Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
ইন্ট্রাভেন্ট্রিকুলার রক্তক্ষরণ
Другие языки:

ইন্ট্রাভেন্ট্রিকুলার রক্তক্ষরণ

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
ইন্ট্রাভেন্ট্রিকুলার রক্তক্ষরণ

ইন্ট্রাভেন্ট্রিকুলার রক্তক্ষরণ (ইংরেজি: intraventricular hemorrhage বা intraventricular bleeding) বা অন্তঃপ্রকোষ্ঠীয় রক্তক্ষরণ হচ্ছে মস্তিষ্কের ভেন্ট্রিকুলার সিস্টেম বা প্রকোষ্ঠীয় তন্ত্রে সংঘটিত রক্তক্ষরণ। ভেন্ট্রিকুলার তন্ত্রের সেরিব্রোস্পাইনাল তরল উৎপন্ন হয় এবং পরবর্তীতে তা মস্তিষ্ক ঘিরে থাকা সাবঅ্যারাকনয়েড স্পেসে প্রবাহিত হয়। মাথায় আঘাতজনিত কারণে বা স্ট্রোকের ফলাফল হিসেবে ইন্ট্রাভেন্ট্রিকুলার রক্তক্ষরণ সংঘটিত হতে পারে।

৩০% অন্তঃপ্রকোষ্ঠীয় রক্তক্ষরণ প্রাথমিক পর্যায়ের যা প্রকোষ্ঠীয় তন্ত্রের প্রকোষ্ঠগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে এবং সাধারণত প্রকোষ্ঠের অভ্যন্তরে আঘাত, অ্যানিউরিজম, রক্তবাহিকার ত্রুটি, বা ক্লোরয়েড প্লেক্সাসের টিউমারের কারণে সৃষ্টি হয়। তবে এই রক্তক্ষরণের একটি বড়ো অংশ বা ৭০% ক্ষেত্রে তা মাধ্যমিক মাত্রার রক্তক্ষরণের বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, যা বিস্তৃত হয়ে ইন্ট্রাপ্যারেনকাইমাল রক্তক্ষরণ বা সাবঅ্যারাকনয়েড রক্তক্ষরণে রূপ নেয়। মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রার মস্তিষ্কের আঘাতজনিত জখমের ৩৫% ক্ষেত্রে ইন্ট্রাভেন্ট্রিকুলার রক্তক্ষরণ হতে দেখা যায়। যেহেতু মস্তিষ্ক খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হলে এই ধরনের রক্তক্ষরণের সৃষ্টি সচারচর হয় না, তাই এ ধরনের ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল খুব কম-ই হয়।

লক্ষণ এবং রোগনির্ণয়

ইন্ট্রাভেন্ট্রিকুলার রক্তরক্ষরণের লক্ষণ অনেকটাই অন্য ধরনের ইন্ট্রাসেরিব্রাল রক্তক্ষরণের মতো যার মধ্যে রয়েছে রক্তক্ষরণের ফলে হঠাৎ করে সৃষ্টি হওয়া মাথাব্যথা, বমি ভাব বা বমি করা, মানসিক অবস্থার পরিবর্তন বা চেতনার পরিবর্তন হওয়া। ফোকাল স্নায়বিক উপসর্গ সচারচর খুব কম বা দেখাও যায় না, কিন্তু ফোকাল বা সাধারণ খিঁচুনির সৃষ্টি হতে পারে। নিশ্চিতভাবে রোগনির্ণয়ের জন্য সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে মস্তিষ্কের প্রকোষ্ঠে রক্তের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন।

পূর্বাভাস

উচ্চ রক্তচাপের কারণে সৃষ্ট ইন্ট্রাসেরিব্রাল রক্তক্ষরণের ফলে ইন্ট্রাভেন্ট্রিকুলার রক্তক্ষরণ হলে তার খুব ভালো ফলাফল আশা করা যায় না, বিশেষ করে এই জটিলতার ফলে হাইড্রোসেফ্যালাস হলে ফলাফল সাধারণত আরও বেশি খারাপ হয়। কারণ এর ফলে অন্তঃকরোটি চাপ আরও ভয়ংকরভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে যা প্রাণঘাতী ব্রেইন হার্নিয়েশনের সম্ভাবনা বাড়ায়। তবে এককভাবেও এই রক্তক্ষরণ প্রাণঘাতী ও অন্যান্য অসুস্থতার কারণ হতে পারে। প্রথমত, জমাট বাধা রক্তের দলা সেরিব্রোস্পাইনাল তরল (সিএসএফ) সঞ্চালনের নালিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে যার ফলে সিএসএফ-এর সঞ্চালন বাধাগ্রস্থ হয়। সিএসএফ ঠিকভাবে সঞ্চালিত না হয়ে এক স্থানে জমাটবদ্ধ হলে বা হাইড্রোসেফ্যালাসের সৃষ্টি হলে তা দ্রততার সাথে অন্তঃকরোটি চাপ বৃদ্ধি করতে ও মৃত্যুর কারণ হতে পারে। দ্বিতীয়ত, জমাট বাধা রক্তে ভেঙে যাওয়া কণা সিএসএফ-এর সাথে প্রবাহিত হয়ে প্রদাহমূলক প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে যা অ্যারাকনয়েড গ্রানুলেশনের ক্ষতি বা অ্যারাকনয়েড ঝিল্লীর অমসৃণতা নষ্ট করে, যা সিএসএফ-এর নিয়মিত শোষণক্রিয়াকে বাধা দেয় এবং ফলস্বরূপ স্থায়ীভাবে যোগাযোগমূলক হাইড্রোসেফ্যালাসের সৃষ্টি হয়।

বহিঃসংযোগ

শ্রেণীবিন্যাস

* টেমপ্লেট:Chorus


Новое сообщение