Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
মেথামফেটামিন
রোগশয্যাসম্বন্ধীয় তথ্য | |
---|---|
উচ্চারণ | /ˌmɛθæmˈfɛtəmiːn/ |
বাণিজ্যিক নাম | Desoxyn, Methedrine |
অন্যান্য নাম | N-methylamphetamine, N,α-dimethylphenethylamine, desoxyephedrine |
এএইচএফএস/ ড্রাগস.কম |
মনোগ্রাফ |
লাইসেন্স উপাত্ত |
|
গর্ভধারণ বিষয়শ্রেণী |
|
নির্ভরতা দায় |
Physical: None Psychological: High |
আসক্তি দায় |
High |
প্রয়োগের স্থান |
Medical: oral (ingestion) Recreational: oral, intravenous, intramuscular, subcutaneous, smoke inhalation, insufflation, rectal, vaginal |
এটিসি কোড | |
আইনি অবস্থা | |
আইনি অবস্থা |
|
ফার্মাকোকাইনেটিক উপাত্ত | |
জৈবপ্রাপ্যতা | Oral: 70% IV: 100% |
প্রোটিন বন্ধন | Varies widely |
বিপাক | CYP2D6 and FMO3 |
কর্মের সূত্রপাত | Rapid |
বর্জন অর্ধ-জীবন | 5–30 hours |
কর্ম স্থিতিকাল | 10–20 hours |
রেচন | Primarily kidney |
শনাক্তকারী | |
| |
সিএএস নম্বর | |
পাবকেম সিআইডি | |
আইইউপিএইচএআর/ বিপিএস |
|
ড্রাগব্যাংক |
|
কেমস্পাইডার |
|
ইউএনআইআই |
|
কেইজিজি |
|
সিএইচইবিআই | |
সিএইচইএমবিএল | |
পিডিবি লিগ্যান্ড | |
কমপটক্স ড্যাশবোর্ড (আইপিএ) | |
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড | 100.007.882 |
রাসায়নিক ও ভৌত তথ্য | |
সংকেত | C10H15N |
মোলার ভর | ১৪৯.২৪ g·mol−১ |
থ্রিডি মডেল (জেএসমোল) | |
চিরালিটি | Racemic mixture |
গলনাঙ্ক | ১৭০ °সে (৩৩৮ °ফা) |
স্ফুটনাংক | ২১২ °সে (৪১৪ °ফা) at 760 mmHg |
| |
|
মেথামফেটিন বা ক্রিস্টাল মেথ একটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র উত্তেজক ওষুধ, যেটা অনেক সময় আনন্দ দায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত স্থুলতার চিকিতসায় ডাক্তারগণ দিয়ে থাকেন। মিথামফেটিন ১৮৯৩ সালে আবিষ্কৃত হয় এবং এর দুইটি রুপ বিদ্যমান- লেভো মিথামফেটিন এবং ডেক্স্ট্রো মিথামফেটিন । সাধারণভাবে মিথামফেটিন দ্বারা এই দুইটি রুপের সমমিশ্রণকে বোঝনো হয়। এটি খুব বেশি মাত্রায় নেশা উদ্রেককারী দ্রব্য বলে চিকিতসায় খুব কম ব্যবহৃত হয়।
নেশার দ্রব্য হিসেবে এটাকে অনেকে কিনে এবং খায়। নেশা হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এশিয়ার কিছু অংশে, ওশেনিয়া এবং আমেরিকায়। স্বল্প থেকে মাঝারি মাত্রায় মিথামফেটিন মনের ভাব পরিবরতন করতে পারে, সক্রিয়তা বাড়াতে পারে, ক্ষুধা কমাতে পারে এবং ওজন হ্রাস করতে পারে। বেশি মাত্রায় এটি কংকাল পেশি ভাংগে, কাপুনি সৃষ্টি করে এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ করে। অনেক সময় ধরে উচ্চ মাত্রার ব্যবহারে মিথামফেটিন মানসিক সমস্যা, বিষণণতা, অলীক কল্প্না, আক্রমণাত্মক ব্যবহার সৃষ্টি করতে পারে। নেশার সামগ্রী হিসেবে মিথামফেটিন শক্তি বৃদ্ধি করে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।
মেথামফেটিন একটি স্নায়ুবিষ, এটি মস্তিষ্কের মধ্য অঞ্চলের স্নায়ুগুলো ধ্বংস করে দেয়। এটি সেরোটনিন স্নায়ুও ধ্বংস করতে পারে।
ব্যবহার
ওষুধ হিসেবে
আমেরিকাতে ডেক্স্ট্রো মেথামফেটিন কে মনোযোগ হীনতা ও স্থুলতার ওষুধ হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে এর ব্যবহার এমন ভাবে করতে হবে যাতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি না হয়ে যায়। মাঝে মাঝে এটি ঘুমের মধ্যে কাপুনির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অতিরিক্ত নিদ্রাহীনতায়ও এটার ব্যবহার অনুমোদিত। লেভো মিথামফেটিন আমেরিকাতে নাকের পরিষ্কারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আনন্দদায়ক দ্রব্য হিসেবে
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আনন্দ পেতে মনের ভাব হাসিখুশি রাখতে মিথামফেটিন অপব্যবহার করা হয়। এটি যৌন মিলনের সময় বাড়াতে পারে বলে মিলনের আগে ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের ব্যবহার শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকারক। প্রতিক্রিয়া হিসেবে দিনের বেলা প্রচুর ঘুম পেতে পারে। এই ধরনের ব্যবহার মধ্য আমেরিকার শহর- যেমন সান ফ্রান্সিস্কো এবং নিউ ইয়রকে বেশি ঘটে।
নিষিদ্ধ ব্যবহার
মিথামফেটিন যাদের জন্য ব্যবহার করা নিষেধ- অপব্যবহারকারী, হৃদরোগী, বহুমুত্র রোগী, উচ্চ রক্তচাপের রোগী, গ্লুকোমা রোগী, যাদের অতিরিক্ত চিন্তা করার অভ্যাস। যারা অন্যান্য উত্তেজক দ্রব্যের প্রতি অতিরিক্ত সংবেদনশীল তাদেরও এটা ব্যবহার করা ঠিক নয়। যেহেতু এটা বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে তাই এটা ব্যবহারের সময় নিয়মিত ওজন এবং উচ্চতা পরিমাপ করতে হবে।
প্রতিক্রিয়া সমূহ
শারীরিক
শারীরিক প্রভাবগুলির মধ্যে ক্ষুধা, অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীলতা , প্রসারিত চোখের মনি, অত্যধিক ঘাম, অতিরিক্ত নড়াচড়া, শুকনো মুখ, মাথা ব্যাথা, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, দ্রুত শ্বাস, উচ্চ রক্তচাপ, নিম্ন রক্তচাপ, উচ্চ তাপমাত্রা, পাতলা পায়খানা, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথা ঘোরা, নমনীয়তা, শুকনো ত্বক, এবং ফ্যাকাশে চেহারা অন্যতম।
মানসিক
মেথামফেটিন এর মানসিক প্রভাবগুলির মধ্যে আনন্দ অনুভব, যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্লান্তি, অনিদ্রা উল্লেখযোগ্য। মেথামফেটামিন ক্রমাগত উদ্দেশ্যহীন ভাবে পুনরাবৃত্তিমূলক কার্যকলাপ ঘটানোর কারণ। এছাড়াও উদ্বেগ, বিষণ্নতা, আত্মহত্যা, এবং সহিংস আচরণের সঙ্গে এর সম্পর্ক আছে।
আসক্তি
আধুনিক প্রস্তাবনা অনুসারে ক্রমাগত ওষুধ ব্যবহারে মস্তিষ্কের স্নায়ুর জিনের অভিব্যক্তি পরিবর্তিত হয়ে যায়। যে নিয়মক গুলো পরিবর্তিত হয় তাদের মধ্যে ΔFosB, CREB, এবং NFκB অন্যতম। মেথামফেটামিন আসক্তি ও যৌন আসক্তির মূল প্রভাবক হল ΔFosB। ওষুধ দ্বারা প্রভাবিত যৌন আসক্তির মূল কারণ হল ডোপামিন নিয়ন্ত্রণহীনতা।
চিকিৎসা এবং ব্যবস্থাপনা
জ্ঞানগত আচরণ চিকিৎসা বর্তমানে আসক্তির জন্য সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা। মেথামফেটামিন আসক্তির জন্য কোন ওষুধ নেই। এই আসক্তি মূলত ডোপামিনের অতিরিক্ত সক্রিয়তার কারণে হয়ে থাকে।
অতিরিক্ত মাত্রা
মেথামফেটিন অতিরিক্ত মাত্রা হলে লক্ষণগুলির বিভিন্ন রকম হতে পারে। এর মাঝারি অতিরিক্ত মাত্রা প্রভাব গুলো এমন উপসর্গ তৈরি করতে পারে : অস্বাভাবিক হৃদ কম্পন, বিভ্রান্তি, বেদনাদায়ক প্রস্রাব, উচ্চ বা নিম্ন রক্তচাপ, উচ্চ তাপমাত্রা, অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীলতা , পেশী ব্যথা, অতিরিক্ত নড়াচড়া, দ্রুত শ্বাস, কাপুনি, , এবং মূত্র ত্যাগের অক্ষমতা।
অতিরিক্ত উচ্চমাত্রার প্রাভাব গুলোর মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীনতা , অতিরিক্ত কম মূত্র ত্যাগ, কার্ডিওজেনিক শক, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, নিম্ন রক্তচাপের, শরীরের অতি উচ্চ তাপমাত্রা, ফুসফুসের উচ্চ রক্তচাপ, বৃক্ক ববিকলাঙ্গতা , দ্রুত পেশী ভাঙ্গন, এবং সেরোটোনিন উপসর্গ ।
মেথামফেটিন বিষক্রিয়া থেকে শরীরের কাপুনি, কোমা এবং পরে মৃত্যু হতে পারে।
আবিষ্কারের ইতিহাস
মেথামফেটিন এর আগে আবিষ্কৃত অ্যামফেটামাইন প্রথম জার্মানিতে ১৮৮৭ সালে রোমানিয়ান রসায়নবিদ লেজার এডেলেনু সংশ্লেষ করেছিলেন, যার নাম ছিল ফিনাইল আইসোপ্রোপাইল্যামিন । এর কিছুদিন পরে, ১৮৯৪ সালে জাপানি রসায়নবিদ নাগাই নাগায়শি ইফেড্রিন থেকে মেথামফেটামাইন থেকে সংশ্লেষ করেন। তিন দশক পরে, ১৯১৯ সালে, মেথামফেটামাইন হাইড্রোক্লোরাইডটি ফার্মাকোলজিস্ট আকিরা ওগতা লাল ফসফরাস এবং আয়োডিন দ্বারা ইফেড্রিন বিজারণের মাধ্যমে সংশ্লেষিত করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, বার্লিন ভিত্তিক টেমললার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী দ্বারা উৎপাদিত, পার্থিটিন নামের ব্র্যান্ড নামটি ট্যাবলেট আকারে মেথামফেটামিন বিক্রি করা হয়। থার্ড রেইচের সম্মিলিত ওয়েহম্যাট সশস্ত্র বাহিনীর সমস্ত শাখায় এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এবং বিশেষত লুফটফাফ পাইলটগুলির সাথে এটির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দীপক প্রভাব এবং অতিরিক্ত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জনপ্রিয় ছিল। পারভিটিন জার্মান বাহিনীর মধ্যে "স্টুক-ট্যাবলেটস" এবং "হারম্যান-গারিং-পিলস" হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠে। এটার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এতটাই গুরুতর ছিল যে ১৯৪০ সালে সেনাবাহিনী তীব্রভাবে তার ব্যবহারকে বন্ধ করে দেয়। ঐতিহাসিক লুকাজ কামিয়েনস্কি বলেছেন, "পারভিটিন ব্যবহারকারী একজন সৈনিক সাধারণত পরের দিন বা দুই দিনের জন্য কাজ করতে অক্ষম হয়ে থাকত। নিজেকে ওষুধ এর প্রভাব মুক্ত রাখা এবং একজন মহান যোদ্ধার চেয়ে জম্বির মত দেখানো, তাকে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে পুনরুদ্ধার করতে হয়েছিল।"
কিছু সৈনিক খুব সহিংস হয়ে উঠে; কেউ কেউ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ করে, অন্যরা তাদের নিজস্ব কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালায়।
বৈধতার অবস্থা
মেথামফেটামাইন উৎপাদন, বিতরণ, বিক্রয় এবং নিজের কাছে রাখা অনেক দেশে নিয়ন্ত্রিত বা অবৈধ। জাতিসংঘের সাইকোট্রপিক পদার্থ চুক্তিতে মেথামফেটামাইনকে শিডিউল ২ এ স্থাপন করা হয়েছে।