মধ্যচ্ছদা মানবে দেহের অভ্যন্তরস্থ একটি পর্দা বিশেষ যা বক্ষ গহ্বর (Thoracic Cavity) থেকে উদর গহ্বর(Abdominal Cavity) কে পৃথক করে রেখেছে। এই পর্দা ঐচ্ছিক মাংসপেশী দিয়ে গঠিত। ইংরাজী ভাষায় একে বলে ডায়াফ্রাম (The Diaphragm) । অঙ্গসংস্থান বিদ্যায় ডায়াফ্রাম বলতে আরও অন্যান্য পর্দা যেমন পেলভিক ডায়াফ্রাম, ইউরোজেনিটাল ডায়াফ্রাম (Urogenital Diaphragm) বোঝালেও সাধারণত মধ্যচ্ছদাকেই নির্দেশ করে। এটির আকৃতি উল্টানো বাটির মত ও মধ্যস্থল পাতলা পর্দার মত। কিন্তু চারদিকের অংশ দেহগাত্র সংলগ্ন অংশ পেশীবহুল।
গঠন
মধ্যচ্ছদা কিছুটা উত্তল; বলা যায় গম্বুজ বা ডোমিআকৃতির একটি বিভেদক পর্দা বিশেষ। এর ঊর্দ্ধপৃষ্ঠ বক্ষগহ্বরের তলদেশ ও নিম্নপৃষ্ঠ উদরীয় গহ্বরের উপরিতল নির্মাণ করে।
ডায়াফ্রামে কিছু ছিদ্র বা ফাঁকা জায়গা আছে যার মধ্য দিয়ে কিছু কাঠামো অতিক্রম করে। এর মধ্যে তিনটি বড়-অ্যাওর্টিক বা ধমনীক,ইসোফেগিয়াল বা অন্ননালীয় ও ভেনাক্যাভাল বা শিরা এবং কিছু ছোট।
সামনে নিচে থেকে দৃশ্যমান ছিদ্র বা ফাঁকা জায়গা প্রদর্শনকারী মানব মধ্যচ্ছদা
কাজ
নিঃশ্বাস বুকের ভিতরে টানবার সময়ে মধ্যচ্ছদা-ই আমাদের প্রধান পেশী। এর পরিচালনা করে ফ্রেনিক স্নায়ু। এই স্নায়ুর তাড়নায় মধ্যচ্ছদার চারিদিকের পেশী সঙ্কুচিত হলে মধ্যচ্ছদা অনেকটা সমতল হয়ে উদরের ভিতরে নেমে আসে। ফলে বক্ষে শুন্যস্থল ও ঋণাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়, যা প্লুরার মধ্য দিয়ে ফুসফুসে সঞ্চারিত হলে ফুসফুস প্রসারিত হয়।
শ্বসনের কাজ ছাড়াও এটি আরও কিছু কাজ করে।আন্তঃউদরীয় চাপ(Intraabdominal Pressure) বৃদ্ধির মাধ্যমে মল,মূত্র,বমি নিষ্কাশনে সাহায্য করে।
নিদানিক গুরুত্ব