Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
আইসোপ্রিন
| |||
| |||
নামসমূহ | |||
---|---|---|---|
পছন্দসই ইউপ্যাক নাম
2-Methylbuta-1,3-diene | |||
অন্যান্য নাম
2-মিথাইল-1,3-বিউটাডাইন
আইসোপ্রিন | |||
শনাক্তকারী | |||
|
|||
ত্রিমাত্রিক মডেল (জেমল)
|
|||
সিএইচইবিআই | |||
কেমস্পাইডার |
|
||
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড | ১০০.০০১.০৪০ | ||
ইসি-নম্বর | |||
কেইজিজি |
|
||
পাবকেম CID
|
|||
ইউএনআইআই | |||
কম্পটক্স ড্যাশবোর্ড (EPA)
|
|||
| |||
| |||
বৈশিষ্ট্য | |||
আণবিক ভর | 68.12 g/mol | ||
ঘনত্ব | 0.681 g/cm3 | ||
গলনাঙ্ক | −১৪৩.৯৫ °সে (−২২৭.১১ °ফা; ১২৯.২০ K) | ||
স্ফুটনাঙ্ক | ৩৪.০৬৭ °সে (৯৩.৩২১ °ফা; ৩০৭.২১৭ K) | ||
সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ছাড়া, পদার্থসমূহের সকল তথ্য-উপাত্তসমূহ তাদের প্রমাণ অবস্থা (২৫ °সে (৭৭ °ফা), ১০০ kPa) অনুসারে দেওয়া হয়েছে। | |||
Y যাচাই করুন (এটি কি Yনা ?) | |||
তথ্যছক তথ্যসূত্র | |||
আইসোপ্রিন, অথবা 2-মিথাইল-1,3-বিউটাডাইন, একটি জৈব যৌগ। যার রাসায়নিক সংকেত CH2=C(CH3)−CH=CH2 । বিশুদ্ধ অবস্থায় এটি বর্ণহীন উদ্বায়ী তরল। আইসোপ্রিন একটি অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন যৌগ। এই জৈব যৌগটি অনেক গাছপালা এবং প্রাণী দ্বারা উৎপন্ন হয়। আইসোপ্রিনের একক অণু অনেকগুলি মিলে পলিমার অণু গঠন করে। এর পলিমারগুলি প্রাকৃতিক রবারের মূল উপাদানi ১৮৬০ সালে সি.জি. উইলিয়ামস( C. G. Williams ) এই জৈব যৌগটির নাম রাখেন আইসোপ্রিন। প্রাকৃতিক রবার-কে তাপ দিয়ে ভেঙ্গে (পাইরোলাইসিস) সেখান থেকে তিনি এই যৌগটি পেয়েছিলেন। তিনি সঠিকভাবে আইসোপ্রিনের স্থূল সংকেত C5H8 বলে নির্দিষ্ট করেছিলেন।
প্রাকৃতিক উৎস
বহু প্রজাতির গাছ আইসোপ্রিন উৎপন্ন এবং নির্গত করে। ওক, পপলার, ইউক্যালিপটাস প্রভৃতি গাছ এর প্রধান উৎপাদক। শুধু গাছপালা থেকে আইসোপ্রিন নিঃসরণের পরিমাণ বছরে প্রায় ৬০০০ লক্ষ মেট্রিক টন। এর অর্ধেক পরিমাণ গ্রীষ্মপ্রধান দেশের বড় গাছ থেকে এবং বাকি মূলত ঝোপঝাড় থেকে আসে। এটি প্রায় মিথেন নিঃসরণের সমান এবং বায়ুমণ্ডলের সমস্ত হাইড্রোকার্বন নিঃসরণের পরিমাণের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।পর্ণমোচীবৃক্ষের বনগুলিতে হাইড্রোকার্বন নিঃসরণের প্রায় আশি শতাংশই হলো আইসোপ্রিন। কিছু কিছু শৈবালও আইসোপ্রেন তৈরি করতে পারে।
উদ্ভিদ
গাছের সবুজ রঙের রঙ্গক ক্লোরোফিলসমন্বাত ক্লোরোপ্লাস্টগুলিতে মিথাইল-এরিথ্রিটল 4-ফসফেটের মাধ্যমে (MEP pathway) আইসোপ্রিন তৈরি করা হয়। এই পথে প্রথমে ডাইমিথাইলঅ্যলাইলপাইরোফোসফেট (DMAPP) উৎপন্ন হয়। পরে আইসোপ্রিন সিন্থথেজ ( isoprene synthase ) নামক উৎসেচক সাহায্যে আইসোপ্রিন এবং ডাইফসফেট তৈরি হয়।
নিয়ন্ত্রণ
উদ্ভিদের আইসোপ্রিন নিঃসরণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ হয় সাবস্ট্রেটের উপলব্ধতা (ডিএমএএপপি) এবং উৎসেচক (আইসোপ্রিন সিন্থথেজ) ক্রিয়াকলাপ এর উপর।
অন্যান্য জীবজগৎ
মানুষের শ্বাসকার্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাপযোগ্য হাইড্রোকার্বন হ'ল আইসোপ্রিন। মানবদেহে আইসোপ্রিনের তৈরির হার একজন ৭০ কেজি ওজনের ব্যক্তির জন্য আনুমানিক প্রতিদিন প্রায় ১৭ মিলিগ্রাম। অনেক খাবারে কম মাত্রায় আইসোপ্রিনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। মাটির মধ্যে থাকা অনেক প্রজাতি এবং সামুদ্রিক ব্যাকটিরিয়া (যেমন অ্যাক্টিনোব্যাকটিরিয়া) আইসোপ্রিনকে নিজেদের জৈবিক প্রয়োজনে ব্যবহার করে এর মাত্রা হ্রাস করতে সক্ষম।
শিল্প উৎপাদন
পেট্রোলিয়াম ন্যাপথা বা তেলের তাপবিয়োজন করে ইথিলিন উৎপাদনের সময় উপজাত হিসাবে আইসোপ্রিন সবচেয়ে সহজে পাওয়া যায়। প্রতি বছর প্রায় ৮০০,০০০ মেট্রিক টন আইসোপ্রিন উৎপাদন করা হয়। প্রাকৃতিক রাবারের একটি কৃত্রিম সংস্করণ হল সিস ১,৪-পলিআইসোপ্রেন। আইসোপ্রিন উৎপাদনের শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ ১,৪-পলিআইসোপ্রিন উৎপাদন করতে ব্যবহৃত হয়।