Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
স্মার্ট মব
স্মার্ট মব হচ্ছে (ইংরেজিঃ Smart mob), যা মবের আসল ধারণা থেকে ভিন্ন, একটি দল, যারা নিজেদের ক্রমবর্ধমান নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, মানুষকে তথ্য বা অন্য কিছুর সাথে যুক্ত করায় এবং যেকোন ভাবে সামাজিক সমন্বয়তা সৃষ্টির মাধ্যমে বুদ্ধিদীপ্ততা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখে।
হাওয়ার্ড রিংগোল্ড তার বই "স্মার্ট মবস: দ্যা নেক্সট সোশ্যাল রেভলিউশান" এ স্মার্ট মবের ধারনাটি প্রথম নিয়ে আসেন। রিংগোল্ডের মতে, স্মার্ট মব হচ্ছে যোগাযোগ প্রযুক্তির ধারাবাহিক উন্নতির ইঙ্গিত, যা মানুষের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করবে। ২০০২ সালে স্মার্ট মব ধারনাটি নিউইয়র্ক টাইমসে "ইয়ার ইন আইডিয়াজ" শিরোনামে গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হয়।
এইসমস্ত উঠতি প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেট, কম্পিউটার-মাধ্যম যোগাযোগ যেমন ইন্টারনেট রিলে চ্যাট এবং তারবিহীন ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, পারসোনাল ডিজিটাল এসিস্ট্যান্ট (পিডিএ)। ইদানীংকালে পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক এবং ইউবিকিউটাস কম্পিউটিং এর মত পদ্ধতিসমুহ স্মার্ট মব আয়োজন এবং তথ্য ছড়ানোর পদ্ধতি পরিবর্তন করে দিচ্ছে।
স্মার্ট মব মাঝে মাঝে দক্ষভাবে কিছু ডিস্প্যাচার বা আরাম্ভকের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, যারা মবিং ব্যবস্থাটিকে নিয়ন্ত্রণ করে (যেমনঃ যাদের কাছে বিভিন্ন মানুষের যোগাযোগ তালিকা আছে এবং যাদের কাছে অন্যের কাছে তাৎক্ষনিক ম্যাসেজ বা বার্তা পাঠানোর মাধ্যম আছে)।
এক্ষেত্রে স্মার্ট মবিংএর সাথে যুক্ত সবার অন্যতম প্রবণতা হচ্ছে এখানে শরীরের সুনির্দিষ্ট গতিবিধি ও নড়াচড়ার বিষয়টিকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয় এবং এই ধরনের ঘটনা ইন্টারনেটের মত যায়গায় আলোচনা করা হয় না।
ফ্ল্যাশ মবের সাথে সম্পর্ক
ফ্ল্যাশ মব হচ্ছে স্মার্ট মবের একটি সুনির্দিষ্ট দিক, যেখানে হঠাৎ করে জনাকীর্ণ স্থানে অত্যন্ত স্বল্প সময়ের জন্যে অপ্রচলিত, দৃশ্যত উদ্দেশ্যহীনভাবে একদল মানুষ বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড করে থাকে, এবং তারপর সবাই বিচ্ছিন্ন ভাবে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে গিয়ে প্রস্থান ঘটায়। স্মার্ট মব থেকে অনুপ্রানিত হয়ে ফ্ল্যাশ মব বিষয়টি এসেছে বলে দাবি করা হয়। ফ্ল্যাশ মবের উদ্ভাবনের সময় থেকে শুরু করে এটি এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যম এবং প্রচারকারী বা প্রোমটারদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়ে আসছে, যেটি আসলে স্মার্ট মবের কাছাকাছি একটি বিষয়।