Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
আয়োডিনের ঘাটতি
আমাদের প্রতিদিনকার খাদ্যে যদি আয়োডিন উপয়াদানটি না থাকে তাহলে আমাদের আয়োডিনের ঘাটতি তৈরি হয়। আয়োডিনের ঘাটতি দেখা দিলে আমাদের শরীরে গলগন্ড রোগ দেখা দেয়। এটি মূলত আমাদের থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যাওয়ার কারণে তৈরি হয়। এছাড়া হাইপারথাইরয়েডিজম নামে একটি রোগ হয়। এটি হলে থাইরয়েড গ্রন্থির কাজে ব্যাঘাত ঘটে। আর অনেকদিন যদি আয়োডিনের ঘাটতি আমাদের শরীরে বিদ্যমান থাকে তাহলে তা বড় বড় রোগের জন্ম দেয়। এমনকি মহিলারা বন্ধ্যাও হয়ে যেতে পারে। এটি বুদ্ধিবৃত্তিও কমিয়ে দেয়।
আমাদের খাদ্যতালিকায় আয়োডিন থাকা জরুরী। কারণ এটি মস্তিষ্কের গঠনে সাহায্য করে। বাড়ন্ত শিশুদের ক্ষেত্রেও এটি অনেক দরকার। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে যে হরমনগুলো ক্ষরিত হয় যেমন থাইরক্সাইড, ট্রিওডোথাইরনিন ইত্যাদি এই হরমনগুলোতে আয়োডিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই আমাদের খাদ্য তালিকায় আয়োডিন থাকা অনেক জরুরী। যেসকল অঞ্চলগুলো সমুদ্র থেকে অনেক দূরে সেখানকার মানুষরা সহজে আয়োডিন পায় না। আবার যারা পাহাড়ে থাকে, তাদের শরীরেও আয়োডিনের ঘাটতি তৈরি হতে পারে।
আয়োডিনের ঘাটতি থেকে বাঁচার জন্য আমাদের লবণের সাথে আয়োডিন মিশিয়ে দিতে হবে। যাকে আমরা বলি আয়োডিনযুক্ত লবণ। অন্যান্য খাবারের সাথেও আয়োডিন যোগ করা যেতে পারে। সামুদ্রিক খাবারে আয়োডিনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে।
আয়োডিন ঘাটতির লক্ষণ
আয়োডিনের ঘাটতি দেখা দিলে নিচের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়ঃ
- শরীর প্রচন্ড দুর্বল লাগা
- মুখ ফুলে যাওয়া
- চুল পাতলা হয়ে যাওয়া
- হাড়ের সন্ধিস্থলে ব্যথা হওয়া
- মাংশপেশি নড়াচড়ায় কষ্ট হওয়া
- মহিলাদের মাসিক অনিয়মিত হয়ে পড়া
- অতিরিক্ত আয়োডিনের ঘাটতি হলে মহিলারা বন্ধ্যাও হয়ে যেতে পারে
- থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে গিয়ে গলগন্ড রোগ হওয়া