অক্টোবর ২০০৫ বাংলাদেশে আদালতে বোমা হামলা

২০০৫ অক্টোবর বাংলাদেশের আদালতে বোমা হামলা ছিল একটি বোমা হামলা যা ৩ অক্টোবর ২০০৫ তারিখে ঘটে। এটি হয়েছিলো চাঁদপুর এবং লক্ষ্মীপুরের আদালতকে লক্ষ্য করে এবং এর ফলে ৩ জন নিহত এবং ৩৪ জন আহত হয়। এটি জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল, একটি ইসলামি সন্ত্রাসী সংগঠন, যেটি বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা এবং আইন ব্যবস্থার বিরোধিতা করেছিল।

আক্রমণ

চাঁদপুর

চাঁদপুর আদালতে বোমা হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের কাছে শরিয়া আইনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট ছিল এবং তারা জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের সদস্য বলে স্বীকার করেছে।

লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুরে হামলায় একজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন বিচারক আবু সুফিয়ান। বোমাটি একটি আইনি বইয়ের ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। বিচারক অক্ষত অবস্থায় রক্ষা পান।

চট্টগ্রাম

৩ অক্টোবর ২০০৫, সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা বিচারক দিলজার হোসেন ও ম্যাজিস্ট্রেট আকরাম হোসেনকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। বোমাগুলি বিস্ফোরণে ব্যর্থ হয়েছে এবং কেউ হতাহত হয়নি। আদালতে উপস্থিত আইনজীবী ও পুলিশ সদস্যরা আব্দুল মালেক লাল্টু ও শাহাদাত আলী নামে দুই সন্ত্রাসীকে আটক করতে সক্ষম হন।

বিচার

চট্টগ্রামের একটি আদালত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে বোমা নির্মাতা জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান সহ জামায়াত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের ৩ জঙ্গিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়। ফেব্রুয়ারী ২০১৪ সালে জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় মিজান অন্য দুই জেএমবি জঙ্গির সাথে ভেঙে পড়ে। বোমা মিজান ছাড়া বাকি দুই আসামি কারাগারে এবং সাজা ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন।

লক্ষ্মীপুরে বোমা হামলার দায়ে জেএমবি জঙ্গি মাসুমুর রহমান মাসুমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। ৬ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তার মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং এপ্রিল ২০১৬ তারিখে আমজাদ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।