Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
বিকারক
বিকারক হল একপ্রকার মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ যা কোন সিস্টেমে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানোর জন্য যুক্ত করা হয় অথবা সেই নির্দিষ্ট পদার্থের যোগে সিস্টেমে কোনোরূপ রাসায়নিক বিক্রিয়া হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। বিকারক এবং বিক্রিয়ক এই দুটি শব্দকে প্রায়শই একই অর্থে ব্যবহার করা হয় কিন্তু এদের মধ্যে সামান্য কিছু পার্থক্য রয়েছে। বিক্রিয়ক সাধারণত পদার্থের সেই শ্রেণিভুক্ত যারা কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শোষিত হয়। সেকারণেই দ্রাবক রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহন করলেও তাদেরকে বিক্রিয়ক শ্রেণীভুক্ত করা হয়না। সমানভাবে অনুঘটক ও কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শোষিত হয়না তাই তারাও বিক্রিয়ক হিসাবে বিবেচিত হয়না। জৈব রসায়ন-এ অনুঘটক-উৎসেচক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ককে সাধারনত সাবস্ট্রেট নামে অভিহিত করা হয়।
জৈব রসায়ন
জৈব রসায়নে বিকারক শব্দের মাধ্যমে একটি বিশেষ রাসায়নিক উপাদানকে বোঝায় যা সাধারনত একটি যৌগ বা মিশ্রণ এবং যা সাধারণত অজৈব বা ছোট জৈব অণুগুলির কাঙ্ক্ষিত রূপান্তর ঘটায়। উদাহরণস্বরূপ, কলিন্সের বিকারক, ফেন্টনের বিকারক এবং গ্রিগনার্ডের বিকারক। রাসায়নিক বিশ্লেষণে, বিকারক এমন একটি মৌল বা যৌগ যা অন্য কোন বিশেষ পদার্থের উপস্থিতি চিহ্নিত করে তার নিজস্ব কিছু ভৌত ধর্ম (যেমন, রঙ পরিবর্তন) -এর পরিবর্তন ঘটায়। এছাড়াও সেই বিশেষ পদার্থের ঘনত্বের পরিমাপ করতেও বিকারকের সাহায্য নেওয়া হয়। রঙ পরিবর্তন করে পদার্থের উপস্থিতি চিহ্নিতকরণে সাহায্য করে এমন কিছু বিকারকের উদাহরণ হলো, ফেহলিংয়ের বিকারক, মিলনের বিকারক এবং টোলেন্সের বিকারক।
বাণিজ্যিক বা পরীক্ষাগার প্রস্তুতি
বানিজ্যক্ষেত্রে এবং পরীক্ষাগারে কোন রাসায়নিক বস্তু প্রস্তুতির সময়ে যে রাসায়নিক উপাদানগুলি ব্যবহার হয় তার বিশুদ্ধতার মাপকাঠি নির্ণয় করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কোন পদার্থের রাসায়নিক উপাদানের বিশুদ্ধতার পরিমাপই কেবলমাত্র তার বৈজ্ঞানিক যথাযথতার পরিচয় দেয় এবং সেই পদার্থটির ভৌত ও রাসায়নিক বিশ্লেষণ করা সম্ভব কিনা এবং সেই পদার্থটি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণে যোগ্য কিনা এই সমস্ত কিছুর বিচার করা হয় তার বিশুদ্ধতার মাপকাঠির মাধ্যমে। এএসটিএম ইন্টারন্যাশনাল বা আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির মত সংস্থা বিকারকদের বিশুদ্ধতার মান নির্ধারণ করে দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বিকারক-গুণসম্পন্ন পানিতে খুবই অল্প পরিমান অবিশুদ্ধতা, যেমন সোডিয়াম এবং ক্লোরাইড আয়ন, সিলিকা, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি উপস্থিত থাকতে পারে এবং অবশ্যই তা উচ্চ বৈদ্যুতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন হতে হবে। গবেষণাগারের পন্যগুলি অপেক্ষাকৃত কম বিশুদ্ধ হলেও তারা বাণিজ্যিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত এবং সর্বোপরি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য। তাই ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এদের নির্বাচন করা হয়েছে।
জীববিদ্যায় স্থান
জীববিদ্যার ক্ষেত্রে, ১৯৮০ সালে বিকারকের আবিস্কারের পর জৈবপ্রযুক্তিবিদ্যার প্রভূত উন্নতি হয় কারণ বিকারকের মাধ্যমে কোষের গঠনগত রাসায়নিক উপাদানগুলি শনাক্ত করে তাদের রাসায়নিক পরিবর্তন সম্ভব হয়। এই বিশেষ বিকারকগুলির মধ্য অন্তর্ভুক্ত, অ্যান্টিবডি (মনোক্লনাল ও পলিক্লনাল), অলিগোমারস, সমস্ত ধরনের মডেল অনুজীব, অমর কোষ, আণবিক ক্লোনিং, ডিএনএ-র প্রতিরূপকরণের পদ্ধতি এবং অন্যান্য আরও অনেক।
টুল যৌগ বা টুল কম্পাউন্ডগুলিও জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ বিকারক, এগুলি হচ্ছে এসআইআরএনএ বা অ্যান্টিবডিগুলির মতো ছোট অণু বা জৈব রাসায়নিক পদার্থ যা অন্যন্য নির্দিষ্ট জৈব রাসায়নিক অনুকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। এদের কোন নির্দিষ্ট ড্রাগ হিসাবে ব্যবহার করা সম্ভব নয় কিন্তু ড্রাগ আবিস্কারে এদের ব্যবহার হয়।কার্কিউমিন-এর মতো অনেক প্রাকৃতিক উপাদানকে পরীক্ষা করার পর রসায়নবিদরা তাদের গুরুত্বপূর্ণ টুল যৌগের শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনি, উপরন্তু তাদের প্যান-অ্যাসে ইন্টারফেরেন্স যৌগের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।