Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
রোধক প্রসব
রোধক প্রসব | |
---|---|
প্রতিশব্দ | প্রসবজনিত ডায়াস্টোসিয়া |
সুগঠিত নয়, এমন শ্রোণিচক্রের চিত্রায়ন, যা রোধক প্রসব এর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ | |
বিশেষত্ব | Obstetrics (ধাত্রীবিদ্যা) |
জটিলতা | পেটিনাটাল এসফিক্সিয়া, জরায়ু বিদারণ, প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ, প্রসব পরবর্তী সংক্রমণ |
কারণ | শিশুর অস্বাভাবিক অবস্থান বা আকারে বড় হলে, ছোট শ্রোণিচক্র, যোনিতে সমস্যা |
ঝুঁকির কারণ | কাঁধ ডায়াস্টোসিয়া, অপুষ্টি, ভিটামিন ডি এর অভাব |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | প্রসবের সক্রিয় পর্যায়; ১২ ঘণ্টার অধিক হলে |
চিকিৎসা | সিজারীয় সেকশন, সিমফাইসিস পিউবিসকে ভ্যাকুয়াম এক্সট্রাকশন দ্বারা উন্মুক্তকরণের মাধ্যমে |
সংঘটনের হার | ৬৫ লক্ষ (২০১৫) |
মৃতের সংখ্যা | ২৩,১০০ (২০১৫) |
রোধক প্রসব (ইংরেজি: Obstructed labor) বলতে সেই পরিস্থিতিকে বুঝানো হয়; যখন নবজাতক জরায়ুর স্বাভাবিক সংকোচন সত্ত্বেও যোনিপথের রুদ্ধতার দরুন শিশু ভূমিষ্ট হতে পারে না। এর ফলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পাওয়ার ফলে শিশু মারাও যেতে পারে। এর ফলে প্রসূতি বা প্রজায়িনী মায়ের সংক্রমণ, জরায়ু বিদারণ অথবা প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়তে পারে।প্রসব জনিত ফিস্টুলার মত দীর্ঘস্থায়ী জটিলতা প্রজায়িনী মায়ের হতে পারে প্রসবকালীন সময়ে সক্রিয় পর্যায়ের সময়সীমা ১২ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হলে, বিলম্বিত প্রসবের কারণে রোধক প্রসবের ফলশ্রুতিস্বরূপ বিলম্বিত প্রসব জনিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।
রোধক প্রসবের জন্য বেশ কিছু কারণ দায়ী। অস্বাভাবিক বড় আকারের বাচ্চা অথবা অস্বাভাবিকভাবে বাচ্চার অবস্থান, ছোট শ্রোণিচক্র এবং যোনিপথে বিভিন্ন সমস্যা রোধক প্রসবের অন্যতম কারণ। প্রজায়িনী মায়ের প্রসবকালীন উন্নয়ন বা কোনো সমস্যা আছে কিনা তা নির্ধারণে প্যাট্রোগ্রাফ ব্যবহার করা হয়। শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা গর্ভবতী মায়ের রোধক প্রসব হবে কিনা তা নির্ধারণ করতে পারে।
২০১৫ সালে প্রায় ৬৫ লক্ষের মত রোধক প্রসব বা জরায়ু বিদারণের মত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে এরফলে ২৩ হাজার নারীর মার্তৃমৃত্যু ঘটেছে। ১৯৯০ সালে ২৯০০০ মার্তৃমৃত্যু ঘটেছে (যার আট শতাংশ গর্ভাধান জনিত কারণে ঘটেছে) মৃত সন্তান প্রসবের জন্য অন্যতম কারণ রোধক প্রসব। এধরনের পরিস্থিতি উন্নয়নশীল বিশ্বে সর্বাধিক পরিমাণে দেখা যায়।
কারণ
মার্তৃগর্ভে সন্তান অস্বাভাবিক ভাবে থাকলে, প্রসবকালীন সময়ে, তাকে প্রসূতি মায়ের পিউবিক হাড়ের নিচে দিয়ে সহজে বের করা যায় না। এধরনের পরিস্থিতিকে কাঁধ ডায়স্টোসিয়া বলে।অপুষ্টি ও ভিটামিন ডি এর অভাব ছোট শ্রোণিচক্রের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। এধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব কৈশোরেই সর্বাধিক পরিমাণে দেখা যায়, যদি বাড়ন্ত বয়সে শ্রোণিচক্রের প্রকৃত বৃদ্ধি না ঘটে। যোনিদ্বারে সমস্যার জন্যও রোধক প্রসবের মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, যদি নারীর যৌন অঙ্গহানি বা টিউমারের জন্য নারীর যোনি ও পেরিনিয়াম সংকীর্ণ হয়ে যায়।
রোগ নির্ণয়
প্রজায়িনী মায়ের শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে রোধক প্রসবের মধ্য দিয়ে যেতে হবে কি হবে না, তা চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন।
চিকিৎসা
সিজারীয় সেকশন অথবা সিম্ফাইসিস পিউবিস উন্মুক্ত করে ভ্যাকুয়াম এক্সট্রাকশনের মাধ্যমে রোধক প্রসবের চিকিৎসা করা যায়। যদি প্রসূতি মায়ের এমনিওটিক ঝিল্লী ১৮ ঘণ্টার বেশি বিদীর্ণ থাকে তবে তাকে এন্টিবায়োটিক ও জলযোজিত(হাইড্রেটেড) রাখতে হবে। আফ্রিকা ও এশিয়ায় ২ থেকে ৫ শতাংশ সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে রোধক প্রসব হয়।
চিকিৎসকের মতামত
রোধক প্রসবের চিকিৎসায় সিজারিয়ান সেকশন সম্পন্ন করতে চিকিৎসকের মতামত সর্বাগ্রে (ইংরেজিঃ prognosis) নেওয়া জরুরী। বিলম্বিত রোধক প্রসব মৃত সন্তান প্রসব, প্রসবজনিত ফিস্টুলা এবং মার্তৃমৃত্যু ঘটাতে পারে।
মৃত্যুহার
১৯৯০ সালে রোধক প্রসবের দরুণ মায়ের মৃত্যুর হার ছিল ২৯,০০০। ২০১৩ সালের হিসাবে এ মৃত্যুর হার ছিল ১৯,০০০।
আরো পড়ুন
শ্রেণীবিন্যাস | |
---|---|
বহিঃস্থ তথ্যসংস্থান |
- Education material for teachers of midwifery : midwifery education modules (পিডিএফ) (2nd সংস্করণ)। Geneva [Switzerland]: World Health Organisation। ২০০৮। আইএসবিএন 9789241546669।