Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
রজোনিবৃত্তি
রজোনিবৃত্তি | |
---|---|
বিশেষত্ব | স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিজ্ঞান |
রজোনিবৃত্তি (ইংরেজি: Menopause) বা মেনোপোজ/মেনোপজ হলো মহিলাদের জীবনের এমন একটি সময় যখন তাদের রজঃস্রাব সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায় এবং তারা আর গর্ভধারণ করতে সক্ষম থাকে না। মেনোপোজ সাধারণত ৪৯ থেকে ৫২ বছর বয়সে হয়ে থাকে। সাধারণত মহিলাদের একবছর যাবত রজঃস্রাব বন্ধ থাকলে চিকিৎসকগণ এটাকে মেনোপোজ বা রজোনিবৃত্তি বলে থাকেন। এসময় ডিম্বাশয়ের কার্যক্রম হ্রাস পায় বা বন্ধ হয়ে যায়। সার্জারির মাধ্যমে জরায়ু কেটে ফেললে মেনোপোজের লক্ষণ দ্রুত দেখা দেয়(গড়ে ৪৫ বছর বয়সে)
বয়স
পশ্চিমাবিশ্বে রজোনিবৃত্তির বয়স ৪০ থেকে ৬১ বছর। এবং সর্বশেষ রজঃস্রাবের গড় বয়স ৫১ বছরঅস্ট্রেলিয়াতে প্রাকৃতিক রজোনিবৃত্তির গড় বয়স ৫১.৭ বছর।ভারত ও ফিলিপাইন-এ গড়ে ৪৪ বছর বয়সে মেনোপোজ হয়। রজোনিবৃত্তির বয়স সর্বপ্রথম রজঃস্রাব বা সর্বশেষ গর্ভধারণের উপর নির্ভর করেনা। এছাড়া এর সাথে গর্ভধারণ সংখ্যা, সন্তানকে দুগ্ধদান, জন্মবিরতিকরণ বড়ি সেবন, আর্থসামাজিক অবস্থা, জাতিগত পরিচয়, উচ্চতা বা ওজনের কোনো সম্পর্ক নেই।
কারণ
রজোনিবৃত্তি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। ক্ষীণদেহী মহিলাদের তাড়াতাড়ি রজোনিবৃত্তি ঘটে। এছাড়া ধূমপায়ী ও অপুষ্টির স্বীকার মহিলাদের মেনোপোজ আগে হয়। সিলিয়াক ডিজিজে আক্রান্ত মহিলারা চিকিৎসা না পেলে অল্প বয়সে রজোনিবৃত্তির স্বীকার হয়।
অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে সার্জারি করে ডিম্বাশয় কেটে ফেলা, কেমোথেরাপি ইত্যাদি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে গোনাডোট্রোপিন হরমোনের প্রতি ডিম্বাশয়ের সংবেদনশীলতা কমে যায়, এর প্রাথমিক ফলিকলের সংখ্যা ও কার্যক্রম হ্রাস পায় এবং ডিম্বাশয় থেকে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়। প্রান্তীয় টিস্যুতে অ্যারোমাটাইজেশনের মাধ্যমে অ্যান্ড্রোস্টেনেডিওন হরমোন থেকে অল্প পরিমাণ ইস্ট্রোন ( ইস্ট্রোজেনের রূপভেদ) তৈরি হয়। রজোনিবৃত্তির পরে এই ইস্ট্রোনই হলো ইস্ট্রোজেনের প্রধান উৎস। রক্ত বা প্রস্রাবে হরমোনের মাত্রা দেখে রজোনিবৃত্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। মেনোপোজ হলো মেনার্কি ( যখন নারীদের প্রথম রজঃস্রাব আরম্ভ হয়) এর বিপরীত।
লক্ষণসমূহ
রজোনিবৃত্তির পূর্বে রজঃস্রাব অনিয়মিতভাবে হতে থাকে। অনিয়মিত রজঃস্রাব বলতে বুঝানো হচ্ছে যে এটা অল্প বা বেশি সময় ধরে চলতে পারে অথবা হালকা বা বেশি পরিমাণ রক্তপাত হতে পারে। এই সময়টাতে মহিলাগণ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন যেমন এক ধরনের গরম আভা বা উষ্ণতা অনুভব করেন যা দেহ থেকে মুখমণ্ডলের দিকে ছড়িয়ে যায় যা হট ফ্লাশ (hot flushes) নামে পরিচিত। এটা ত্রিশ সেকেন্ড থেকে দশ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এর সাথে কাঁপুনি, রাতের বেলা অতিরিক্ত ঘাম, ত্বক লালচে হওয়া প্রভৃতি লক্ষণ থাকতে পারে। হট ফ্লাশ প্রায় ৭৫% মহিলার ক্ষেত্রে ঘটে এবং প্রায়শই এক বা দুই বছরের মধ্যে বন্ধ হয় যায়। এই সময় যোনিপথের শুষ্কতা, নিদ্রাহীনতাসহ বিভিন্নরকম মানসিক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়।
সকল মহিলার ক্ষেত্রে এই লক্ষণসমূহ সমান ভাবে প্রকাশ পায় না। অন্যান্য লক্ষণসমূহের মধ্যে রয়েছে যৌনমিলনে ব্যথা অনুভব করা(Dyspareunia), যোনিপথের ঝিল্লি পাতলা হওয়া ও স্থিতিস্থাপকতা কমে যাওয়া, প্রস্রাব আটকে রাখার অক্ষমতা(ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স), ত্বকের শুষ্কতা, ওজন বৃদ্ধি, স্তনের আকার বৃদ্ধি ও ব্যথা(mastodynia), জয়েন্টে ব্যথা, মাথা ব্যথা, বুক ধড়ফড় ইত্যাদি।
মানসিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে উদ্বিগ্নতা, অস্থিরতা, মনযোগহীনতা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া ইত্যাদি। রজোনিবৃত্তির ফলে মহিলাদের অ্যাথেরোসক্লেরোসিস,হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, অস্টিওপোরোসিস বা অস্থিক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ে। তবে ওজন, রক্তচাপ ও রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান পরিত্যাগ করার মাধ্যমে এ সকল রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
আরো দেখুন
বহিঃসংযোগ
- European Menopause and Andropause Society
- Menopause: MedlinePlus
- Menopause and Menopause Treatments
- Menopause.org, The Official Website of The North American Menopause Society
রজঃ ও ঋতুচক্র | |||
---|---|---|---|
গ্যামেটোজেনেসিস | |||
মানব যৌন আচরণ | |||
জীবন দশা | |||
ডিম (জীববিজ্ঞান) | |||
প্রাজননিক অন্তঃস্রাবীবিদ্যা এবং বন্ধ্যাত্ব |
|||
স্তন | |||
|
Events and phases | |||||
---|---|---|---|---|---|
Life stages | |||||
Tracking |
|
||||
Suppression | |||||
Disorders | |||||
Related events | |||||
In culture and religion | |||||
|