কলেরা
| কলেরা | |
|---|---|
| প্রতিশব্দ | Asiatic cholera, epidemic cholera |
| কলেরার কারণে একজন ব্যক্তি গুরুতর পানিশূন্যতা, যার ফলে চোখ ডুবে যায় এবং হাত ও ত্বক কুঁচকে যায়। | |
| বিশেষত্ব | সংক্রামক রোগ |
| লক্ষণ | প্রচুর পরিমাণে জলযুক্ত উদরাময়, বমি, মাংসপেশিতে টান |
| জটিলতা | পানিশূন্যতা, দেহের খনিজ অসমতা |
| রোগের সূত্রপাত | উদঘাটনের ২ ঘন্টা থেকে ৫ দিন পর |
| স্থিতিকাল | কয়েক দিন |
| কারণ | ভিব্রিও কলেরি মল-মৌখিক পথে ছড়ায় |
| ঝুঁকির কারণ | দুর্বল পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব, দারিদ্র্য |
| রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | মল পরীক্ষা |
| প্রতিরোধ | উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানি, হাত ধোয়া, কলেরা টিকাদান |
| চিকিৎসা | মৌখিক পুনরুদন থেরাপি, জিঙ্ক পরিপূরক ঔষধ, শিরায় থেরাপি, অ্যান্টিবায়োটিক |
| সংঘটনের হার | বছরে ৩–৫ মিলিয়ন মানুষ |
| মৃতের সংখ্যা | ২৮,৮০০ (২০১৫) |
কলেরা ভিব্রিও কলেরা (Vibrio cholerae) নামক ব্যাকটেরিয়া ঘটিত ক্ষুদ্রান্ত্রের একটি সংক্রামক রোগ। এ ব্যাধি উপসর্গবিহীন অথবা মৃদু অথবা মারাত্মক হতে পারে। কলেরার প্রধান উপসর্গ হল ঘনঘন চাল ধোয়া পানির মত পাতলা পায়খানা। এছাড়াও থাকতে পারে পেটব্যথা, জলাভাবে শারীরিক দুর্বলতা এবং চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় থাকলে শেষপর্যন্ত পানিশূন্যতার কারণে মৃত্যু ঘটতে পারে।
কলেরা Vibrio cholerae-র কয়েকটি সেরোটাইপ দিয়ে হতে পারে। এদের মধ্যে কিছু সেরোটাইপ অন্যগুলোর চেয়ে বেশি মারাত্মক রোগ ঘটাতে পারে। শুধু ও১ (O1) এবং ও১৩৯ (O139) সেরোগ্রুপ কলেরা মহামারী ও অতিমারী ঘটায়। মানব শরীরে সংক্রমণের প্রধান বাহক দূষিত পানি অথবা দূষিত খাদ্য।
রোগের কারণসমূহ
সাধারণত আক্রান্ত রোগীর মলের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। সাধারত পয়ঃপ্রণালীর সুষ্ঠু ব্যবস্থার অভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির মল, খাবার ও পানির সংস্পর্শে এসে খাবার ও পানিকে দূষিত করে। পরবর্তীতে উক্ত খাবার ও পানি গ্রহণের মাধ্যমে কলেরার জীবাণু সুস্থ মানুষের দেহে প্রবেশ করে আক্রান্ত করে। সাধারণত যে কোন পরিবেশেই কলেরার জীবাণু দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে।
উপসর্গ-লক্ষণ
কলেরার সংক্রমণ প্রায়ই মৃদু বা উপসর্গহীন হয়ে থাকে। কিন্তু, কিছু ক্ষেত্রে এটি গুরুতর হতে পারে। ভিব্রিও কলেরা দ্বারা দূষিত খাবার পানি অথবা দূষিত খাদ্য গ্রহণের পর বার ঘণ্টা থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে কলেরার লক্ষণ প্রকাশ পায়।
গুরুতরভাবে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে যা দেখা যায়:
- ঘনঘন চাল ধোয়া পানির মত পাতলা পায়খানা
- বমি
- পায়ের শিরটান
- শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে গেলে পানিশূন্যতা ও শক দেখা দিতে পারে।
রোগ প্রক্রিয়া
ভিব্রিও কলেরা কলেরা টক্সিন নামের এন্টেরোটক্সিন তৈরি করে যার বিষক্রিয়ায় ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রাচীরের আবরণী কলা থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্লোরাইড ও জল চোঁয়াতে থাকে যা চাল ধোয়া পানির মত পাতলা পায়খানা গঠন করে। জোরালো সংক্রমণ ও টক্সিনের বিষক্রিয়া হলে কলেরার প্রাণঘাতী ক্রিয়ায় ১ ঘণ্টায় একজন সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষের রক্তচাপ অস্বাভাবিক কমে যেতে পারে ও ২-৩ ঘণ্টায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণ মাঝারি মাপের সংক্রমণে ৪-১২ ঘণ্টায় শক (অর্থাৎ নিম্ন রক্ত চাপ ইত্যাদি কারণে দেহের সমস্ত অংশে রক্ত সরবরাহের অভাব) এবং পরবর্তী দেড় দিন বা কয়েক দিনের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে।
আক্রমণ সম্ভাবনা
কলেরা টীকা
বহিঃসংযোগ
| দারিদ্র্যজনিত রোগ | এইডস · ম্যালেরিয়া · যক্ষ্মা · হাম · নিউমোনিয়া · উদরাময় |
|---|---|
| অবহেলিত রোগ |
কলেরা · চাগাস রোগ · আফ্রিকান নিদ্রা রোগ · শামুক জ্বর · গিনি ক্রিমি · নদী অন্ধত্ব · কালা জ্বর · চুলকানি
|
| বিবিধ | |