কড়ই কাদিপুর গণহত্যা
| কড়ই কাদিপুর গণহত্যা | |
|---|---|
| স্থান | কড়ই কাদিপুর, জয়পুরহাট, পূর্ব পাকিস্তান |
| তারিখ | ২৬ এপ্রিল ১৯৭১ (ইউটিসি+৬:০০) |
| লক্ষ্য | বাঙালি হিন্দু |
| হামলার ধরন | গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড |
| ব্যবহৃত অস্ত্র | হালকা মেশিনগান |
| নিহত | ৩৭০ |
| হামলাকারী দল | পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার |
কড়ই কাদিপুর গণহত্যা হলো ১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও রাজাকার কর্তৃক নিরস্ত্র হিন্দু বাঙালিদের ওপর চালিত একটি গণহত্যা। কড়ই, কাদিপুর ও আশেপাশের গ্রামের প্রায় ৩৭০ জন হিন্দু গণহত্যায় প্রাণ হারান।
প্রেক্ষাপট
১৯৭১ সালে কড়ই ও কাদিপুর গ্রাম রাজশাহী জেলার জয়পুরহাট মহকুমার অধীনে (বর্তমানে রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত) ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় ছিল। এই দুই গ্রামের অধিবাসীরা মূলত হিন্দু কামার গোত্রের ছিলেন।
ঘটনাবলি
২৪ এপ্রিল রাতে সান্তাহার থেকে ট্রেনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আগমন ঘটে এবং তারা জয়পুরহাট মহকুমা সদর দখল করে নেয়। ২৫ এপ্রিল সকাল থেকে সৈন্যরা হত্যাকাণ্ড শুরু করে এবং লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করতে থাকে। জয়পুরহাটের মানুষেরা গ্রামের দিকে পালাতে শুরু করেন। ২৬ এপ্রিল স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায় সেনারা হিন্দু-অধ্যুষিত কড়ই ও কাদিপুর গ্রামকে নিশানা করে। তারা গ্রামগুলোকে ঘিরে ফেলে এবং পুরুষদের জিম্মি করে নিয়ে যায়। তাদের সারি বেঁধে দাঁড় করানো হয় এবং হালকা মেশিনগানের ব্রাশফায়ারে হত্যা করে হয়।
স্মৃতিস্তম্ভ
গণহত্যায় শহিদদের স্মরণে অদ্যাবধি কোনো স্মৃতস্তম্ভ নির্মিত হয়নি। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশ সরকার একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য তিন শতক জমি অধিগ্রহণ করে; কিন্তু স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হয়নি।
| গণহত্যাকারী |
|
||||||||||||||
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| সংগঠন | |||||||||||||||
| গণহত্যা |
|
||||||||||||||
| বুদ্ধিজীবী হত্যার শিকার |
|||||||||||||||
| প্রতিবাদ | |||||||||||||||
| বিচারকার্য | |||||||||||||||
| সম্পর্কিত ঘটনা | |||||||||||||||