Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
মার্স করোনাভাইরাস
মার্স করোনাভাইরাস | |
---|---|
মার্স করোনাভাইরাসের কণাগুলো নেগেটিভ স্টেইন ইলেকট্রন অণুবীক্ষণে দেখা হয়েছে। ভিরিয়নগুলোর বৈশিষ্ট্য ভাইরাল মেমব্রেন(পর্দা) হতে উদ্ভূত ক্লাবের মত। | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | ভাইরাস |
পর্ব: | Pisuviricota |
শ্রেণী: | Pisoniviricetes |
বর্গ: | Nidovirales |
পরিবার: | Coronaviridae |
গণ: | বিটাকরোনাভাইরাস |
প্রজাতি: | 'মার্স (MERS) করোনাভাইরাস' |
মিডল ইস্ট রেসপিরাটরী সিন্ড্রোম-রিলেটেড করোনাভাইরাস (মার্স করোনাভাইরাস বা MERS-CoV),, করোনাভাইরাসের এক প্রজাতি যা মানুষ, বাদুড় এবং উটকে সংক্রমিত করে। এই সংক্রমিত ভাইরাসটি আবদ্ধ, পজিটিভ-সেন্স সিঙ্গেল স্ট্রেটেড (এক সূত্রক) আরএনএ ভাইরাস যা পোষক দেহে ঢুকে ডাইপেপ্টিডেজ রিসেপ্টর-৪ (DPP4 receptor) এর সাথে যুক্ত হয়। এই প্রজাতিটি বিটাকরোনাভাইরাস (Betacoronavirus) গণ এবং মার্বেকোভাইরাস (Merbecovirus) উপ-গণ এর সদস্য।
২০১২ সালের প্রাদুর্ভাবে এটা প্রথম সামনে আসে ফ্লুর মত শ্বাসযন্ত্রের ব্যাধিতে আক্রান্ত এক ব্যক্তির থুথুর স্যাম্পলের জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে এবং প্রাথমিকভাবে একে নোভেল করোনাভাইরাস বা nCov নামে ডাকা হয়। ২০১৫ এর জুলাইয়ে, মার্স করোনাভাইরাস প্রায় ২১টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে যাদের মধ্যে সৌদি আরব, কাতার, মিশর, আরব আমিরাত, জর্ডান, কুয়েত, তুরস্ক, ওমান, আলজেরিয়া উল্লেখযোগ্য। মাত্র কয়েকটি ভাইরাসের মধ্যে মার্স করোনাভাইরাসকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেসময়ে ভবিষ্যৎ মহামারী হিসেবে চিহ্নিত করে এবং জরুরি ভিত্তিতে গবেষণার জন্য তালিকাবদ্ধ করে।
ভাইরাসবিদ্যা
মার্স করোনাভাইরাস, করোনাভাইরাসের বিটা গ্রুপ, লিনেজ সি (lineage C) বিটাকরোনাভাইরাসের (Betacoronavirus) সদস্য। জাতিগতভাবে মার্স করোনাভাইরাসের জিনোমকে দুইটা ক্লেডে ভাগ করা যায় : ক্লেড এ এবং ক্লেড বি। শুরুতে মার্সের ক্লেড এ ক্লাস্টারের (EMC/2012 and Jordan-N3/2012)উপস্থিতি পাওয়া গেছে, এখন ক্লেড বি এর উপস্থিতি পাওয়া যায় যারা জিনগতভাবে আলাদা।
করোনাভাইরাসের জানা সাত প্রকারের ( HCoV-229E, HCoV-NL63, HCoV-OC43, HCoV-HKU1, SARS-CoV-1, এবং SARS-CoV-2) মধ্যে মার্স করোনাভাইরাস একটি যা মানুষকে সংক্রমিত করে। মার্স করোনাভাইরাস, সার্স করোনাভাইরাস এবং সাধারণ (সর্দিজাতীয়) করোনাভাইরাস থেকে আলাদা কিন্তু হিউম্যান বিটাকরোনাভাইরাস ( HCoV-OC43 এবং HCoV-HKU1) হিসেবে পরিচিত। ২৩ মে ২০১৩ পর্যন্ত, মার্স করোনাভাইরাসকে বারবার সার্স করোনাভাইরাসের বৈশিষ্ট্যধারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়, এছাড়া নোভেল করোনাভাইরাস নামেও অভিহিত করা হয়, শুরুতে "সৌদি সার্স " নামেও ডাকা হয়।
২০১৯ এর নভেম্বরে, ২,৪৯৪ জনের দেহে মার্স শনাক্ত হয় এবং ৮৫৮ জন মারা যায় , মৃত্যুহার >৩০%। ২০১৫ সাল নাগাদ ১৮২টি জিনোম সিকোয়েন্স করা হয় (৯৪টি মানুষের এবং ৮৮টি উটের) যারা প্রায় সমধর্মী। দুই ধরনের জিনোমের (ক্লেড এ এবং ক্লেড বি) মধ্যে ক্লেড বি এর উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
উৎপত্তি
২০১২ সালের এপ্রিলে সৌদি আরবের জেদ্দায় প্রথম কেস শনাক্ত হয়। মিশরের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ আলি মোহাম্মদ জাকি ঐ ব্যক্তির ফুসফুস থেকে এক অজানা করোনাভাইরাস আলাদা করেন এবং শনাক্ত করেন। জাকি তখন তার পাওয়া তথ্য ২০১২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রোমেড-মেইল এ (ProMED-mail) পোস্ট করেন। আলাদা রাখা কোষগুলো সাইটোপ্যাথিক প্রভাব দেখায়, যা চক্রাকার এবং সিন্সাইটিয়া গঠনের।
২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় কেস শনাক্ত হয় ৪৯ বছর বয়সী কাতারে বাসকারী এক পুরুষের, যার উপসর্গ ফ্লুর মত ছিলো। ২০১২ সালের নভেম্বরে, কাতার এবং সৌদি আরবে একই ধরনের কেস দেখা যায়। অতিরিক্ত কেসের সাথে মৃত্যুসংখ্যাও তালিকা করা হয়, এবং নোভেল করোনাভাইরাসের দ্রুত গবেষণা এবং মনিটরিং জোরদার করা হয়।
এটা নিশ্চিত ছিলো না যে, সংক্রমণ জুনোটিক (প্রাণী হতে মানুষে রোগের সংক্রমণ) ঘটনার মতই মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে, অথবা এক অজানা উৎস থেকে জুনোটিক ঘটনা ঘটছে বিভিন্ন স্থানে।
ট্রপিজম
মানুষে, বিনালোমবিশিষ্ট ব্রঙ্কিয়াল এপিথেলিয়াল কোষে ভাইরাসটির শক্তিশালী ট্রপিজম বিদ্যমান, যা মানুষের সহজাত রোগ প্রতিরোধ অনুভূতিকে এড়িয়ে চলে এবং কোষের ইন্টারফেরন তৈরিতে বাধা প্রদান করে। লোমযুক্ত কোষে আক্রমণকারী অন্য শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাস হতে ভাইরাসটির ট্রপিজম আলাদা।
মার্স এবং সার্স করোনাভাইরাসের মধ্যে ক্লিনিক্যাল মিল থাকায়, তারা হয়ত একই কোষীয় রিসেপ্টর ব্যবহার করে, এক্সোপেপ্টিডেজ, আনজিয়োটেনসিন কনভার্টিং এনজাইম ২ (ACE2)। পরে আবিষ্কার হয় যে, আনজিয়োটেনসিন কনভার্টিং এনজাইম ২ এর এন্টিবডি দ্বারা মার্স করোনাভাইরাসের আক্রমণ প্রতিহত করতে পারে না। গবেষণাতে চিহ্নিত হয় ডাইপেপ্টিডাইল পেপ্টিডেজ-৪ মার্স করোনাভাইরাসের কার্যকর রিসেপ্টর। মার্স অন্যসব করোনাভাইরাসের মত নয়, সংক্রমণের জন্য ডাইপেপ্টিডাইল পেপ্টিডেজ-৪ এর এনজাইমের ক্রিয়ার দরকার হয় না। ধারণা করা হয়, ডাইপেপ্টিডাইল পেপ্টিডেজ-৪ এর অ্যামিনো এসিড সিকোয়েন্স উচ্চ মাত্রায় সংরক্ষিত থাকে এবং তা মানুষের ব্রঙ্কিয়াল এপিথেলিয়ামে, কিডনিতে ছড়ায়। বাদুড়ের জিনে ডাইপেপ্টিডাইল পেপ্টিডেজ-৪ উচ্চ মাত্রার অভিযোজিত করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য দায়ী, তাই মার্স করোনাভাইরাস মানুষে সংক্রমিত হওয়ার আগে হয়ত দীর্ঘ সময় বাদুড় প্রজাতিতে ছড়ায়।
সংক্রমণ
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে " ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রমণের মাত্রা খুবই কম।" মার্স করোনাভাইরাস শুধুমাত্র ফুসফুসের ২০% এপিথেলিয়াল কোষে সংক্রমণ করে, তাই সংক্রমণের জন্য অনেক বেশি ভিরিয়ন প্রয়োজন পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের ডা. অ্যান্থনি এস ফাউচি বলেন "মার্স করোনাভাইরাস সর্বদা এক ব্যক্তি থেকে অপর ব্যক্তিতে ছড়ায় না।" তিনি সম্ভাব্য বিপদ হিসেবে আরও বলেন যে ভাইরাসটির পক্ষে নতুন স্ট্রেইনে পরিবর্তিত হয়ে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়ানো সম্ভব।
যাহোক, ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রমণ স্বাস্থ্য কর্মীদের চিন্তার কারণ হয়ে দাড়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাময় কেন্দ্র মার্সকে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণযোগ্য বলে তালিকাবদ্ধ করে।.
২৮ মে তারিখে, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাময় কেন্দ্র ইলিনয়ের এক ব্যক্তিকে ব্যক্তি-ব্যক্তি সংক্রমণের প্রথম ঘটনা অনুমান করে তাকে পরীক্ষা করায়, যদিও তিনি মার্স করোনাভাইরাস নেগেটিভ হন। চূড়ান্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে বিশেষজ্ঞরাও নিশ্চিত হন। মার্স বিনা উপসর্গ হিসেবেও দেখা দিতে পারে রোগীর দেহে। গবেষণা দেখায় যে ২০% এর দেহে মার্স বিনা উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয় এবং তাদের রক্তে মার্সের এন্টিবডি পাওয়া যায়।
বিবর্তন
ভাইরাসটি প্রথমে বাদুড়ে উদ্ভূত হয়। এরপর ভাইরাস নিজেই বাদুড় থেকে আলাদা হয়। এই ভাইরাস HKU4 এবং HKU5 এর সাথে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। খামারের বিভিন্ন প্রমাণ দেখায় যে, এই ভাইরাস কমপক্ষে ২০ বছর ধরে উটকে সংক্রমিত করে আসছে। মানব স্ট্রেইন এর মত একই প্রজাতি থেকে সংক্রমণের তথ্য ২০১২ এর মার্চে হালনাগাদ করা হয়।
সংরক্ষিত প্রমাণ বলে যে, ভাইরাসটি বাদুড়ে কিছু সময় উপস্থিত থাকে এবং ১৯৯০ এর মধ্যভাগে উটে ছড়িয়ে পড়ে। ২০১০ এর শুরুতে ভাইরাসটি উট থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে। মূল পোষক বাদুড় প্রজাতি এবং এই প্রজাতিতে প্রাথমিক সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সময় এখন নির্ধারিত।
আলাদাকৃত ২৩৮টি সিকোয়েন্স পরীক্ষা করার পর প্রস্তাব করা হয়, ভাইরাসটি তিনটা ক্লেডে বিভক্ত।
প্রাকৃতিক ভাণ্ডার
গবেষণা বলে যে ভাইরাসটি মিশরীয় টম্ব বাদুড়ের সাথে সম্পর্কিত।২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে রন ফাউচার বলেন, ভাইরাসাটি বাদুড় হতে উদ্ভূত। বাদুড়ে উপস্থিত ভাইরাসের সাথে মানব শরীরে উপস্থিত ভাইরাসে মিল খুঁজে পান কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারী বিশেষজ্ঞ ইয়ান লিপকিন। ঘানার নিক্টেরিস বাদুড় এবং ইউরোপের পিপিস্ট্রেলাস বাদুড়ের দেহে মার্স করোনাভাইরাসের সাথে সম্পর্কিত ২সি বিটাকরোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ৯ আগস্ট ২০১৩ পর্যন্ত মানুষ যে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছিল তা অজানাই ছিলো। The Lancet Infectious Diseases এর প্রতিবেদনে দেখায়, ১০০% ওমানি উট এবং ১৪% স্প্যানিশ উটের রক্তের সেরামে মার্স করোনাভাইরাস প্রতিরোধী এন্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া যায়। ইউরোপিয়ান ভেড়া, ছাগল এবং অন্যান্য গবাদি পশুতে তেমন এন্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া যায় না।
৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ এর পর আর এ পেরেরা কর্তৃক প্রকাশিত Eurosurveillance জার্নালে মহামারী অনুসন্ধান বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। যেখানে ১৩৪৩ জন মানুষ এবং ৬২৫টি প্রাণীর সেরাম নিয়ে কাজ করা হয়। ১১০টি মিশরীয় কুঁজওয়ালা উটের মধ্যে ১০৮টির সেরামে মার্স করোনাভাইরাস প্রতিরোধী এন্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া যায়। প্রথম এবং তাৎপর্যপূর্ণ বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদনে এগুলোই মার্স করোনাভাইরাসের প্রাকৃতিক ভাণ্ডার হিসেবে কুঁজওয়ালা উটের ভূমিকা প্রকাশ করে।
মার্স করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অন্তত একজন ব্যক্তি উটের সংস্পর্শে আসে অথবা উটের দুধ পান করে।
সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মত দেশগুলো প্রচুর পরিমাণে উটের মাংস উৎপাদন এবং মজুত করে। আফ্রিকান অথবা অস্ট্রেলিয়ান বাদুড়ে এই ভাইরাস আশ্রয় নেয় এবং তা পরবর্তিতে উটকে সংক্রমিত করে। এইসব অঞ্চল থেকে আমদানিকৃত উট থেকে মধ্য প্রাচ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে।
২০১৩ তে কাতারের এক শস্যাগারে তিনটা কুঁজওয়ালা উটে মার্স করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়, যা ভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া ২ ব্যক্তির সাথে জড়িত। নেদারল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ইরাস্মুস মেডিকেল সেন্টার উটে ভাইরাসটির উপস্থিতি নিশ্চিত করে। নমুনা সংগ্রহের সময় কোনো উটের মধ্যেই অসুস্থতা টের পাওয়া যায় নাই। ২০১৩ এর নভেম্বরে কাতার সুপ্রিম কাউন্সিল অফ হেলথ যেসব ব্যক্তির ঝুকিপূর্ণ স্বাস্থ্য অবস্থা যেমন: হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা, শ্বাসতন্ত্র সমস্যা এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাণীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেওয়া হয়, সাথে সবাইকে নিয়মিত হাত ধুতে বলা হয়।
২০১৩ এর ডিসেম্বরে সৌদি আরবের কুঁজওয়ালা উটের উপর আরো বিস্তর গবেষণা প্রকাশ করে যে, ৯০% এর মধ্যেই মার্সের উপস্থিতি পাওয়া যায়। সেখানে আরো বলা হয় উটগুলো শুধু আধার হিসেবেই না, ভাইরাসটির প্রাণী উৎস হিসেবেও ভূমিকা রাখে।
২৭ মার্চ ২০১৪ মার্স করোনাভাইরাসের সংক্ষিপ্ত বর্ণনার তথ্যমতে, উটকে ভাইরাসটির প্রাথমিক উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং বাদুড়কে চূড়ান্ত আধার বলা হয়। উটে ভাইরাসটির উপস্থিতি থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়া, বিভিন্ন উপাত্ত দেখায় কীভাবে উটে দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়ায় এবং উটে ও মানুষে একই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।