Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
আফ্রিকান ট্রাইপানোসোমিয়াসিস
আফ্রিকান ট্রাইপানোসোমিয়াসিস | |
---|---|
বিশেষত্ব | সংক্রামক রোগ |
আফ্রিকান ট্রাইপানোসোমিয়াসিস বা স্লিপিং সিকনেস হল মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীদের এক পরজীবী ঘটিত রোগ. এটি এক প্রজাতির পরজীবী ট্রাইপানোসোমা ব্রুসেই Trypanosoma bruceiএর কারণে হয় । দু’রকম প্রকার আছে যাতে মানুষ আক্রান্ত হয়,ট্রাইপানোসোমা ব্রুসেই গ্যাম্বিয়েন্স Trypanosoma brucei gambiense (T.b.g) এবং ট্রাইপানোসোমা ব্রুসেই রোডেসিয়েন্স Trypanosoma brucei rhodesiense (T.b.r.). T.b.g হল ৯৮% রিপোর্টকৃত ঘটনার জন্য দায়ী। সাধারণতঃ এই দুই প্রকারেরই সংক্রমণ হয় কোন আক্রান্ত ৎসেৎসে মাছির tsetse fly কামড়ে এবং প্রধানতঃ গ্রামীণ এলাকায়।
প্রাথমিকভাবে, রোগের প্রথম পর্যায়ে আসে জ্বর, মাথাব্যথা, চুলকানি ও জয়েন্ট পেন। কামড়ের এক থেকে তিন সপ্তাহ পরে এটা শুরু হয়। কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পরে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্যায় যাতে থাকে বিভ্রান্তি, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সামঞ্জস্যতার অভাব, অসাড়ভাব ও ঘুম চলে যাওয়া। নিদান পেতে গেলে রক্ত কণা বা লিম্ফ নোডের ফ্লুইডে পরজীবি বা প্যারাসাইটের খোঁজ করতে হবে । রোগের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের পার্থক্য জানতে প্রায়শই লুম্বার পাংচারের lumbar punctureপ্রয়োজন হয়।
রোগের তীব্র আক্রমণ ঠেকাতে জনগোষ্ঠীর রক্তপরীক্ষা করে দেখতে হবে তাতে T.b.g.-র ঝুঁকি আছে কি না। রোগ প্রথমে আর স্নায়বিক লক্ষণসমূহ শুরু হবার আগে শনাক্ত হয়ে গেলে চিকিৎসা সহজতর হয়। প্রথম পর্যায়ের চিকিৎসা হয় পেন্টামিডাইন pentamidine অথবা সুরামিন suraminনামের ওষুধ দিয়ে । দ্বিতীয় পর্যায়ের চিকিৎসায় থাকে T.b.g –র জন্য এফ্লোর্নাইথিন অথবা নাইফার্টিমক্স ও এফ্লোর্নাইথিনের কম্বিনেশন। যদিও মেলার্সোপ্রোল উভয় ক্ষেত্রেই কাজ করে, তা হলেও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য এটি মূলতঃ শুধুমাত্র T.b.r.-এর জন্য ব্যবহার করা হয়।
রোগটি নিয়মিতভাবে সাব-সাহারান আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে দেখা যায়, এর বিপদের আওতায় আছে ৩৬টি দেশের প্রায় ৭০ মিলিয়ন লোক। ২০১০ সালে এর প্রকোপে প্রায় ৯০০০ লোক মারা গিয়েছে, যা ১৯৯০ সালে ৩৪০০০ মৃত্যুর তুলনায় কম। হিসাব অনুযায়ী ৩০০০০ লোক বর্তমানে আক্রান্ত রয়েছে, যার মধ্যে ২০১২ সালে ৭০০০ জন নতুন আক্রান্ত রয়েছে। এইসব ঘটনার ৮০% -এরও বেশি ঘটেছে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ দ্য কঙ্গোতে. সাম্প্রতিক ইতিহাসে তিনটি বড় ধরনের মহামারী ঘটেছে: একটি ১৮৯৬ থেকে ১৯০৬ পর্যন্ত মূলতঃ উগান্ডা এবং কঙ্গো বেসিন-এ এবং অপর দুটি ১৯২০ আর ১৯৭০-এ বিভিন্ন আফ্রিকান দেশে। অন্যান্য প্রাণী, যেমন গরু, এই রোগ বহন করতে পারে এবং সংক্রমণ ঘটাতে পারে।