Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
যৌন সামগ্রিকীকরণ
যৌন সামগ্রিকীকরণ (ইংরেজি: Sexual objectification) বলতে একজন মানুষকে যৌন তৃপ্তি লাভের অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করাকে বুঝায়। মুলত সামগ্রিকীকরণ বলতে এখানে কোনও মানুষের মানবিক সত্ত্বা নয় বরং তাকে বস্তুবাদী দৃষ্টিতে দেখা হয়।সামগ্রিকীকরণ বিষয়টি সমাজের স্তরবিন্যাসের সাথে সম্পৃক্ত হলেও ক্ষেত্রবিশেষে ব্যক্তি পর্যায়েও এর চর্চা পরিলক্ষিত হতে পারে।
যৌন সামগ্রিকীকরণ বিষয়টি মূলত নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য একটি সামগ্রিকীকরণ আর এটি নারীবাদী তত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ তাত্ত্বিক ও মনস্তাত্ত্বিক অনুষঙ্গ যা নারীবাদ থেকে উদ্ভূত হয়েছে।অনেক নারীবাদী যৌন সামগ্রিকীকরণ কে লৈঙ্গিক বৈষম্যের হাতিয়ার ও প্রধান সহযোগী অঙ্গ হিসেবে দেখে থাকেন। যদিও কিছু কিছু সমাজ গবেষকের মতে কিছু আধুনিকা নারীদের ক্ষমতায়ণ বস্তুবাদের পথে তাদের সম্পৃক্ততাকে নির্দেশ করে থাকতে পারে।
নারীর ক্ষেত্রে যৌন সামগ্রিকীকরণ
নারীর ক্ষেত্রে যৌন সামগ্রিকীকরণ বলতে মূলত বোঝানো হয় পুরুষের যৌন আকাঙ্খা পূরণের উদ্দেশ্যে নারীকে মানুষ না বরং যৌন উপকরণ হিসেবে দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি, সেটিকে।তবে কোন পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি ঘটছে তার উপর ভিত্তি করে অবস্থার তারতম্য হতে পারে, যেমন মিডিয়া ও বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর মেয়েদের বস্তুবাদী উপায়ে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে অনেক নারীবাদী ব্যক্তিবর্গের দ্বিমত রয়েছে। পর্ণগ্রাফি, মূলধারার মিডিয়া ও বিজ্ঞাপন, দেহপসারণ ও অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে নারীকে পুরুষের উপর নির্ভরশীল ও নতদৃষ্টির এবং কিছু ক্ষেত্রে নির্যাতিত রূপে দেখানোর প্রবণতা রয়েছে, রূপচর্চা, বক্ষ স্ফিতকরণ, দেহসৌষ্ঠব উন্নত করার বিজ্ঞাপন এসব ক্ষেত্রে নারীকে যৌন সামগ্রিকীকরণের শিকারে পরিণত করা হয় বলে অনেক নারীবাদী মনে করেন। মিডিয়ায় নারীর যৌন সামগ্রিকীকরণের এই রূপ অনেক ক্ষেত্রেই প্রচ্ছন্ন থেকে শুরু করে যৌনতায় ভরপুর সংলাপ ও নারীর উগ্র শারীরিক উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রকট রূপে তুলে ধরা হয়।
কিছু নারীবাদী ও মনস্তত্ত্ববিদ মনে করেন, যৌন সামগ্রিকীকরণ নারীর মানসিক অবসাদ, ক্ষুধামন্দা ও এমনকি যৌন অনীহার কারণ হতে পারে, নারীর মনে নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা গড়ে তুলতে পারে, সৃষ্টি করতে পারে এমন ধারণা যে, তার মেধা ও মননকে সমাজ উপেক্ষা করছে তার ‘বস্তুবাদী উপাদানে পরিণত হওয়ার’ কারণে। যৌন সামগ্রিকীকরণ নারীর কর্মদক্ষতা, আত্মবিশ্বাস ও কর্মক্ষেত্রে পারফর্মেন্সেও নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। অনেকে মনে করেন, নারীবাদী চিন্তাধারা নারীদের পুরুষের লালসার উপাদান হিসেবে আরও বেশি করে তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছে, যার দরুন যৌন সামগ্রিকীকরণের যে সমস্যা সেটি আরও প্রকট হয়ে উঠছে। এই সামগ্রিকীকরণের বিষয়টি সমাজের অন্যতম প্রধান একটি বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠছে, কারণ সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে স্থান পাওয়ার প্রত্যাশায় নারীর উচ্চাকাঙ্ক্ষা সঠিকভাবে ব্যবহার করা না গেলে তা বিপত্তির কারণও হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।
নারীবাদী সংস্কারবিশেষজ্ঞ Robert Jensen এবং Sut Jhally মনে করেন, গণমাধ্যম ও বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো নারীকে অবমাননাকরভাবে উপস্থাপন করছে তাদের পণ্য ও সেবার প্রচারণার জন্য।
নারীর ক্ষেত্রে যৌন সামগ্রিকীকরণ নতুন কিছু নয়,ফরাসী সংস্কৃতিতে চালু একটি বিতর্ক আছে নারীর বক্ষ নিয়ে, এটি স্পর্শকাতর আকর্ষিকা শুধু, নাকি প্রকৃতির উপহার, এই নিয়ে যুক্তি পাল্টা যুক্তি চালু আছে। ফরাসী নাটকেও নারীবক্ষকে কেন্দ্র করে এর মূল উপযোগ সন্ধানের হাহাকার, ১৭৭১ সালে মঞ্চিত নাটক ‘ট্রু মাদার’ এর অন্যতম দুই চরিত্রের সংলাপে আমরা সেই দ্বন্দ্ব দেখতে পাই।
নারীর সামগ্রিকীকরণ কে সমস্যা হিসেবে প্রথম সামনে নিয়ে আসে নারীবাদী গোষ্ঠীগুলো, ১৯৭০ এর দশকে। এরপর থেকে এই সমস্যার আনুষঙ্গিক পরিধি বাড়ছে, যৌন সামগ্রিকীকরণ সংক্রান্ত জটিলতাগুলো সামগ্রিকভাবে বেড়ে চলেছে, বিশেষ করে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে। তবে তৃতীয় মাত্রার এক রকম নারীবাদী গোত্র রয়েছেন যারা নারীর এই সামগ্রিকীকরণ কে ‘নারী শরীরকে শক্তির এক স্বতন্ত্র আধার হিসেবে ব্যবহারের’ রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করার উপায় খুজছেন।
নারীর কৃত সামগ্রিকীকরণঃ
এরিয়েল লেভি বিতর্কের উদ্ভব করেন এই তত্ত্ব অনুসারে, কিছু পশ্চিমা নারী নিজেদের কিছু কার্যকলাপ(যেমন অসংযত কাপড়চোপড় পরিধান, অসংলগ্ন আচরণ করা ইত্যাদি) করে নিজেরাই নিজেদের সামগ্রিকীকরণ করছেন।নারী ক্ষমতায়নের এই বিশেষ স্বরূপের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি তাঁর ‘রেঞ্চ কালচার’ টার্মে।
তিনি তাঁর ‘ফিমেল সভেনিস্ট পিগঃ ওমেন এন্ড দা রাইস অফ রাঞ্চ কালচার’-এ তিনি এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন, ‘গার্লস গন ওয়াইল্ড’ এর ক্যামেরা ক্রু নিয়ে কাজ করেছেন। আর তাঁর মতে, বর্তমান সময়ের আমেরিকার বস্তুবাদী চিন্তাধারায় নারীর সামগ্রিকীকরণ কেবল সমস্যা নয় বরং নারীকে স্ব সামগ্রিকীকরণে উৎসাহিত করছে এটি। লেভি লিখেছেন, বর্তমানে ভেজা টিশার্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ বা পর্ন ফিল্ম দেখার আইডিয়া নারীবাদের শৌর্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
পুরুষের ক্ষেত্রে যৌন সামগ্রিকীকরণঃ
নারীবাদী লেখিকা ক্রিস্টিনা হফ সমারস ও নওমি উলফের মতে, যৌন স্বাধীনতার সম্প্রসারণ নারীকে বিপরীত ভূমিকায় দাঁড় করিয়েছে। অর্থাৎ যেমন পুরুষ নারীকে যৌন সামগ্রিকীকরণের অনুষঙ্গে পরিণত করেছে, অনেকসময় নারীও পুরুষকে সেই একই স্থানে দাঁড় করায়। মনস্তত্ত্ববিদ হ্যারলড লিওনের মতে নারীর সাথে সাথে পুরুষেরও স্বাধীনতাচর্চায় নজর দেয়া দরকার। এটা বিশেষ করে ৯০ ও ২০০০ দশকের নারী স্বাধীনতার যুগের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য।ছেলেরাই অনেক সময় ছেলেদের যৌন সামগ্রিকীকরণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নারী যেমন যৌন সামগ্রিকীকরণের শিকার হয় তেমনি অনেক ক্ষেত্রে পুরুষও হয়ে থাকে।
এরকম কয়েকটি ক্ষেত্র হল বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও, টিভি, বিফকেক ক্যালেন্ডার, মেয়েদের ম্যাগাজিন ও এমন আরও অনেক কিছু। মেয়েরাও পর্ণোগ্রাফি দেখে আর সংরক্ষণ করে, যা পুরুষের সামগ্রিকীকরণের নামান্তর। টেমপ্লেট:Overcite
মিডিয়া
ছেলেদের শরীর আরও বেশি সামগ্রিকীকৃত হয়েছে আগের চেয়ে। এটি ‘সিক্স প্যাক এডভারটাইজিং’ নামে পরিচিত, যেখানে ছেলেরা যৌন সামগ্রী হিসেবে প্রদর্শিত হয়। যদিও নারীর যৌন সামগ্রিকীকরণের বাহুল্যের দরুন পুরুষেরটি ঢাকা পরে যায় অনেকাংশেই। তবে পুরুষ সামগ্রিকীকরণ আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেলেও পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যাবস্থার জন্য এখনো নারীর যৌন সামগ্রিকীকরণটাই বেশি চোখে পরে।
পণ্যের বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে প্রদর্শিত পুরুষ দেহের মাধ্যমে ৩৭ শতাংশ পুরুষ সামগ্রিকীকরণ ঘটে থাকে। এগুলো যৌন সামগ্রিকীকরণের মধ্যে পরে। মেয়েদের ক্ষেত্রে যৌন সামগ্রিকীকরণের মতই পুরুষদের ক্ষেত্রেও প্রতিক্রিয়া হয়। দৈহিক সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে পরিপূর্ণ হতে পুরুষকে এসব বিজ্ঞাপনের প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার আগে অনেকসময় স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধও নিতে হয়।
যৌন সামগ্রিকীকরণের একটি চক্র তৈরি করে এই প্রক্রিয়া। মিডিয়াতে আদর্শ পুরুষ বলতে বলশালী সুন্দর পুরুষ বোঝায়। মেয়েদের ক্ষেত্রেও এমনটিই অর্থাৎ বেশ কিছু গুনের সমন্বয় বুঝায়।
‘পারস্পরিক যৌন সামগ্রিকীকরণ স্কেল’ বা আইএসওএস বলে একটি বিষয় আছে যা পুরুষ ও নারীর যৌন সামগ্রিকীকরণের সূচক নির্দেশ করে। এটি সামগ্রিকীকরণ থিওরি ও সেক্সিজম নিয়েও আলোচনা করে। স্বকীয় সামগ্রিকীকরণ যার মধ্য দিয়ে প্রায়শই আমাদের যেতে হয়, তা মূলত মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য। ছেলেদের ক্ষেত্রে এটি মিডিয়ার মাধ্যমে বেশি প্রকাশিত হয়, আর মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি যতটা ক্ষতিকর, ছেলেদের ক্ষেত্রে ততটা নয়।
যৌন সামগ্রিকীকরণ সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গিঃ
যদিও নারীবাদী তত্ত্বে যৌন সামগ্রিকীকরণের ধারণা অতি গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব, যৌন সামগ্রিকীকরণের ধারণা আর নৈতিক মানদণ্ড পরিবর্তনশীল অবস্থায় থাকে মানব সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। কিছু নারীবাদী, যেমন নউমি উলফ, ভাবেন, ‘’শারীরিক আকর্ষণ’’ বিষয়টিই গোলমেলে, আর কিছু নারীবাদী ‘শরীরকে’ কেন্দ্র করে আকর্ষণের তত্ত্বের বিরোধিতা করেন। জন স্টোলটেনবারগ নারীর ভিজুয়ালাইজেশন সংক্রান্ত যৌন আকাঙ্খার রূপরেখা সামগ্রীতে পরিণত করার প্রবণতার বিরোধিতা করেন।
কিছু রক্ষণশীল সমাজতাত্ত্বিক নারীবাদী সমালোচকের যৌন সামগ্রিকীকরণের দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করেন, তাদের মতে দুই লিঙ্গেরই যৌন সামগ্রিকীকরণ পশ্চিমা সমাজের যৌন চেতনার বিপ্লবের ক্ষেত্রে এক বড় ধরনের অন্তরায়। এমনি এক সমালোচক ওয়েনডি সালিটের মতে ’রিটার্ন অফ মডেস্টি’ যৌন সামগ্রিকীকরণের বড় প্রতিষেধক।
বাকি অনেকে নারীর যৌন সামগ্রিকীকরণের ক্ষেত্রে নারীবাদী দাবীগুলো প্রতিষ্ঠা করতে চান। কামিলা পাগ্লিয়া মনে করেন, মানুষকে যৌন সামগ্রিকীকরণের অধীনে আনা আমাদের প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য। তাঁর মতে, যৌন সামগ্রিকীকরণ হল কনসেপচুয়ালাইজেশন ও এসথেটিক্সের পথে মানুষের সবচেয়ে উন্নত আবর্তন। ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবাদী নারীবাদী ওয়েনডি ম্যাকএলরয়ের মতে নারীর শরীর ততটাই গুরুত্বপূর্ণ যতটা তাঁর মেধা ও মনন। তাই কোনও বিশেষ অংশের প্রতি বাড়তি নজর দেয়াটা তেমন অবমাননাকর নয়।
সামগ্রিকীকরণের থিওরিঃ
যৌন সামগ্রিকীকরণ নারীর সার্বিক অবস্থার দুই ভিত্তির উপর নির্ভর করে শ্রেণীভুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থার উপর ভিত্তি করে এর ভিন্নতা থাকতে পারে। নৈতিক ও সামাজিক আচরণগত পার্থক্য ও চিন্তাধারার প্রভাবও এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
স্বকীয় সামগ্রিকীকরণঃ
স্বকীয় সামগ্রিকীকরণ হয় তখনি যখন মানুষ নিজের স্বকীয় অবস্থানকে সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দেয়, আর তৃতীয় কোনও ব্যক্তির পর্যবেক্ষণে সেটি প্রকট হয়ে উঠে। অন্যের দৃষ্টিতে নিজেকে সেরা হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টায় এমনটি হতে পারে। দর্শক বা স্রোতার উপস্থিতি, ক্যামেরার সামনে ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যক্তির এমন অভিব্যক্তি ফুটে উঠতে পারে।
নারী ও স্বকীয় সামগ্রিকীকরণঃ
প্রাথমিকভাবে সামগ্রিকীকরণ বর্ণনা করে কীভাবে নারী সমাজ ও নৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়। সব নারীর ক্ষেত্রে এটি সমানভাবে হয় না, তবে নারীর সশরীর উপস্থিতি এতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। নারীর ক্ষেত্রে স্বকীয় সামগ্রিকীকরণ মূলত দুটি কারণে হয়, ‘আত্তীকরণ’, আর ‘প্রথাগত সৌন্দর্যের মাপকাঠি পূরণের অব্যয়’। অন্যান্য অনেক দুর্বলতা অনেক সময় নারীর সামগ্রিকীকরণের কারণ হতে পারে।
মনস্তাত্ত্বিক ধারাবাহিকতাঃ
সামগ্রিকীকরণের থিওরি নারীর ক্ষেত্রে প্রচ্ছন্ন ও সরাসরি এই দুই ধরনের ধারাবাহিকতার ইঙ্গিত করে থাকে। নিজের উপস্থাপনযোগ্যতাকে পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে নিরূপণের যে প্রবণতা তা সামগ্রিকীকরণের প্রচ্ছন্ন ধারাবাহিকতা, আর যৌন আগ্রাসনের শিকার হওয়া বা ইঙ্গিত লাভ হল এর সরাসরি রূপ। গবেষণার মাধ্যমে বোঝা যায় কেন যৌন সামগ্রিকীকরণের থিওরি শারীরিক ও মানসিক অবক্ষয়ের কারণে উদ্ভূত সমস্যায় এত গুরুত্বপূর্ণ।
মানসিক অবসাদের কারণঃ
যেহেতু মানবদেহের গঠন উন্নত ভাবে দেখানো যায়, বা নিজের বাহ্যিক রূপকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা যায় তাই নিজের অসহায়ত্বকে দূর করতে মানুষ অনেক সময় সামগ্রিকীকরণের দ্বারস্থ হয়। মৌলিক মানবসত্তা থেকে দূরে সরে যায়। এগুলো অনেকসময় মানসিক অবসাদের জন্ম দিতে পারে। এছাড়াও যৌন আগ্রাসনের শিকার হওয়াও একটি অন্যতম কারণ, বিশেষ করে পোষাকে, কর্মস্থলে আর সামাজিক ক্ষেত্রে নিগ্রহ মানুষের জীবনে নিপীড়নের তিক্ততা এনে দেয়।
যৌন ফেটিসিজমঃ
যৌন ফেটিসিজম যৌন সামগ্রিকীকরণের অংশ হতে পারে, যখন কোনও ব্যক্তিকে পণ্য ও ভোগের বস্তু হিসেবে দেখানো হয়। বিডিএসএম এ সাবমিসিভ মনোবৃত্তির বিকাশের ধাপগুলোকে যৌন সামগ্রিকীকরণ হিসেবে ধরা যায়।