Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
মেসোথেরাপি
মেসোথেরাপি (ইংরেজি: Mesotherapy) (শব্দটি এসেছে গ্রীক 'মেসস্', “মাঝামাঝি”, এবং থেরাপি শব্দটি এসেছে গ্রীক 'থেরাপিয়া', “ঔষধের মাধ্যমে উপশম”) হলো এমন একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা যা কিনা শল্যচিকিৎসাবিহীন এবং কসমেটিক ঔষধের মাধ্যমে চিকিৎসা। মেসোথেরাপিতে বেশ কয়েকটি রাসায়নিক ঔষধ এবং হোমিওপ্যাথি ঔষধ, গাছের নির্যাস, ভিটামিন এবং অন্যান্য উপাদান সমূহ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের অভ্যন্তরভাগের চর্বিতে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়।
ব্যবহার
এধরনের ঔষধ এবং অন্যান্য বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের সমন্বয়ে যে ককটেইল শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্লিনিকাল চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় সে বিষয়ে নানাবিধ গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে বিশেষ করে বেশ কয়েক বছর ধরে ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকাতে বিভিন্ন প্রকাশনায় ইহার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াসমূহ প্রকাশ হয়ে আসছে। যদিও কোন গবেষণাই সিদ্ধান্ত আকারে প্রমাণ করতে পারে নাই যে এই সকল রাসায়নিক উপাদানসমূহ নির্দিষ্ট চর্বিকোষসমূহের উপর কাঙ্ক্ষিত ক্রিয়া করে থাকে। লাইসিস কোষ যা কিনা ডক্সিকোহলিকের ডিটার্জেন্ট ক্রিয়ার ফলে উদ্ভূত হয়, তা এই চিকিৎসার ফল হিসাবে ধরা যেতে পারে।
২০১২ সালে, একটি ফ্রেন্স ল্যাবরেটরি একটি তরল পোডলেটে মেসোথেরাপি ঔষধ প্রবেশ করানোর পদ্ধতি আবিষ্কার করে। পোডলেটটি তারপর একটি ফেসিয়াল স্টিমারের সাথে সংযুক্ত করে ব্যবহারকারীর মুখমণ্ডলে বাষ্পের মাধ্যমে এ চিকিৎসাতে নিয়োগ করা হয়। এ ধরনের যে কোন আবিষ্কার হিসাবে এটিই প্রথম মেসোথেরাপি চিকিৎসা যা ভোক্তারা নিজেদের বাসস্থলিতে ব্যবহার করতে সক্ষম হন। এই চিকিৎসাতে যেসকল উপাদান ব্যবহিত হয় সেগুলি হলো:
- ফোসফাটাইডাইকোলাইন
- টি৩-টি৪ থাইরয়েড
- আইসোপ্রোটিরেনল
- এ্যামিনোফিনাইল
- প্যান্টোক্সিফিনাইল
- এল-কার্নিটাইন
- এল-আর্জিনাইন
- হাইলুরোনিডেস
- কোলোজিনেজ
- ইউহিমবাইন
- কো-ইনজিম কোফেকটর্স
- ডামিথাইলিথাননোলামাইন
- জিরোভাইটাল
- গ্লুটাথাইয়ন
- ট্রেটিনোইন
- আলফা লিপোইক এসিড
- ভিটামিন সি
- প্রোকেইন
- লিডোকেইন
- জিংকগো বিলোবা
- মেলিয়োটাস
- সি-এডেনোসাইন মোনোফোসফেট
- মাল্টিপল ভিটামিন
- ট্রেস মিনারেল উপাদানাবলি
- কার্বন-ডি-অক্সাইড
- মেসোগলাইকেন
ইতিহাস
মিচল পিস্টর (১৯২৪-২০০৩) ক্লিনিক্যাল গবেষণা করতেন এবং আলোচ্য মেসোথেরাপি ক্ষেত্রটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। পিস্টর এর কাজের কারণে বহুজাতিক গবেষণাসমূহ এই ইন্ট্রাডার্মাল থেরাপির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমায় পৌছেছিল, যা কিনা ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সালে মানব দেহের উপর চিকিৎসাতে কাজে লেগেছিল। ফ্রেন্স প্রেস ১৯৫৮ সালে এই চিকিৎসার নামকরণ করে মেসোথেরাপি। ফ্রান্সের 'একাডেমিয়া ন্যাশনেল দি মেডেসিন' মেসোথেরাপিকে একটি বিশেষ ঔষধ হিসাবে স্বীকার করে নেয় ১৯৮৭ সালে। ইহা ব্যতীত আরো একটি বিশেষ বিষয় লক্ষনীয় ছিল যে, 'ফ্রেন্স সোসাইটি অব মেসোথেরাপি' এটাকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে এটার নানাবিধ ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন শর্তে তবে সেখানে এটাকে প্লাস্টিক সার্জারীতে ব্যবহার করার বিষয়ে কোন নির্দেশনা ছিল না। ইউরোপিয়ান দেশসমূহ এবং দক্ষিণ আমেরিকায় এটি ব্যপকভাবে জনপ্রিয় ছিল এবং বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৮,০০০ জন ফিজিশিয়ান এটাকে ব্যবহার করতে উপদেশ প্রদান করেন।
সমালোচনা
মেসোথেরাপি চিকিৎসাটি মানুষের ত্বকে পঞ্চাশ বছর ধরে সমগ্র ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা এবং সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী পরীক্ষা করা হয়ে আসছে। তবে এ বিষয়ে চিকিৎসকরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এই বলে যে এই চিকিৎসাটিকে নিয়ে ওতো বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি, যে এটার ক্রিয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। প্রাথমিক একটি ধারণা হলো এই যে কসমেটিক অবস্থার এই থেরাপিটি শ্রেষ্ঠ গোল্ড মানের মতো নয়; যদিও অন্যান্য রোগ যেমন: টেন্ডোনিটিস, টেন্ডন ক্যালসিফিকেশন, দাঁতের চিকিৎসা, ক্যানসার, কার্ভিকোব্রাচিয়ালগিয়া, বাত, লিম্ফেডেম এবং ভেনাস স্ট্যাটিস চিকিৎসাতে কষ্ট নিবারণের জন্য এই প্রক্রিয়াটি পরীক্ষা করা হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন
- Matarasso, Seth; Butterwick, Kimberly; Goldberg, David; Lawrence, Naomi; Mandy, Stephen; Sadick, Neil; Wexler, Patricia; Rotunda, Adam (জানুয়ারি ২০০৬)। "Technology report: Mesotherapy"। American Society for Dermatological Surgery। জানুয়ারি ৯, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১২।
- Rittes, PG; Rittes, JC; Carriel, Amary MF (২০০৬)। "Injection of phosphatidylcholine in fat tissue: experimental study of local action in rabbits"। Aesthetic Plast Surg.। 30 (Jul-Aug;30(4):474-8.): 474–8। ডিওআই:10.1007/s00266-005-0170-5।
- Rotunda, Adam; Kolodney, Michael (এপ্রিল ২০০৬)। "Mesotherapy and Phosphatidylcholine Injections: Historical Clarification and Review" (পিডিএফ)। Dermatological Surgery। 32 (4): 465–480। ডিওআই:10.1111/j.1524-4725.2006.32100.x। মার্চ ৩, ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১২।