Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
মাল্লাখাম্বা
মাল্লখম্বা একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা, ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে উদ্ভূত, যেখানে একজন মল্লবিদ একটি নিশ্চল উল্লম্ব বা ঝুলন্ত কাঠের খুঁটি, বেত বা দড়ি দিয়ে একযোগে বায়বীয় যোগব্যায়াম বা জিমন্যাস্টিক ভঙ্গি এবং কুস্তির প্যাঁচ সম্পাদন করে। মাল্লাখম্বা শব্দটি খেলাতে ব্যবহৃত দণ্ডটিকেও বোঝায়। দণ্ডটি সাধারণত শীশম (ভারতীয় রোজউড) থেকে তৈরি করে ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে পালিশ করা হয়। মাল্লাখাম্বার তিনটি জনপ্রিয় সংস্করণ শীশমের খুঁটি, বেত বা দড়ি ব্যবহার করে অনুশীলন করা হয়।
মাল্লাখাম্বা নামটি মল্ল অর্থাৎ কুস্তিগীর এবং খাম্বা অর্থাৎ দণ্ড বা খুঁটি থেকে এসেছ। এর আক্ষরিক অর্থ "কুস্তির খুঁটি", এই শব্দটি কুস্তিগীরদের দ্বারা ব্যবহৃত একটি ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ উপকরণকে বোঝায়।
২০১৩ সালের ৯ই এপ্রিল, ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্য মাল্লাখাম্বাকে রাজ্যের জাতীয় খেলা ঘোষণা করেছে। ২০১৭ সালের হিসাবে, ভারতে আরও ২০ টিরও বেশি রাজ্য এই পথ অনুসরণ করেছে।
ইতিহাস
চন্দ্রকেতুগড় মৃৎশিল্পের (খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দী - খ্রিস্ট পরবর্তী প্রথম শতাব্দী) খোদাই করা বিবরণে থেকে দেখা গেছে এক দম্পতি জিমন্যাস্টিকস দেখাচ্ছে। অন্য এক ব্যক্তির ধরে থাকা 'টি' আকারের কাঠামোর একটি খুঁটি থেকে তারা ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে, চীনা বৌদ্ধ তীর্থযাত্রী হিউয়েন সাঙ, স্তম্ভে আরোহণের প্রমাণ দিয়েছেন, তিনি এটি এলাহাবাদে (বর্তমানে প্রয়াগরাজ) প্রত্যক্ষ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, তিনি দেখেছিলেন, এলাহাবাদে হিন্দু তপস্বীরা খুঁটির উপরে উঠে গিয়ে এক হাত এবং একটি পা দিয়ে এটিকে আঁকড়ে থেকে অন্য হাত ও পা বাতাসে প্রসারিত করে দিয়েছে। মাথা ডানদিকে ঘুরিয়ে তারা সূর্যাস্ত দেখছে, এটি একটি সৌর আচারের ইঙ্গিত দেয়। ১১৩৫ খ্রিস্টাব্দের সাহিত্যে মাল্লাখাম্বার প্রাচীনতম উল্লেখটি পাওয়া গেছে। সেটি হল তৃতীয় সোমেশ্বর রচিত সংস্কৃত ভাষার একটি উচ্চশ্রেণীর রচনা মানসোল্লাস। ১৬১০ খ্রিস্টাব্দের একটি রাজপুত চিত্রকর্মে দেখা গেছে ক্রীড়াবিদেরা নানারকম অ্যাক্রোব্যাটিক্স প্রদর্শন করছে, যার মধ্যে আছে রাগ দেশকার ছন্দে নৃত্য করে খুঁটিতে আরোহণ। ১৭৭০ সালের একটি মোগল চিত্রকর্মে দেখা গেছে মল্লবিদ ও ক্রীড়াবিদেরা মুগুর দোলাচ্ছে, ভারত্তোলন করছে এবং মাল্লাখাম্বার মত দণ্ড আরোহণের অনুশীলন করছে। পেশোয়া দ্বিতীয় বাজি রাওয়ের শিক্ষক বালামভট্ট দাদা দেওধর এই ক্রীড়াকে পুনর্জীবিত করার আগে পর্যন্ত এটি সুপ্ত অবস্থায় ছিল। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে, ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ তাঁর শৈশবের বন্ধু নানাহেব এবং তান্তিয়া টোপীর সাথে মাল্লাখাম্বা শিখেছিলেন।
১৯৮১ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবারের মত, ভারতের মাল্লাখাম্বা ফেডারেশন, মাল্লাখাম্বাকে একটি প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়া হিসাবে বিকশিত করেছিল এবং ১৯৮১ সালের ২৮ থেকে ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম এর বিধি-বিধান চালু করা হয়েছিল।
আরও দেখুন
আরও পড়ুন
- Mallakhamb: An Investigation Into the Indian Physical Practice of Rope and Pole Mallakhamb by Jon Burtt, Edith Cowan University, 2010.
বহিঃসংযোগ
- Mallakhamb India website ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে
- "IndiaPress.org"। Listing of traditional games and sports of India। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১, ২০০৭।
- "mallkhambindia.com"। Mallakhamb: The Authentic Indian Sport। মে ১৫, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১, ২০০৭।
- "aquafishsilver.com"। "MALLAKHAMB" – A Great Traditional Ancient Art of Indian Physical Culture.। জুলাই ২, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১, ২০০৭।
- Mujumdar, D.C., ed. (১৯৫০)। The Encyclopedia of Indian Physical Culture। Baroda: Sree Ram Vijaya Printing Press। উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অতিরিক্ত লেখা: লেখকগণের তালিকা (link)
- https://web.archive.org/web/20101210030821/http://library.thinkquest.org/11372/data/mallakhamb.htm
- https://www.news18.com/news/sports/india-win-team-event-at-mallakhamb-world-championship-2039549.html
- https://indianexpress.com/photos/india-news/india-hosts-first-ever-world-mallakhamb-championship-in-mumbai-5590757/