Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া
হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া | |
---|---|
প্রতিশব্দ | হৃৎ-ফুসফুসীয় ক্রিয়া বন্ধ হওয়া, রক্তসঞ্চালন বন্ধ হওয়া, হঠাৎ হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া, হঠাৎ হৃৎ-মৃত্যু |
হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার একটি ছদ্ম পরিস্থিতিতে হৃৎ-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন (Cardiopulmonary Resuscitation বা CPR) সম্পাদন করা হচ্ছে। | |
বিশেষত্ব | হৃৎবিজ্ঞান, জরুরী চিকিৎসা |
লক্ষণ | চেতনা লোপ, অস্বাভাবিক শ্বাসক্রিয়া বা শ্বাসক্রিয়া বন্ধ |
রোগের সূত্রপাত | বৃদ্ধ বয়স |
কারণ | হৃৎবেষ্টক ধমনীর ব্যাধি, জন্মগত হৃৎ-ত্রুটি, ব্যাপক রক্তক্ষরণ, অক্সিজেনের অভাব, পটাসিয়ামের অতিস্বল্পতা, হৃৎপিণ্ডের বৈকল্য |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | বুকে বা নাড়ীতে কোনও স্পন্দন না পাওয়া |
প্রতিরোধ | ধূমপান বর্জন, শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা। |
চিকিৎসা | হৃৎ-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন (CPR), হৃৎ-ছন্দ পুনরুদ্ধার |
আরোগ্যসম্ভাবনা | জীবিত থাকার হার ~ ১০% (হাসপাতালের বাইরে); ২৫% (হাসপাতালে) |
সংঘটনের হার | প্রতি ১০ হাজার জনে ১৩ জন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ও হাসপাতালের বাইরে) |
মৃতের সংখ্যা | > বছরে ৪,২৫,০০০ (কেবলমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে) সারা বিশ্বে বছরে ১ কোটির অধিক |
সংজ্ঞা
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া বলতে হৃৎপিণ্ড কোনও কারণে বিকল হওয়ার কারণে রক্তসংবহনতন্ত্রে রক্তের প্রবাহ হঠাৎ বন্ধ হওয়ার ঘটনাটিকে বোঝানো হয়। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধের পূর্বে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট হওয়া বা বমি বমি ভাব অনুভূত হতে পারে। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাস অস্বাভাবিক এমনকি বন্ধ হয়ে যাতে পারে।
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধের প্রধান কারণ করোনারি ধমনী রোগ । অন্যান্য কারনের মধ্যে আছে প্রচুর রক্তপাত হওয়া, অক্সিজেনের অভাব, পটাশিয়ামের অতিস্বল্পতা, হৃৎপিন্ডের বৈকল্য এবং প্রচন্ড শরীরচর্চা। কিছু সংখ্যক জন্মগত হৃৎত্রুটিও যেমন দীর্ঘ কিউ টি উপসর্গ এর ঝুকি বাড়াতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাথমিক হৃৎছন্দ হিসেবে ভেন্ট্রিকুলার ফিব্রিলেশন পাওয়া যায়। বুকে বা নাড়িতে কোন স্পন্দন না পাওয়া গেলে রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করা যায়।
ধূমপান বর্জন, শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়। এর চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে হৃৎ-ফুস্ফুসীয় পুনরুজ্জীবন, এবং যদি শক দেয়ার মত স্পন্দন পাওয়া যায় তাহলে ডিফিব্রিলেশন পদ্ধতি। এদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকে লক্ষ্যমাত্রা তাপমাত্রা পরিচালনার মাধ্যমে ফলাফল ভালো করা যায়। প্রতিস্থাপনযোগ্য হৃৎপিন্ডের ডিফিব্রিলেটরের মাধ্যমে পুনরাবৃত্তিতে মৃত্যুর সম্ভাবনা কমানো যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর প্রায় ৫৩৫,০০০ জন হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়, যার মধ্যে প্রতি ১০,০০০ জনের মধ্যে ১৩ জনের (৩২৬,০০০ বা ৬১%) হাসপাতালের বাহিরে সংঘটিত হয় এবং বাকিদের (২০৯,০০০ বা ৩৯%) হাসপাতালের অভ্যন্তরে। বয়সের সাথে সাথে হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার সম্ভাবণা বাড়ে। মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের এটি বেশি হয়। হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসার মাধ্যমে আরোগ্য সম্ভাবনা প্রায় ৮%। যারা বেঁচে থাকেন তাদের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হারে বিকলাঙ্গতা দেখা যায়। যদিও বিভিন্ন আমেরিকান টিভি অনুষ্ঠানে ৬৭% এর মতো অবাস্তব উচ্চমাত্রার আরোগ্য সম্ভাবনা দেখানো হয়।
হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার কারণ
ধমনিতে (Coronary artery) অন্তঃস্থিত গাত্রে (Endothelium) এর নিচে (LDL cholesterol) লো ডেনসিটি লিপো-প্রোটিন কোলেস্টেরল জমে ধমনির গহ্বর সংকীর্ণ করার ফলে হার্ট অ্যাটাক হয়। এর ফলে, চর্বির দলা ফেটে জমাট রক্ত হৃদযন্ত্রের মাংসপেশিতে অক্সিজেন ও সুষম খাদ্য সরবরাহ ব্যাঘাত ঘটায়, ধীরে ধীরে হৃদযন্ত্রের দেয়ালের মাংসপেশিসমূহ দুর্বল হয় এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।উচ্চরক্তচাপ, রক্তে চর্বির আধিক্য, বেশি গ্লুুকোজের পরিমাণও হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ করতে সহায়তা করে থাকে।শকের কারণে হতে পারে। ঔষুধ , পূর্বের হূদরোগ ও মানসিক সমস্যার কারণে ।
লক্ষণ
প্রায় ৫০% ক্ষেত্রেই কোন পূর্ব সতর্কীকরণ লক্ষণ ছাড়াই হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। যাদের লক্ষণ দেখা যায় তাদের অনেকের লক্ষণই অস্পষ্ট থাকে যেমন
- অল্পেই হাঁপিয়ে ওঠা
- বমি হওয়া
- শ্বাসকষ্ট হওয়া
- দ্রুত হৃৎস্পন্দন অনুভূত হওয়া
- পায়ের গোড়ালিতে পানি জমে ফুলে যাওয়া
- কথাবার্তা চালচলনে অসামঞ্জস্য এবং ক্ষেত্রবিশেষে স্মৃতিহীনতা
- বুক ধড়ফড় বা palpitation
- ঘনঘন ফুসফুসে পানি জমা
- সবচেয়ে সুস্পষ্ট চিহ্ন বুকে বা নাড়িতে কোন স্পন্দন না পাওয়া
করনীয়
সুশৃঙ্খল জীবনযাপনই হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া রোগের উপসর্গ কমাতে পারে তথা সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। নিয়মিত ওষুধ সেবন, পানি পরিমিত সর্বসাকুল্যে ৮০০-১২০০ মিলি (বেশি পানি ফুসফুস তথা পায়ে জমাতে পারে যাতে করে রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে), সহজে হজম হয় এমন নরম খাবার তিনবারের স্থানে ছয়বার খাওয়া শ্রেয়। সহনীয় পর্যায়ে কায়িক পরিশ্রম বা হাঁটা, ধূমপান, অ্যালকোহল বর্জন, বাড়তি বা আলগা কাঁচা লবণ না খাওয়াসহ রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণই পারে হার্ট ফেইলিওর রোগীকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে। মনে রাখতে হবে, এসব ক্ষেত্রে প্রতিকার নয় প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম। প্রাথমিক অবস্থায় হার্টের এসব লক্ষণে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে জটিলতা অনেকটাই এড়ানো যায়। তাই অবহেলা না করে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা ও রোগের লক্ষণ নিয়ে সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। এতে করে অনেক জটিলতা প্রাথমিক অবস্থায় এড়ানো যায়।