Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস
এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস (Ankylosing spondylitis) অক্ষীয় কঙ্কালতন্ত্রের দীর্ঘ মেয়াদী যন্ত্রণাদায়ক বাত ব্যাধি, মেরুদণ্ডের সন্ধি বা গাঁটের ব্যথা ও আড়ষ্টতা যার প্রধান উপসর্গ।
সেরোনেগেটিভ স্পন্ডাইলো-আর্থ্রোপ্যাথী (Seronegative spondyloarthropathy) বাত রোগসমূহের এক শ্রেণীর নাম। ৮ থেকে ১০টি বাত রোগ এই শ্রেণীর মধ্যে পড়ে। এই রোগগুলোতে মেরুদণ্ডের সাথে গিঠ/অস্থিসন্ধি এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হয়ে থাকে। এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত একটি ব্যাধি।
বর্ণনা
এটি দেহের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থার গোলযোগজনিত অসুস্থতা। এতে প্রধানত মেরুদণ্ড ও পেলভিসের সাক্রোইলিয়াক জয়েন্ট, সংলগ্ন লিগামেন্ট আক্রান্ত হয় এবং ক্রমান্বয়ে হাড়গুলো জোড়া লেগে যায়। ফলে আক্রান্ত সন্ধিসমূহের নড়নক্ষমতা ক্ষমতা হ্রাস পায়।
লক্ষণসমূহ
কোমরের সন্ধি (Sacroiliac Joint) থেকে শুরু হয় রোগটা। অন্যান্য কোমর ব্যথাতে যেখানে কাজ় করলে ব্যথা বাড়ে এক্ষেত্রে আবার কাজ করলে ব্যথা কমে, এবং বিশ্রাম নিলে বাড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যথা শুরু হয় শেষ রাতের দিকে – সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কোমর অনড় হয়ে জমে থাকে বেলা বাড়া ও হাঁটা চলা শুরু করলে ব্যথা আস্তে আস্তে কমতে থাকে । কোমরের সবচেয়ে নিচের গিঠে শুরু হয়ে আস্তে আস্তে তা ঊর্ধ্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। মেরুদণ্ডের সন্ধিগুলো একটার সাথে আরেকটা লেগে গিয়ে (ফিউজড) হয়ে পুরো মেরুদণ্ডের এক সময় বাঁকানোর ক্ষমতা থাকে না তখন একে বংশ মেরু (Bamboo spine) অভিহিত করা হয় এটা বুকের গিঁঠে ছড়িয়ে গেলে বুক ফোলানো এবং শ্বাস-প্রশ্বাস ক্ষমতা হ্রাস পায়।
এটি প্রধানত মেরুদণ্ডের গিঁঠের রোগ হলেও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও এতে আক্রান্ত হতে পারে। সে হিসেবে এটা সর্বাঙ্গীক ব্যাধি রোগ (Systemic disorder)-ও বটে। যদিও কোমর-ই আক্রান্ত হয় প্রথমে, আস্তে আস্তে তা অন্যান্য গিঁঠ, চোখ, হৃৎপিণ্ড ইত্যাদিতেও আক্রমণ করতে পারে। অন্যান্য গিঁঠ, যেমনউরুসন্ধি বা হিপ জয়েন্ট (Hip Joint), হাঁটু সন্ধি (knee joint) আক্রান্ত হয় ২০-৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে। চোখ আক্রান্ত হলে “আইরাইটিস”(Iritis) হতে পারে এছাড়াও হৃদপিণ্ডের কপাটিকা (heart valve) আক্রান্ত হয় যদিও কদাচিৎ।
শ্রেণীবিন্যাস | |
---|---|
বহিঃস্থ তথ্যসংস্থান |