কলেরা টিকা
| টিকার বিবরণ | |
|---|---|
| লক্ষ্য ব্যাধি | কলেরা |
| প্রকার | মৃত/অক্রিয়াশীল |
| রোগশয্যাসম্বন্ধীয় তথ্য | |
|
এএইচএফএস/ ড্রাগস.কম |
Micromedex মাইক্রোমেডেক্স বিস্তারিত ভোক্তার তথ্য |
| গর্ভধারণ বিষয়শ্রেণী |
|
| এটিসি কোড | |
| শনাক্তকারী | |
| কেমস্পাইডার |
|
কলেরা টিকা এমন একটি টিকা যা কলেরা প্রতিরোধে কার্যকর। প্রথম ৬ মাসে ৮৫% ক্ষেত্রে কার্যকর এবং প্রথম বছরে ৫০-৬০% ক্ষেত্রে কার্যকর। দুই বছর পর কার্যকারিতা ৫০% ক্ষেত্রে কমে আসে। যখন কোন সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ প্রতিরোধী হয় তখন দলভুক্ত মানুষ প্রতিরোধী সুবিধা ভোগ করে। যারা উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে আছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যবস্থার সাথে ব্যবহারের পরামর্শ দেয়। সাধারণত দুই অথবা তিন ডোজ মুখে গ্রহণের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। বিশ্বের কিছু কিছু এলাকায় ইনজেকশনের মাধ্যমে গ্রহণের ব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু এর পরিমাণ খুব সামান্য।
উভয় প্রকার মুখে গ্রহণের সহজলভ্য টিকা সাধারণত নিরাপদ। হালকা পেটে ব্যাথা বা ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। এসব গর্ভাবস্থায় এবং দুর্বল প্রতিরোধী ব্যবস্থায় নিরাপদ। ৬০টির অধিক দেশে এটি ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স দেয়া হয়। এটি সেসব দেশে ব্যবহার করা হয় সাধারণ ভাবে যেখানে এই রোগটি ব্যয় সাশ্রয়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
১৮০০ সালের শেষদিকে প্রথম কলেরা প্রতিরোধে টিকা ব্যবহার করা হয়। এগুলি হচ্ছে পরীক্ষাগারে তৈরী প্রথম টিকা যা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। ১৯৯০ সালে প্রথম মুখে গ্রহণের টিকা প্রবর্তন করা হয়। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় ঔষুধের তালিকার অন্তর্ভুক্ত, মৌলিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষুধ। কলেরার বিরুদ্ধে টিকা দেয়ার খরচ ০.১ থেকে ৪.০ মার্কিন ডলারের মধ্যে।