Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.

হ্যানিবল

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
হ্যানিবল
Mommsen p265.jpg
বিখ্যাত হ্যানিবলের একটি আবক্ষ মার্বেল মূর্তি, মূলত ইতালির প্রাচীন নগর ক্যাপুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল (কিছু ঐতিহাসিক প্রতিকৃতি এর সত্যতা সম্পর্কে অনিশ্চিত)
জন্ম ২৪৭ বিসি
মৃত্যু ১৮৩, ১৮২ বা ১৮১ বিসি (বয়স ৬৪-৬৫)
গেবজি, তুরস্ক

হ্যানিবল (২৪৭ - ১৮৩/১৮২ বিসি) ছিলেন কার্থেজ সেনাপতি যাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কয়েকজন সেনাপতির নামের তালিকায় প্রথম দিকেই রাখা হয়। তিনি ছিলেন কার্থেজের পিউনিক বংশীয় ব্যক্তি। তার পিতার নাম হ্যামিলকার বার্সা। হ্যামিলকার প্রথম পিউনিক যুদ্ধের সময় একজন নেতৃস্থানীয় কার্থেজীয় সেনাপতি ছিলেন। হ্যানিবলের ছোট দুই ভাইয়ের নাম ম্যাগো ও হ্যাসদ্রোবাল।

হ্যানিবল মধ্যযুগে চরম রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সময় তার জীবন অতিবাহিত করেন। সেসময় রোমান প্রাজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল এবং রোমানরা আশেপাশের প্রায় সকল শক্তিশালী সাম্রাজ্যের উপর তাদের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল। তাদের মধ্যে, কার্থেজ, সেরাকাস মেসিডোনের হেলেনিস্টিক রাজ্য ও সেলেউসিড সাম্রাজ্য অন্যতম। তার অন্যতম একটি বড় অর্জন হলো দ্বিতীয় পিউনিক যুদ্ধ, যখন তিনি একটি বড় সৈন্যদল নিয়ে আইবেরিয়া থেকে পাইরেনিস হয়ে এবং উত্তর ইতালির আল্পস এলাকায় এলিফ্যান্টের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। তার প্রথম কয়েক বছরের ইতালির জীবনে তিনি নাটকীয়ভাবে তিনটি যুদ্ধ জয় করেন - ট্রিবিয়া, ট্রাসিমেনি এবং কানাই। এ যুদ্ধগুলোর মাধ্যমেই তিনি তার প্রতিদ্বন্দীর ক্ষমতা ও দূর্বলতা সম্পর্কে বিস্তর অভিজ্ঞতা আর্জন ও নিজের ক্ষমতা সম্পর্কেও একটি অন্যরকম জ্ঞন লাভ করেন। পরবর্তীতে তার প্রতিপক্ষের দূর্বলতা ও নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি রোমানদের অনেক মিত্র শক্তিকে পরাজিত করেন। হ্যানিবল প্রায় ১৫ বছর ইতালি দখল করে রাখেন কিন্তু এসময় হঠাৎ করেই রোমানরা উত্তর আফ্রিকাতে একটি পাল্টা আক্রমণ করে ফলে তিনি কার্থেজে ফিরে যেতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে তিনি জামায়র যুদ্ধে রোমান সেনাপতি স্কিপিও আফ্রিকানাসের কোছে পরাজিত হন। স্কিপিও, হ্যানিবলের যুদ্ধ কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত অনুশীলন করেছিল এবং তিনি নিজেও কিছু কৌশল অবলম্বন করেছিলেন এবং অবশেষে তিনি রোমানদের চিরশত্রু হ্যানিবলকে জামায় পরাজিত করেছিলেন। এ পরাজয়ের ফলে পরবর্তীতে হ্যানিবলের ভাই হ্যাসদ্রুবাল আইবেরিয়ান উপদ্বীপ থেকে চলে গিয়েছিলেন।

যুদ্ধের পর হ্যানিবল সফলভাবে সাফেট (অ-রাজকীয় হাকিম, একটি নগররাষ্ট্র উপর নিয়ন্ত্রণ প্রদান) হিসেবে রাজ্য পরিচালনা করেন। তিনি রোম দ্বারা যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম করার জন্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার নীতি গ্রহণ করেন; যাইহোক তার সংস্কার নীতি কার্থেজের ও রোমের অভিজাত-শ্রেণী ভালোভাবে গ্রহণ করে নি এবং তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান। এ সময়টাতে তিনি সেলেউসাইড কোর্টে বসবাস করেন, সেখানে তিনি রোমদের বিরোদ্ধে তৃতীয় অ্যান্টিওচাসের সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করতেন। যুদ্ধে অ্যান্টিওচাস পরাজিত হন ও রোমদের সকল শর্ত মেনে নিতে বাধ্য হন, হ্যানিবল পুনরায় সেখান থেকে পালিয়ে যান এবং আর্মেনিয়াতে চলে আসেন। তার যাত্রা বিথেনীয়া কোর্টে এসে শেষ হয় এবং সেখানে তিনি পেরগামুন থেকে আগত একটি বহরের বিরোদ্ধে নৌযুদ্ধ করে বিজয় আর্জন করেন। পরবর্তীতে রোমানরা তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল এবং বিষপান করে তিনি আত্মহত্যা করেন।

পদটীকা

  •  এই নিবন্ধটি একটি প্রকাশন থেকে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য যা বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনেচিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Hannibal (general)"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। [[বিষয়শ্রেণী:১৯১১-এ থেকে উইকিসংকলন পরামিতিসহ উইকিপিডিয়া নিবন্ধসমুহ এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা পাঠ্যে একত্রিত]]

আরো পড়ুন

বহিঃসংযোগ


Новое сообщение