শ্রাবণিক ধ্বনিবিজ্ঞান (ইংরেজি: Auditory phonetics) ভাষাবিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত শাস্ত্র ধ্বনিবিজ্ঞানের একটি উপশাখা, যেখানে বাকধ্বনি (Speech sound) কীভাবে শ্রবণ করা হয় এবং সেগুলি কীভাবে মনে গিয়ে বাক-প্রত্যক্ষণ বা বাক-উপলব্ধির (speech perception) জন্ম দেয়, সে বিষয়ে অধ্যয়ন করা হয়। এই শাস্ত্রে কীভাবে প্রান্তিক শ্রবণতন্ত্র ও কেন্দ্রীয় শ্রবণতন্ত্রগুলির (যার মধ্যে মস্তিষ্কের কিছু এলাকাও অন্তর্ভুক্ত) কর্মপদ্ধতিগুলির মধ্যস্থতায় বাক-উদ্দীপকসমূহ (speech stimuli) ও সেগুলির কারণে সৃষ্ট শ্রোতার প্রতিক্রিয়ার মধ্যবর্তী সম্পর্কগুলি প্রতিষ্ঠা পায়, সেই ব্যাপারটি অধ্যয়ন করা হয়। এটি ধ্বনিবিজ্ঞানের তিনটি প্রধান শাখার একটি; অন্য দুইটি শাখা হল ধ্বনিতরঙ্গবিজ্ঞান (Acoustic phonetics) ও উচ্চারণ ধ্বনিবিজ্ঞান (Articulatory phonetics)। তবে এগুলির মধ্যে একই গবেষণাপদ্ধতি প্রয়োগ করা হতে পারে এবং একই ধরনের প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করা হতে পারে।
ভৌত মাপনী ও শ্রাবণিক সংবেদন
কোনও শব্দ বা ধ্বনির ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহ এবং সেই ধ্বনি শ্রবণাঙ্গে (যেমন কানে) যে শ্রাবণিক সংবেদনগুলির সৃষ্টি করে, তাদের মধ্য কোনও সরাসরি সম্পর্ক নেই। যেখানে শব্দ বা ধ্বনির ভৌত বা ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্যগুলি বস্তুনিষ্ঠ তথা নৈর্ব্যক্তিকভাবে (অর্থাৎ ব্যক্তিভেদে এগুলি একই মান ধারণ করে) পরিমাপ করা সম্ভব, সেখানে শ্রাবণিক সংবেদনগুলি ব্যক্তিনিষ্ঠ (অর্থাৎ ব্যক্তিভেদে এগুলি ভিন্ন হয়ে থাকে) এবং শ্রোতাদেরকে তাদের উপলব্ধি বা প্রত্যক্ষণ সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রদানের অনুরোধ করে এই সংবেদনগুলি অধ্যয়ন করতে হয়। নিচের সারণীতে ধ্বনির ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহ বা শ্রাবণিক সংবেদনগুলির মধ্যকার সম্পর্ক দেখানো হয়েছে।
ভৌত বৈশিষ্ট্য |
শ্রাবণিক প্রত্যক্ষণ
|
শব্দতরঙ্গের বিস্তার |
ধ্বনি বা শব্দের জোরালোতা
|
শব্দতরঙ্গের মৌলিক কম্পাংক |
স্বরতীক্ষ্ণতা
|
বর্ণালীয় কাঠামো |
ধ্বনি বা শব্দের গুণমান
|
স্থায়িত্বকাল |
দৈর্ঘ্য
|
আরও দেখুন