatoid Arthritis) ও এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস (Ankylosing Spondylitis) এর কোন প্রতিকার নেই। অন্যান্য বাতরোগে চিকিৎসা নির্ভর করে রোগের ধরনের উপর যার মধ্যে আছে ফিজিওথেরপি, জীবনধারন পদ্ধতির পরিবর্তন, ব্যায়াম, ওষুধ প্রয়োগ ইত্যাদি।

এসকল চিকিৎসা রোগের লক্ষণ ও উপসর্গের উন্নতি সাধনের সাথে সাথে রোগের বিস্তারকেও সীমিত করে। তাই বাতজ্বর বা বাতের কোন সংক্রমণ হলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।

শ্রেণীবিন্যাস

Новое сообщение