Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
সূর্যমণি হত্যাকাণ্ড
Другие языки:

সূর্যমণি হত্যাকাণ্ড

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
সূর্যমণি গণহত্যা
সূর্যমণি হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
সূর্যমণি হত্যাকাণ্ড
স্থান সূর্যমণি, বরিশাল, পূর্ব পাকিস্তান
তারিখ ৭ অক্টোবর ১৯৭১ (UTC+6:00)
লক্ষ্য বাঙ্গালী হিন্দু
হামলার ধরন গণহত্যা
ব্যবহৃত অস্ত্র রাইফেল
নিহত ২৪
হামলাকারী দল রাজাকার

সূর্যমণি গণহত্যা ১৯৭১ সালের ৭ই অক্টোবর ভোরে তৎকালীন বরিশাল জেলার সূর্যমণি গ্রামে সংঘটিত হয়েছিল। রাজাকাররা ২৪ জন বাঙালি হিন্দুকে গুলি করে হত্যা করে।

পটভূমি

সূর্যমণি গ্রামটি পূর্ব বরিশাল জেলার পিরোজপুর মহকুমায় অবস্থিত, বর্তমানে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলাধীন । গ্রামটি মঠবাড়িয়া উপজেলা সদরের পূর্বে আড়াই কিলোমিটার দূরে। গ্রামের দক্ষিণে ওয়াপদা বাঁধ রয়েছে।

হত্যাকাণ্ড

৬ অক্টোবর রাতে মঠবাড়িয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের আঙ্গুলকাটা গ্রামে হালদার ও মিত্র পরিবারের বাড়িতে ৬০-৬৫ জন সশস্ত্র রাজাকার একটি দল হামলা চালায়। রাজাকারদের নেতৃত্বে ছিলেন কমান্ডার ইস্কান্দার আলী মৃধা, মুকুল আহমেদ বাদশা, আনসার আলী খলিফা এবং সৈয়দ হাওলাদার। তারা দরজা খুলে পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের বেঁধে রেখেছিল। এর পরে তারা মহিলাদের ধর্ষণ করে এবং দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা ৩৭ জন পুরুষকে বন্দী করে নিয়ে যায়। তাদের মঠবাড়িয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে সাত জনকে মুক্তিপণের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। বাকি ৩০ জনকে সুর্যমণি গ্রামের দক্ষিণে ওয়াপদা বাঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাদের একটি লাইনে দাঁড় করানো হয়েছিল এবং রাজাকাররা গুলি করেছিল। ২৪ জন বাঙালি হিন্দু ঘটনাস্থলেই মারা যান। এর মধ্যে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়ে ক্ষত থেকে বেঁচে গিয়ে অলৌকিকভাবে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

তদন্ত

২০১০ সালের ৮ ই অক্টোবর, বেঁচে থাকা জ্ঞানেন্দ্র মিত্র মঠবাড়িয়ায় সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন, আটজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনেছিলেন। মামলার আসামি আবদুর জব্বার ইঞ্জিনিয়ার ( জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও পিরোজপুর -৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য), ইস্কান্দার আলী মৃধা (টিকিকাটা ইউনিয়নের চরমাইন এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতা), মুকুল আহমেদ বাদশাহ (শিল্পপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা) মো। আনসার আলী খলিফা ( জামায়াতে ইসলামীর নেতা), যুদ্ধাপরাধের মুহাম্মদ হাবিব মিয়া হাওলাদার, রুহুল আমিন ও মোহাম্মদ আলম মৃধা। বিচারক মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে এফআইআর দায়ের ও বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। পুলিশ আদালতের কাছ থেকে আরও নির্দেশনা চেয়ে গেলে বিচারক মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করেনআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্তের জন্য দু'বার জায়গাটি পরিদর্শন করেছে। ট্রাইব্যুনাল এ পর্যন্ত ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য সংগ্রহ করেছে।


Новое сообщение