Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
ইবোলা ভাইরাস

ইবোলা ভাইরাস

Подписчиков: 0, рейтинг: 0

ইবোলা ভাইরাস (EBOV)
Ebola virus em.png
ভাইরাসের শ্রেণীবিন্যাস
গ্রুপ: ৫ম গ্রুপ ((-)ssRNA)
বর্গ: Mononegavirales
পরিবার: Filoviridae
গণ: Ebolavirus
প্রজাতি: Zaire ebolavirus

ইবোলা ভাইরাস (ইংরেজি: Ebola virus)(/ɛˈblə/;EBOV, পূর্বনাম Zaire ebolavirus) হচ্ছে ইবোলাভাইরাস গণের পাঁচটি ভাইরাসের মধ্যে অন্যতম একটি। এই ভাইরাস ইবোলা ভাইরাস ডিজিজ বা ইবোলা হিমোরেজিক ডিজিজ করে এবং ২০১৩-২০১৫ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় মহামারী সৃষ্টি করে। যা প্রায় ২৮,৬১৬ জনকে আক্রান্ত করে এবং ১১,৩১০ জনের নিশ্চিত মৃত্যু হয়। ইবোলা ভাইরাস ও এর গণ উভয়কেই জায়ার নামে অভিহিত করা হয় যেখানে এটি প্রথম দেখা দেয়। জায়ারের বর্তমান নাম গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র প্রথমে এই ভাইরাসকে মারবুর্গ ভাইরাসের একটি নতুন প্রজাতি হিসেবে অনুমান করা হয়েছিল। ২০১০ সালে সন্দেহ দূর করার জন্য নাম পরিবর্তন করে ইবোলা ভাইরাস রাখা হয়।বাদুড় বিশেষত ফল বাদুড়কে এই ভাইরাসের বাহক হিসেবে মনে করা হয়। এবং প্রাথমিকভাবে মানুষ থেকে মানুষে বা প্রাণী থেকে মানুষে শরীর নির্গত তরলের মাধ্যমে ছড়ায়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুহার অনেক বেশি(প্রায় ৮৩-৯০%),

গাঠনিক বৈশিষ্ট্য

Phylogenetic tree comparing ebolaviruses and marburgviruses. Numbers indicate percent confidence of branches.

ইবোলা ভাইরাস হল ফিলোভাইরাস (Filovirus) পরিবারের সদস্য। এরা একসূত্রক আরএনএ ভাইরাস। ফিলোভাইরাসগুলো সবচেয়ে লম্বা হয়ে থাকে প্রায় ১০০০ন্যানোমিটার। ইবোলা হল ১৯,০০০ নিউক্লিওটাইড বিশিষ্ট একসূত্রক আরএনএ ভাইরাস।এটি সাতটি গাঠনিক প্রোটিনকে এনকোড করে: নিউক্লিওপ্রোটিন (NP), পলিমারেজ কোফ্যাক্টর(VP35), (VP40), GP, ট্রান্সক্রিপশন অ্যাক্টিভেটর(VP30), (VP24) ও আরএনএ ডিপেন্ডেন্ট আরএনএ পলিমারেজ (L).

Genome structure of Ebola Virus, mostly after GenBank KJ660346.2

বিস্তার

ইবোলার পোষক এর ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে অনেকে বানর ও ফল বাদুড়কে ইবোলার পোষক হিসেবে মনে করেন তবে বানর ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে তাই এর পোষক হওয়ার সম্ভাবনা কম। ইবোলা বায়ুর মাধ্যমে ছড়ায় না বা অসুস্থ ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলেও ছড়ায় না। এটি কেবল অসুস্থ ব্যক্তির শরীর থেকে নির্গত তরলের মাধ্যমে অপর ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করতে পারে অর্থাৎ অসুস্থ ব্যক্তির রক্ত, লালা, বীর্য, বমি, মল, থুথু, শ্লেষ্মা বা শরীর থেকে অন্য কোনো তরল স্পর্শ করার মাধ্যমে যে কেউ এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর বেঁচে যায় তাহলেও যৌনমিলনের মাধ্যমে ঐ ব্যক্তি প্রায় দুইমাস পর্যন্ত এই ভাইরাস ছড়াতে থাকে কারণ বীর্যে এই ভাইরাস দীর্ঘদিন ধরে থাকে।

রোগ

ইবোলা ভাইরাস যে রোগ করে তার নাম ইবোলা হিমোরেজিক ফিভার। এই রোগ সাধারণত শুরু হয় জ্বর, মাথাব্যথা , বমি ও ডায়রিয়া দিয়ে। পরবর্তীতে পাকস্থলী ও অন্ত্রে রক্তপাত হয়। অণুচক্রিকার পরিমাণ অনেক কমে যাওয়ায় রক্তপাতের প্রধান কারণ। এই রোগে মৃত্যুহার প্রায় শতভাগের কাছাকাছি। এই ভাইরাসের এত শক্তিশালী হয়ে উঠার পেছনে কিছু কারণ হলো : ভাইরাস কোষের গ্লাইকোপ্রোটিন রক্তনালীর এন্ডোথেলিয়াল কোষকে ধ্বংস করে ফলে রক্তপাত হয়, এছাড়াও এর আরো দুটি প্রোটিন আছে যা ইন্টারফেরনের কাজ কে বাধা দেয়। লিম্ফোসাইটকে ধ্বংস করে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে না। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনো টিকা আবিষ্কার হয় নি।

Citations

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Ebola


Новое сообщение