আগনেস তরেস হার্নান্দেজ
আগনেস তরেস হার্নান্দেজ | |
|---|---|
| জন্ম | ১৯৮৩
তেহুয়াকান, পুয়েবলা, মেক্সিকো
|
| মৃত্যু | ১০ মার্চ ২০১২ (২৮ বছর)
অ্যাটলিক্সকো, পুয়েবলা, মেক্সিকো
|
| জাতীয়তা | মেক্সিকান |
| শিক্ষা | ভেরাক্রুজ বিশ্ববিদ্যালয় |
| পেশা | মনোবিজ্ঞানী, গবেষক, এলজিবিটি এক্টিভিস্ট |
আগনেস তোরেস হার্নান্দেজ বা আগনেস তোরেস (জন্ম ১৯৮৩, তেহুয়াকান - ১০ মার্চ ২০১২, অ্যাটলিক্সকো) ছিলেন একজন মেক্সিকান মনোবিজ্ঞানী, গবেষক এবং রূপান্তরীত লিঙ্গের কর্মী।
আগনেস তোরেস মেক্সিকোতে রূপান্তরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের আইনি স্বীকৃতির পক্ষে সওয়াল করেন। সকলের জন্য লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার ফলে ২০১২ সালের ১০ মার্চ তারিখে ভিন্ন মতাবলম্বী কেউ তাকে হত্যা করা হয়॥ তার তার মৃত্যুর পর মেক্সিকোর পুয়েবলা প্রদেশ কংগ্রেস লিঙ্গ বা যৌন অভিমুখিতার ভিত্তিতে করা অপরাধের জন্য সিভিল ডিফেন্স কোডে "ঘৃণামূলক অপরাধ" অন্তর্ভুক্ত করে।
জন্ম ও শিক্ষা
আগনেস তোরেস হার্নান্দেজ ১৯৮৩ সালে মেক্সিকোর পুয়েবলা প্রদেশের তেহুয়াকান শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। ২০০১ সালে তিনি ভেরাক্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স সহ তার মনোবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। কিন্তু তিনি আসলে তার ডিগ্রি পেতে অক্ষম ছিলের কারণ এটি তার ডেডনামে জারি করা হয়েছিল, আগনেস তোরেস হার্নান্দেজ নামে নয়।
২০১৪ সালের মে মাসে ভেরাক্রুজ বিশ্ববিদ্যালয় টোরেসকে তার সামাজিক ও সক্রিয় কর্মীদের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তার ডিগ্রি পোস্ট মর্টেম জারি করে।
সক্রিয়তা
তোরেস জন্ম সনদ সংশোধনের অধিকারের পক্ষে এবং জাতীয় স্তরে রূপান্তরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের সম্মান ও স্বীকৃতির জন্য হিউমানা নাসিয়ান ট্রান্সের সাথে সহযোগিতা করেছিলেন। তিনি ডেমোক্রেসি অ্যান্ড সেক্সুয়ালিটি নেটওয়ার্ক (ডেমিসেক্স) এবং এরেসফেরা নামক সংগঠনগুলোর সাথেও কাজ করেছিলেন।
২০১০ সালে, টোরেস পুয়েবলার গভর্নর পদে তৎকালীন পিআরআই প্রার্থী জাভিয়ের লোপেজ জাভালার বিরুদ্ধে জাতীয় কাউন্সিলের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন যাতে রূপান্তরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের পরিচয় সম্পর্কিত একটি নির্বাচনী বিতর্কে লোপেজ যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন তার উপর বৈষম্য রোধ করা যায়।
হত্যা
মেক্সিকোর পুয়েবলা রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের রিপোর্ট অনুযায়ী, টোরেসের মৃতদেহ ১০ মার্চ ২০১২ তারিখে সিগ্লো এক্সএক্সআই মহাসড়কে পাওয়া। সেখানে তার শরীরে তখন নির্যাতনের লক্ষণ দেখা যায়। স্পষ্টতই তার উপর সংঘটিত সহিংসতার কারণে, টোরেসের হত্যাকে পুয়েবলা প্রদেশের কংগ্রেস ট্রান্সফোবিয়ার ভিত্তিতে ঘটে যাওয়া ঘৃণামূলক অপরাধ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল।
পুয়েবলার অ্যাটর্নি জেনারেল তোরেসের হত্যার ঘটনায় চারজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেন। অন্যদিকে পঞ্চম তখনও পলাতক ছিল। তার হত্যার তিন বছর পর, ২০১৫ সালের মার্চ মাসে, তোরেসের হত্যার জন্য কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি।