Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
আক্রান্তের মৃত্যুহার
মহামারীবিদ্যা অনুসারে, আক্রান্তের মৃত্যুহার (যা আক্রান্তের মৃত্যু ঝুঁকি হিসেবেও পরিচিত) — বলতে বোঝায় কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা ও আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার অনুপাত। ইংরেজিতে এটি কেস ফ্যাটালিটি রেট বা সংক্ষেপে সিএফআর হিসেবে পরিচিত। আক্রান্তের মৃত্যুহারকে শতকরায় প্রকাশ করা হয়।এটির সংখ্যাগত তাৎপর্য হচ্ছে এর দ্বারা কোন একটি নির্দিষ্ট রোগের তীব্রতা বোঝা যায়।।মহামারীর তীব্র প্রার্দুভাবের সময় এটি প্রায়ই বিচ্ছিন্ন, সীমিত সময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই সংখ্যাটি তখনই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে যখন রোগের মৃত্যুর সংখ্যা এবং আরোগ্য লাভকারী রোগীর সংখ্যা সম্পূর্ণরূপে নির্ণণয় করা সম্ভব হবে। কোন রোগের রোগ বিস্তারের সময় যখন সংক্রমনের হার বেশি এবং আরোগ্য লাভের সময় দীর্ঘ হয় তখন প্রাথমিকভাবে নির্ণীত আক্রান্তের মৃত্যুহার চূড়ান্তভাবে নির্ণীত আক্রান্তের মৃত্যুহারের চেয়ে কম হয়।
পরিভাষা
মাঝে মাঝে আক্রান্তের মৃত্যুর অনুপাত এর পরিবর্তে আক্রান্তের মৃত্যুহার ব্যবহৃত হয় যদিও তারা ভিন্ন অর্থ বহন করে। আক্রান্তের মৃত্যুর অনুপাত হচ্ছে দুইটি ভিন্ন রোগের আক্রান্তের মৃত্যুহার এর অনুপাত যা ঐ রোগ দুইটির মধ্যে তুলনা প্রকাশ করে। এটি ভিন্ন ভিন্ন রোগের মধ্যে তুলনা অথবা হেলথ ইন্টারভেশনের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতেও ব্যবহৃত হয় .
আক্রান্তের মৃত্যুহারের সাথে সম্পর্কিত আরও একটি শব্দ যেটি প্রায়ই সংক্রমণ রোগের প্রার্দুভাবের সময় ব্যবহৃত হয় সংক্রমণের মৃত্যুহার । এর মান নির্ণয় করার সময় উপসর্গবিহীন এবং অশনাক্তকৃত সংক্রমণও বিবেচনায় আনা হয়। আক্রান্তের মৃত্যুহারের সাথে এর পার্থক্য হচ্ছে এটি রোগে আক্রান্ত সকল ব্যক্তি-যাদের মধ্যে রোগের লক্ষন প্রকাশ পেয়েছে ও শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে এবং যাদের মধ্যে রোগের লক্ষন প্রকাশ পায়নি কিন্তু রোগের বাহক (মেডিকেল ভাষায় যাদের বলা হয় এজিম্পটোমাটিক গ্রুপ) তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার কত তা নির্ণয় করা। (যারা রোগে আক্রান্ত কিন্তু সবসময় এজিম্পটোমাটিক অবস্থায় থাকে তাদেরকে "ইনঅ্যাপারেন্ট" — অথবা নিঃশব্দ, অথবা সাবক্লিনিকাল, অথবা অকাল্ট স্ংক্রমণও বলা হয়।) সংক্রমণের মৃত্যুহারের মান আক্রান্তের মৃত্যুহারের চেয়ে কম হয়।